আজ শনিবার সন্ধ্যায় জরুরি সভা ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূস। মার্কিন শুল্ক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে এ বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আয়োজিত এ বৈঠকে শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ, উপদেষ্টা ও কর্মকর্তারা যোগ দেবেন বলে জানানো হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রেসসচিব ফেসবুক পোস্টে জানান, ‘মার্কিন শুল্ক ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় একটি জরুরি সভা আহ্বান করেছেন। শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ, উপদেষ্টা এবং কর্মকর্তারা এই সভায় যোগ দেবেন।’

এর আগে, ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনে থাকা অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপ নিয়ে ড.

ইউনূস জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক ইস্যু সমাধানে ইতিবাচক অগ্রগতি হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা বিষয়টি পর্যালোচনা করছি। যেহেতু এটি আলোচনাযোগ্য, তাই আমরা আলোচনা করব এবং আমি নিশ্চিত যে আমরা সর্বোত্তম সমাধানে পৌঁছাতে পারব।’ বৃহস্পতিবার ব্যাংককে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম অধ্যাপক ইউনূসের বরাত দিয়ে এ কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্য আমদানির ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এখনো পুরো বিষয়টি আলোচনা শুরুর পর্যায়ে রয়েছে। আমরা এটা পর্যালোচনা করছি এবং আমরা যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করছি, তাতে আশাবাদী সামনের দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। আমরা এমন একটা সমাধানের দিকে যেতে পারব, যাতে উভয় পক্ষের জন্য উইন উইন সিচুয়েশন হয়।’
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড ইউন স ইউন স

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে নতুন তথ্য দিলেন মাহি

গেল কয়েক বছরে অভিনয় দিয়ে দর্শকের মন জয় করেছেন সামিরা খান মাহি। সম্প্রতি একাধিকবার বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন তিনি। সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে একাধিকবার। বৃহস্পতিবার হঠাৎ মাহি জানান, প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে গেছে তার। এরপর থেকেই সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। সেই প্রেম নিয়ে আবারও মুখ খুললেন মাহি। জানালেন সম্পর্ক ভাঙেনি।

সামিরা খান মাহি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার আর সাদাত সাফি নাবিলের সম্পর্ক ঠিক আছে। সব সম্পর্কেই ঝামেলা হয়, সেগুলো আবার ঠিকও হয়ে যায়। আমি কিন্তু কোথাও বলিনি, আমাদের ব্রেকআপ হয়ে গেছে। চার বছরের প্রেমের সম্পর্ক আমাদের। একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম শুধু যে, বেশ কয়েকদিন ধরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। এটাকেই মানুষ ভিন্নভাবে নিয়েছে।’

বৃহস্পতিবার ইন্সটাগ্রামে মাহি লেখেন, ‘গত কয়েকটা দিন ভীষণ কষ্টের কেটেছে। ট্রলড হওয়ার কষ্ট, বোনের বিয়ের দায়িত্বের চাপ, আর নিজের সম্পর্কের টানাপোড়েন-সব মিলিয়ে ভিতরটা একেবারে খালি খালি লাগছে। সত্যি বলতে, খুব ক্লান্ত, খুবই এলোমেলো লাগছে নিজেকে। আমি ভুল করেছি, যা অনেককেই কষ্ট দিয়েছে, এটাও আমি বহন করে গেছি। আমি জানি আমি হৃদয় ভেঙেছি, এর জন্য আমি দুঃখিত। সত্যিই আমি ভেঙে পড়েছি- আর এটা বলতে ভয় পাই না আমি।’

ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে চোখের জলের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আমার এই দুর্বলতম সময়েও আমি জানি, উঠে দাঁড়ানোর শক্তি আমাকে ছেড়ে যায়নি। আমি এখন শুধুই ক্লান্ত, তবে পরাজিত নই। যদি সবার সঙ্গে হাসি শেয়ার করা যায়, তাহলে আমি বলবো চোখের জলও শেয়ার করা যায়। জীবন খুব ভালো করেই দেখেছেন অভিনেত্রী। হয়তো সে কারণেই লিখেছেন, জীবন সবসময় সাজানো-গোছানো আর নিখুঁত হয় না।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ