কিশোরগঞ্জের ব্রহ্মপুত্রে অষ্টমী স্নানোৎসবে ঢল
Published: 5th, April 2025 GMT
কিশোরগঞ্জে হোসেনপুরের পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের অষ্টমী স্নানোৎসবে পূণ্যার্থীদের ঢল নেমেছে।
শনিবার সকালে সনাতন ধর্মের আনুমানিক তিন লাখ পূণ্যার্থী এখানে অষ্টমীস্নানে অংশ নেন।
ভোরবেলা থেকে কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী ময়মনসিংহের নান্দাইল, ঈশ্বরগঞ্জ, পাগলা, গফরগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পূণ্যার্থীরা জড়ো হতে থাকেন ব্রহ্মপুত্রের হোসেনপুর-পাগলা সেতু এলাকায়। নানা বয়সের নারী-পুরুষ পূণ্যের আশায় স্নানে অংশ নেন।
পাপমুক্তি ও সৃষ্টিকর্তার কৃপা প্রার্থনা, গীতাপাঠ, মাল্যজপ, ধ্যান, প্রসাদ বিতরণ, হরিনাম সংকীর্তনসহ নানা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্নানোৎসব পালন করা হয়। সকালে ব্রহ্মপুত্রের তীরে গিয়ে লাখো পূণ্যার্থীর সমাগম দেখা গেছে। আশপাশে বসেছে ছোট পরিসরে গ্রামীণ মেলা।
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্বরপুর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য অশ্বিনী কুমার বর্মণ এখানকার বিশাল অষ্টমী স্নানের গল্প শুনে এবারই প্রথম এসেছেন বলে জানান। জেলা শহর থকে প্রতি বছরের মতো এবারও স্বজনদের নিয়ে এসেছিলেন অ্যাডভোকেট মায়া ভৌমিক।
আয়োজকদের একজন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি প্রদীপ কুমার সরকার। তিনি বলেন, অন্যান্য বছর দুই লক্ষাধিক পূর্ণার্থী আসতেন। এবার সেটা বেড়েছে।
হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ হোসেন জানিয়েছেন- পর্যাপ্ত পুলিশ, আনসার ও স্কাউট মোতায়েন ছিল। স্নানোৎসবের সার্বিক আইনশৃংখলা পরিস্থিতি সুষ্ঠু ছিল।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ন ন ৎসব
এছাড়াও পড়ুন:
বাসের ধাক্কায় পিকআপ ভ্যান উল্টে শিশু নিহত, আহত ৭
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বাসের ধাক্কায় একটি পিকআপ ভ্যান উল্টে শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন শিশুটির মা-বাবাসহ আরও সাতজন। আজ সকাল ছয়টার দিকে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের চৌধুরী মার্কেট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুর নাম জাকিয়া ইসলাম (৫)। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন শিশুটির বাবা জামাল উদ্দিন (৩৮), মা লাইজু বেগম (৩০), ভাই মো. ফয়সাল (১৪), নানি সেলিনা বেগম (৬০), খালা রিমা আক্তার (২৮) ও খালাতো বোন সুমাইয়া আক্তার (৫) ও গাড়ির চালক মো. রায়হান (২৪)।
হতাহত ব্যক্তিরা সবাই পিকআপ ভ্যানটিতে ছিলেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তাঁদের ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার করে। এরপর প্রথমে তাঁদের সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত জাকিয়ার বাবা জামাল উদ্দিন ভোলার বাসিন্দা। তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় বসবাস করে আসছেন। সম্প্রতি চট্টগ্রামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেয়েছেন জামাল উদ্দিন। তাই পরিবারসহ চট্টগ্রামে স্থানান্তর হচ্ছিলেন তিনি। আসবাবসহ মালামাল পিকআপ ভ্যানটিতে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পিকআপের সামনে চালক ও সহকারী বসা ছিলেন। জামাল উদ্দিন ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা পিকআপ ভ্যানের পেছনে রাখা মালামালের ওপর বসে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন।
একটি অ্যাম্বুলেন্সে লাশ তোলা হচ্ছে