এক বছরের সন্তানকে খাবার খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে গৃহকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পিংকি আক্তার গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার ভাটারা থানায় অভিযোগ করেন। এ অভিযোগের খবর প্রকাশ হওয়ার পর রোববার দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন পরীমণি।

২১ মিনিট ৬ সেকেন্ডের দীর্ঘ এই ফেসবুক লাইভে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ আইনিভাবে মোকাবিলার কথা জানান এই নায়িকা।

পরীমণি বলেন, ‘আমার বিগত জীবনযাপন দেখলেই বুঝবেন, কোনো আত্মীয়স্বজন নিয়ে আমার জীবনযাপন না, আমার পুরো পরিবারটাই হলো আমার স্টাফদের নিয়ে। মাদার্স ডে, ফাদার্স ডে যা–ই বলেন না কেন, কারণ আমি তাদের নিয়েই থাকি। সেখানে একজন আমার গৃহকর্মী, যে এক মাসও হয়নি না আসলে.

..সে দাবি করতেই পারে, তবে আমি বলব সে আমার গৃহকর্মী না।’

তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ আইনিভাবে মোকাবিলা করবেন জানিয়ে অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘আমার হাতে সব প্রমাণ আছে, কিন্তু দিতে চাচ্ছি না কেন জানেন, কারণ আমি আইনের ওপর শ্রদ্ধাশীল।’

ফেসবুক লাইভের বেশির ভাগ সময় ধরে তিনি গণমাধ্যমে আসা খবর নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান। থানার সাধারণ ডায়েরির সূত্র ধরে তাঁকে নিয়ে গণমাধ্যম যেভাবে খবর প্রকাশ করেছে, এতে তিনি মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন পরী।

তাঁর ভাষ্য, ‘আমরা কি একটু ওয়েট করতে পারতাম না যারা মিডিয়াকর্মী ছিলাম। তারা আমাকে যেভাবে টর্চারটা করল, যেভাবে ফলাও করে ওই নিউজটা করা হলো, যেভাবে তার ইন্টারভিউ করা হলো; তার মানে কি আমরা মিডিয়াকর্মী হয়ে তাকে প্রিভিলেজ (বেশি সুবিধা) দিচ্ছি না? যে কেউ যে কারও বিরুদ্ধে জিডি করলেই সাথে সাথে এটা জাস্টিফাই হয়ে যাবে? এতে আমি ছোট হয়েছি বা বড় হয়েছি তা না, আমি যদি অন্যায় করি ডেফিনেটলি আমার শাস্তি পাওয়া উচিত। যে কেউ অভিযোগ করতেই পারে, কিন্তু সেটা প্রমাণিত হওয়ার আগেই আপনি তাকে দোষী সাব্যস্ত করে দেবেন?’

দীর্ঘ লাইভে বেশ কয়েকবার আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন পরী। ফেসবুক লাইভের শেষ তিনি বলেন, ‘এত মিডিয়া ট্রায়াল বন্ধ করে দেন, জনগণ কিন্তু আস্ত একটা মিডিয়া।’

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বাড়ি থেকে বের হচ্ছিল দুর্গন্ধ, দরজা ভেঙে মিলল নারীর ঝুলন্ত মরদেহ

দিনাজপুরের হাকিমপুরে সাদিয়া আক্তার (২৮) নামের এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে হিলি বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

সাদিয়া আক্তার পার্শ্ববর্তী জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার রতনপুর গ্রামের আব্দুস সালামের মেয়ে।

প্রতিবেশিরা জানান, ওই নারীর সঙ্গে উপজেলার মাঠপাড়া নামক মহল্লার সাগর হোসেন নামের এক ছেলের বিয়ে হয়েছিল। প্রায় একমাস পূর্বে তাদের বিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের পর থেকে ওই বাসায় একাই ভাড়া থাকতেন সাদিয়া। শুক্রবার ওই বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বের হলে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এরপর পুলিশ এসে বাড়ির দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে ওই নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেন।

হাকিমপুর (হিলি) থানা তদন্ত ওসি এসএম জাহাঙ্গীর আলম জানান, ওই নারী প্রায় একমাস পূর্বে হিলি বাসস্ট্যান্ড একাকায় শাকিল আহমেদ ওরফে টুলুর বাসা ভাড়া নিয়ে একাই থাকতেন। শুক্রবার থানা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত হয়ে দরজা ভেঙে ভাড়া বাসা থেকে ওই নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।

ওসি আরো জানান, মরদেহ থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, ৩-৪ দিন আগে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ