মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩,৩৫৪
Published: 5th, April 2025 GMT
মিয়ানমারের ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩ হাজার ৩৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে এবং আহত হয়েছে ৪ হাজার ৮৫০ জন। এখনও ২২০ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে আজ শনিবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
গত শুক্রবার, ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প মিয়ানমারের সাগাইং শহরসহ আশপাশের গ্রামীণ এলাকা ধ্বংস করে দেয়। ভূমিকম্পের পর সাগাইং শহরের অবস্থা ভয়াবহ হয়ে ওঠে। শহরের ৮০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং প্রায় প্রতিটি বাড়ি ও অবকাঠামো ভেঙে পড়েছে। ভূমিকম্পে সৃষ্ট ধ্বংসাবশেষের মধ্যে চাপা পড়ে রয়েছে বহু মানুষের লাশ। শহরজুড়ে মৃত্যুর গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে এবং সবকিছু ধ্বংসের পর দৃশ্যমান কেবল ধ্বংসস্তূপ।
মিয়ানমারে এই ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর উদ্ধার কাজ চলছে, তবে পরিস্থিতি এখনও অত্যন্ত সংকটপূর্ণ। উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়া মানুষের মরদেহ বের করার চেষ্টা করছেন, তবে ভবনগুলোর ধ্বংসাবশেষের কারণে কাজটি বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে।
আরো পড়ুন:
মিয়ানমারে ভূমিকম্পে এক লাখ মানুষ মারা যেতে পারে
মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১৬০০ ছাড়াল
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের কার্যালয় শুক্রবার জানিয়েছে, জান্তা সরকার ভূমিকম্প-কবলিত এলাকায় সাহায্য সরবরাহ সীমিত করছে, যেখানে সম্প্রদায়গুলো সেনা শাসনকে সমর্থন করেনি।
২০২১ সালে নোবেল বিজয়ী অং সান সু চির নির্বাচিত বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করার পর থেকে, সামরিক বাহিনী মিয়ানমার পরিচালনা করতে লড়াই করছে।
জাতিসংঘ বলছে, অভ্যুত্থানের পর সৃষ্ট গৃহযুদ্ধ ৩০ লাখের বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। ব্যাপক খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে এবং জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশেরও বেশি মানুষের মানবিক সহায়তার প্রয়োজন। এ অবস্থায় ২৮ মার্চের ভূমিকম্পের ফলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভ ম কম প ভ ম কম প
এছাড়াও পড়ুন:
হঠাৎ চারজনকে উদ্ধারের আলোচনা, নিশ্চিত নয় পুলিশ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীর মধ্যে চারজনের খোঁজ মিলেছে– সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন আলোচনা থাকলেও এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ। তাদের ভাষ্য, আজকালের মধ্যে এমন তথ্যের বিষয়টি আরও পরিষ্কার হতে পারে।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল সমকালকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়েকজনের খোঁজ মিলেছে– এমন প্রচার আছে। তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমরা এখনও উদ্ধার বিষয়ে নিশ্চিত নই। আজকালের মধ্যে পরিষ্কার হতে পারব।
পাহাড়ের বিজু উৎসব শেষে খাগড়াছড়ি থেকে চবি ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে জেলা সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে ১৬ এপ্রিল সকালে পাঁচ শিক্ষার্থীকে দুর্বৃত্তরা অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে। অপহৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রিশন চাকমা, দিব্যি চাকমা ও মৈত্রীময় চাকমা রাঙামাটি এবং অন্য দু’জন লংঙি ম্রো ও অলড্রিন ত্রিপুরা বান্দরবানের বাসিন্দা। তারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
সন্তু লারমা সমর্থিত পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সভাপতি নিপণ ত্রিপুরা এ অপহরণের ঘটনায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করেছেন। তবে ইউপিডিএফের খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
একাধিক অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে চাপের মুখে অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীর মধ্যে চারজনকে গত সোমবার রাতে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার সর্বোসিদ্ধিপাড়া এলাকা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।