মিয়ানমার প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় প্রশাসন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এবং প্রধানমন্ত্রী সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে সাক্ষাৎ করেন তিনি।

শনিবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এক বার্তায় তা জানিয়েছেন।

সাক্ষাৎকালে প্রফেসর ইউনূস ২৮ মার্চের ভূমিকম্পে মিয়ানমারে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক ও সহানুভূতি প্রকাশ করেন। এ সময় বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে পাঠানো উদ্ধারকারী দলের কার্যক্রমসহ মানবিক সহায়তা বিষয়েও আলোচনা হয়।

প্রফেসর ইউনূস বলেন, আমরা অতিরিক্ত মানবিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত। আমাদের জাহাজ প্রস্তুত রয়েছে।

মিয়ানমারের প্রধানমন্ত্রী বিমসটেকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অধ্যাপক ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ নেতার সঙ্গে আঞ্চলিক গোষ্ঠীটি একটি নতুন গতিশীলতার সাক্ষী হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউন স

এছাড়াও পড়ুন:

গর্ত না বুঝলেই উল্টায় যান

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বারদী-শান্তির বাজার সড়কটির দৈর্ঘ্য সাড়ে তিন কিলোমিটারের মতো। এই সড়ক ব্যবহার করতে হয় সোনারগাঁ ও পাশের আড়াইহাজার উপজেলার ২৫-৩০টি গ্রামের মানুষকে। দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওয়ায় পুরো সড়কের এখানে-ওখানে তৈরি হয়েছে গর্ত। সামান্য বৃষ্টি হলেই এসব গর্ত তলিয়ে যায়। বুঝতে না পারলে কখনও উল্টে পড়ে যানবাহন, কখনও হাঁটতে গিয়ে হোঁচট খান পথচারীরা। বছরের পর বছর এমন অবস্থা চললেও গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক সংস্কারের কোনো উদ্যোগই নেওয়া হয়নি।
গত বুধবার সকালের বৃষ্টিতে এই সড়কের অনেক জায়গাই তলিয়ে গিয়েছিল। এদিন কথা হয় গোয়ালপাড়া গ্রামের আমিনুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি প্রতিদিন এ রাস্তা ব্যবহার করেন। আমিনুল বলেন, একে তো রাস্তাটি দিয়ে চলাচলে বেগ পেতে হয়, এর মধ্যে বৃষ্টি হলে যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। রাস্তায় পানি জমে থাকায় কোথায় গর্ত, কোথায় ভালো তা বোঝা যায় না। যে কারণে প্রতিদিনই কোনো না কোনো যানবাহন উল্টে পড়ে। তার পরও ভোগান্তি নিয়ে হাজারো মানুষকে এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। 
হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে বারদী তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত। এখানেই অবস্থিত সাধক লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আশ্রম। পাশাপাশি একই এলাকায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর পৈতৃক ভিটা। যে কারণে নিয়মিত বিপুল পরিমাণ পর্যটক আসা-যাওয়া করেন। সাম্প্রতিক সময়ে আশপাশের এলাকার ভ্রমণপ্রিয় মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছে মেঘনা নদীর ছটাকিয়া ঘাট। এসব এলাকায় আসার সময় সবাইকে ব্যবহার করতে হয় বারদী-শান্তির বাজার সড়কটি। এ ছাড়া পাশের আড়াইহাজার উপজেলার খাগকান্দা, উচিতপুরা, কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের বাড়ৈপাড়া, কাকাইলমোড়া, নয়নাবাদ, বাহেরচর, চম্পকনগর, তেতৈতলা, লালুরকান্দি, তাতুয়াকান্দা, নয়াপাড়া, খাগকান্দা, মধ্যরচর, চৌদ্দ মৌজার লোকজনও এখান দিয়েই নারায়ণগঞ্জসহ অন্য জায়গায় যাতায়াত করেন। আশপাশের এলাকার মধ্যে শান্তির বাজারের পরিচিতি ব্যবসাকেন্দ্র হিসেবে। যে কারণে প্রতিদিন পণ্যবাহী বহু ট্রাক, পিকআপভ্যানও আসা-যাওয়া করে। এ ছাড়া যাত্রী নিয়ে চলাচল করে সিএনজিচালিত ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, রিকশা, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকারসহ নানা ধরনের যানবাহন। মসলেন্দপুরের বাসিন্দা মোস্তফা মিয়ার ভাষ্য, সোনারগাঁ উপজেলা সড়কে যেতে এ অঞ্চলের মানুষের বিকল্প পথ নেই। তা ছাড়া ঢাকার কাছে হওয়ায় অনেকেই বাড়ি থেকে অফিস-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত আসা-যাওয়া করেন। এই সড়কে তাদের প্রতিদিনই ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
দুই উপজেলার ২৫-৩০টি গ্রামের মানুষের ভোগান্তির তথ্য দিয়ে বারদীর গোয়ালপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক দেওয়ান সামছুর রহমান বলেন, সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কে পানি জমে থাকে। তখন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে সড়কটি। স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী-শিক্ষকদের যাতায়াতে খুবই কষ্ট হয়। বয়স্ক ব্যক্তি, নারী ও রোগীদের জন্য রাস্তাটি আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। 
এই সড়ক সংস্কারের বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বারদী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল। তাঁর আশা, দ্রুত সময়ের মধ্যেই রাস্তাটির সংস্কারকাজ শুরু হবে। তখন জনদুর্ভোগ কমবে।
এলজিইডি সোনারগাঁ উপজেলা প্রকৌশলী মো. আলমগীর চৌধুরীর ভাষ্য, উপজেলার বেহাল সড়কগুলোর তালিকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। বারদী-শান্তির বাজার সড়কটিও তালিকায় রয়েছে। অর্থ ছাড় পাওয়া গেলে সব বেহাল সড়কই সংস্কার করা হবে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ