গাজীপুরের কালীগঞ্জে অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৫ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-টঙ্গী-ভৈরব রেল রুটের দেওপাড়া এলাকার (ফেরিঘাট) ঘোড়াশাল রেলসেতুর নিচে বালুর ওপর থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কালীগঞ্জ থানা পুলিশের ধারণা, রাতে ট্রেনের ধাক্কা লেগে সেতু থেকে নিচে পড়ে মারা যান ওই যুবক।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
ওই যুবকের বয়স ৩০ থেকে ৩২ বছর। তার পরনে পেস্ট কালারের ফুল হাতা জার্সি ও নিল কালারের ট্রাউজার ছিল।
নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জহিরুল ইসলাম বলেছেন, অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছি। পরিচয় পেলে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। পরিচয় না পেলে ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে মরদেহ দাফন করা হবে।
ঢাকা/রফিক সরকার/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেন, ‘পুলিশের সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে করা মামলাগুলো যথাযথভাবে তদন্ত করতে হবে। কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না।’
দুপুরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
আইজিপি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর একটি মহল হয়রানির উদ্দেশ্যে মূল আসামির সঙ্গে অসংখ্য নিরীহ মানুষকে মামলায় আসামি করছে। এ বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে।’
এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, কেবল তদন্তে যার বিরুদ্ধে দায়ভার পাওয়া যাবে তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট অব অ্যারেস্ট চাওয়া হবে। তাকেই গ্রেপ্তারের কার্যক্রম নেওয়া হবে।
মিথ্যা মামলা রোধে আইনি সীমাবদ্ধতা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই যে মিথ্যা মামলা বলছেন, মামলাটা মিথ্যা, মামলাটা সত্যই। কিন্তু এই যে আসামির সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া, এটা আমরা বন্ধ করতে পারছি না। আইনে আমাদের এই সীমাবদ্ধতা রয়েছে।"
তিনি জানান, কেউ অভিযোগ করলে তা পুলিশকে মামলা হিসেবে রুজু করতে হয়। মামলা সত্য না মিথ্যা এটা যাচাই করার কোন সুযোগ নেই।
‘উনি অভিযোগ যেটা আমাকে দেন ওটাই মামলা হিসেবে আমাকে নিয়ে নিতে হয়। এরপর তদন্তে গিয়ে আমি দেখি আসলে কতটুকু সত্য কতটুকু মিথ্যা। সত্য অংশটুকুই তদন্তে উঠিয়ে নিয়ে আমি আদালতের কাছে পাঠাই।’ বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘পাঁচই আগস্টের পরে যেটা দেখা গেছে অনেকে অসৎ উদ্দেশ্য মানুষের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের জন্য, হ্যারাস করার জন্য, ভয় দেখানোর জন্য অপরাধটা হয়তো করেছেন পাঁচজন কি দশজন, কিন্তু ওখানে আরো তিনশো লোকের নাম দিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকালও একটা হয়েছে।’
জুলাইয়ের গণ অভ্যুত্থানে কতজন পুলিশ কর্মকর্তা গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি জানান তদন্তের পুরো প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিষয়টি বলা যাবে না।
যারা মিথ্যা মামলা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, শুধুমাত্র তদন্ত শেষ হলেই বাদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ করা যাবে।