পাবনায় নৌকাডুবিতে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
Published: 5th, April 2025 GMT
পাবনার সুজানগরে পদ্মা নদীতে বেড়াতে গিয়ে নৌকা ডুবে এক দম্পতি মারা গেছেন।
নৌকা ডুবে নিখোঁজের ১৬ ঘণ্টা পর শনিবার (৫ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ ও ডুবুরি দল। এর আগে শুক্রবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নৌকা ডুবে যায়।
নিহতরা হলেন, পাবনা সদর উপজেলার কোলচরী গ্রামের দুলাল প্রামাণিকের ছেলে হৃদয় প্রামাণিক (২৩) ও তার স্ত্রী মৌ আক্তার (১৯)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার বিকেলে সুজানগর উপজেলার সাতবারিয়া এলাকায় পদ্মা নদীতে ২০ থেকে ২৫ জন নৌকাতে করে ঘুরতে যান। তীব্র স্রোতে নৌকা ডুবে যায়। স্থানীয়দের সহায়তায় সবাই নদী পার হতে পারলেও হৃদয় ও তার স্ত্রী নিখোঁজ ছিলেন।
সুজানগর ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল আলীম বলেন, “খবর পেয়ে সুজানগর ফায়ার সার্ভিস, রাজশাহী থেকে আসা ডুবুরি দল ও নাজিরগঞ্জ নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা উদ্ধার অভিযান শুরু করে। গতকাল শুক্রবার তাদের সন্ধান মেলেনি। শনিবার সকাল থেকে আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। সকাল ১০টার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।”
ঢাকা/শাহীন/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চলতি বছরে ডিএনসিসি এলাকায় ৫ লাখ গাছ লাগানো হবে: ডিএনসিসি প্রশাসক
চলতি বছরে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় ৫ লাখ গাছ লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকা'য় ‘পরিবেশ বাঁচাও’ শিরোনামে প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী মো. আবু সেলিমের একক চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ‘ডিএনসিসি এলাকার সব রাস্তা, ফুটপাত, মিডিয়ান ও সব পাবলিক স্পেসে আমরা বৃক্ষরোপণ শুরু করেছি। এই বছর আমরা ৫ লাখ বৃক্ষরোপণ করবো। এই বৃক্ষরোপণে কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করা হবে, পরিবেশ রক্ষায় কাজ করে এমন সংগঠনকে সম্পৃক্ত করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা প্রতিদিন ময়লা পরিষ্কার করছেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলো ঢাকার রাস্তায়, ফুটপাতে, মাঠে, পার্কে, খালে, ড্রেনে প্রতিটি জায়গায় এতো বেশি ময়লা, যা সংগ্রহ করতে করতে সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা টায়ার্ড হয়ে যায়। মানুষ ঢাকা শহরে নির্বিচারে যত্রতত্র ময়লা ফেলে দেয়। পরিচ্ছন্ন ঢাকা গড়তে হলে যত্রতত্র ময়লা ফেলা বন্ধ করতে হবে। আমাদের সিটি কর্পোরেশনের কর্মীদেরও আরও দক্ষতার সঙ্গে পরিচ্ছন্নতার কাজ করার জন্য সচেষ্ট হতে হবে। আমরা এগুলো নিয়ে কাজ করছি।’
মোহাম্সদ এজাজ বলেন, ‘অনেক জায়গায় দেখা যায় ময়লা এসটিএসে (সেকেন ট্রান্সফার স্টেশন) না ফেলে খালে, বিলে ফেলে দিচ্ছে। অনেকে রান্না ঘরের জানালা দিয়ে ময়লা ফেলে দিচ্ছে। এর ফলে শহর নোংরা হচ্ছে, আমরা নিজেরা নিজেদের বাড়িঘর নোংরা করছি পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি করছি। বাসাবাড়ির এসব ময়লা বিশেষ করে প্লাস্টিক, পলিথিনে বৃষ্টির পানি জমে এডিস মশার জন্ম হয়৷ এতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এগুলো বন্ধ করতে হবে, সবাইকে সচেতন হতে হবে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘ঢাকা শহরে বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিল্প প্রতিষ্ঠান বড় অংকের মুনাফার জন্য পরিবেশের ক্ষতি করেছে। তাদের দখলেই গেছে খাল, বন। আমরা গত সরকারের আমলে প্রাণ বিনাশী উন্নয়ন দেখেছি। আমাদের লেখক, শিল্পী, সাংস্কৃতিকদের প্রাণ বিনাশী ক্ষতির বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। এমন কোন উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া যাবে না যে প্রকল্প মানুষের জীবন বিপন্ন করে, প্রাণ বিপন্ন করে, নদী বিনষ্ট করে, বাতাস দূষিত করে।’
পরে ডিএনসিসি প্রশাসক চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন এবং অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন।