টিকটককে আরো ৭৫ দিন সময় দিলেন ট্রাম্প
Published: 5th, April 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের ওপর ঝুলে থাকা নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের সময়সীমা আবারও ৭৫ দিনের জন্য পিছিয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) এ সম্পর্কিত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করার মাধ্যমে দেশটিতে টিকটককে দ্বিতীয়বারের মতো লাইফলাইন প্রদান করলেন তিনি।
অন্যথায় আজই (৫ এপ্রিল) দেশটিতে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হতো চীনের বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপটি। খবর বিবিসির।
গতকাল শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ লিখেছেন, ‘আমরা চাই না টিকটক অন্ধকারে চলে যাক। টিকটক এবং চীনকে নিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর আশা করছি।’
আরো পড়ুন:
ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক: জরুরি পর্যালোচনা সভায় বসছে সরকার
‘বিশ্ব শান্তির জন্য’ গ্রিনল্যান্ড দখল প্রয়োজন: ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের ১৭ কোটিরও বেশি গ্রাহক রয়েছে। কিন্তু এর চীনভিত্তিক মালিকানা প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। টিকটকের মাধ্যমে চীন সরকার মার্কিন জনগণের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করতে পারে, এই আশঙ্কা ব্যক্ত করেছে মার্কিন প্রশাসন। যদিও বাইটড্যান্স ও চীন এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে।
গত বছরের এপ্রিলে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকার প্রণীত আইনে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে টিকটক। জো বাইডেন সরকারের আইন অনুযায়ী, বাইটড্যান্সকে টিকটকের যুক্তরাষ্ট্র অংশের ব্যবসার নিয়ন্ত্রণমূলক মালিকানা চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারির মধ্যে ছেড়ে দিতে হবে কোনো মার্কিন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে। অন্যথায় দেশটিতে টিকটককে নিষিদ্ধ করা হবে।
তবে, জানুয়ারিতে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড দায়িত্ব নেওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করে টিকটকের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর ৭৫ দিন পিছিয়ে দেন। ফলে সাময়িকভাবে নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সক্ষম হয় টিকটক। এই ৭৫ দিনে সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা ছিল আজ (৫ এপ্রিল)। গতকাল শুক্রবার ট্রাম্পের নতুন নির্বাহী আদেশের ফলে আরো ৭৫ দিন সময় পেল টিকটক। সে হিসেবে এবার ১৯ জুনের মধ্যে বাইটড্যান্সকে টিকটিক ইস্যুতে চুক্তি সম্পাদন করতে হবে।
গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে বাইটড্যান্স জানায়, তারা ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এখনো কোনো চুক্তি সম্পন্ন হয়নি।
কোম্পানির এক মুখপাত্র বলেছেন, “কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখনো নিষ্পত্তি করা বাকি এবং যেকোনো চুক্তি চীনা আইনের অধীনে অনুমোদন নিতে হবে।”
বিবিসি প্রতিবেদন বলছে, গত বুধবার টিকটক কেনার একটি চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। তবে একই দিনে ট্রাম্প চীনের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা করার পর চুক্তিটি ভেঙে যায়।
চুক্তির সঙ্গে পরিচিত একটি সূত্র সিবিএস নিউজকে জানিয়েছে, বাইটড্যান্সের প্রতিনিধিরা হোয়াইট হাউজের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তারা জানিয়েছেন যে, শুল্কের বিষয়ে আলোচনা না হলে চুক্তিটির অনুমোদন দেবে না চীন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত চীনা দূতাবাস এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা বাজার অর্থনীতির মৌলিক নীতি লঙ্ঘনকারী অনুশীলনের বিরোধিতা করে।
যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৫৪ শতাংশ মোট শুল্কের সম্মুখীন হয়েছে চীন এবং ৩৪ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে।
টিকটক বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর হলে শুল্ক কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ইটড য ন স শ ক রব র ট কটক র ৭৫ দ ন সরক র র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারি অনুদানের সিনেমা জমা দেওয়ার সময় বাড়লো
চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) জন্য সরকারি অনুদানে পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রস্তাব জমাদানের সময়সীমা বাড়িয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, প্রস্তাব জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল ৭ এপ্রিল বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে এখন সেই সময়সীমা বাড়িয়ে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের সহকারী সিনিয়র সচিব মোছা. শারমিন আখতার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, “২০২৪-২৫ অর্থবছরে পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদানের উদ্দেশ্যে প্রযোজক, পরিচালক, চলচ্চিত্র নির্মাতা, লেখক ও সংশ্লিষ্ট পেশাদারদের কাছ থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণের পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ প্রস্তাব আহ্বান করা হয়েছিল। পূর্বঘোষিত শর্তাবলি অপরিবর্তিত রেখে প্রস্তাব জমাদানের সময়সীমা ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
চলতি বছর সর্বোচ্চ ১২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য এবং ২০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য মিলিয়ে সর্বমোট ৩২টি চলচ্চিত্রে অনুদান দেওয়ার কথা রয়েছে।
আরো পড়ুন:
‘কাউকে চড় মারলে অসুবিধা নেই, চুমু খেলেই যত দোষ’
দ্বীপে কেন বাড়ি কিনলেন সাইফ?
অনুদানের জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের যেসব তথ্য ও উপকরণসহ পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব জমা দিতে হবে তার মধ্যে রয়েছে— চলচ্চিত্রের গল্প ও চিত্রনাট্য, নির্মাণের সার্বিক পরিকল্পনা, অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীদের তালিকা, প্রতিটি প্রস্তাবের ১২টি কপি।
অনুদান প্রাপ্তির পরেও সরকার প্রয়োজনে নতুন শর্ত আরোপ করতে পারবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
প্রতিবছর বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে মেধা, সৃজনশীলতা এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে উৎসাহিত করতেই এই অনুদান কার্যক্রম পরিচালনা করে সরকার।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত