চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্স-এর মালিকানাধীন টিকটককে যুক্তরাষ্ট্রে আইনি বাধ্যবাধকতা পালনের জন্য দ্বিতীয়বারের মতো ৭৫ দিনের সময় দিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সময়ের মধ্যে টিকটককে তার যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা বিক্রির ব্যাপারে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। তা না হলে দেশটিতে বন্ধ হয়ে যেতে পারে অ্যাপটি।

এ ব্যাপারে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ এ লিখেছেন, ‘টিকটক বন্ধ হয়ে যাক তা আমরা চাই না। আমরা টিকটক ও চীনের সঙ্গে চুক্তিটি সম্পন্ন করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’ 

গত জানুয়ারি মাসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর টিকটককে আইনি বাধ্যবাধকতা পালনের জন্য ৭৫ দিনের সময় দিয়ে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। এই সময়সীমা আজ শনিবারে শেষ হওয়ার কথা ছিল। নতুন সময়সীমা অনুসারে টিকটক এখন আরও কিছুদিন সময় পেল। খবর- বিবিসি 

জানুয়ারিতে জারি করা নির্বাহী আদেশে- উল্লেখ করা সময়ের মধ্যে কোনো আইনি পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসকে নির্দেশনা দেয়া হয়। এতে বলা হয়, সাময়িক এই পদক্ষেপ ‘আমার প্রশাসনকে টিকটকের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই একটি যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের সুযোগ এনে দেবে’। ওভাল অফিসে এটি স্বাক্ষরের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, ‌‘টিকটকের বিষয়ে প্রতিটি ধনী মানুষ আমাকে কল করেছিল।’ 

গত বছর কংগ্রেসে একটি দ্বিদলীয় আইন পাস হয়। এ আইন অনুসারে, ছয় মাসের মধ্যে টিকটকের নিয়ন্ত্রণমূলক অংশ বিক্রির জন্য বাইটড্যান্সের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। অন্যথায় অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হয়ে যাবে। শুক্রবার এক বিবৃতিতে বাইটড্যান্স জানায়, তারা ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এখনো কোনো চুক্তি সম্পন্ন হয়নি।

কোম্পানির এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখনো নিষ্পত্তি করা বাকি এবং যেকোনো চুক্তি চীনা আইনের অধীনে অনুমোদন নিতে হবে।’ সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন জানিয়েছিল যে, চীন গুপ্তচরবৃত্তি এবং রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করার জন্য টিকটক ব্যবহার করতে পারে। তাই চীনা মালিকানা থেকে টিকটককে আলাদা করতে হবে। টিকটক বন্ধ করার বিরোধিতাকারীরা দাবি করেন, এটি বাক্‌স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ট কটক র জন য ট কটক

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশকে বড় লক্ষ্য দিল আয়ারল্যান্ড

মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি টিম টাইগ্রেস। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশের বিপক্ষে বড় পুঁজি পেয়েছে আয়ারল্যান্ড। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রানের সংগ্রহ করেছে আইরিশরা। জিততে হলে বাংলাদেশের লক্ষ্য ২৩৬ রান।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টসে হেরে বোলিং পেয়ে ভালো শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ। দলীয় ৬ রানেই ৮ বল খেলে ৪ রান করে রান আউটে কাটা পড়েন সারা। এই ওপেনারের বিদায়ে চতুর্থ ওভারে মাত্র ৬ রানের মাথায় ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। ৮ বল খেলে ৪ রান করে রান আউটে কাটা পড়েন সারা। এই ওপেনারের বিদায়ে চতুর্থ ওভারে মাত্র ৬ রানের মাথায় ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। 

তবে শুরুর সেই ধাক্কা সামাল দেন লুইস ও অ্যামি হান্টার। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তারা যোগ করেন ৫০ রান। ১৪তম ওভারে জান্নাতুল ফেরদৌসকে ফিরতি ক্যাচ দেওয়ার আগে ৪৩ বলে ২৪ রান করেছেন লুইস। অধিনায়কের বিদায়ের পর হান্টারের সঙ্গে যোগ দেন ওরলা পেন্ডারগেস্ট। তবে এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি হান্টার। ভালো শুরুর পর ফিরেছেন দুর্ভাগ্যজনক রান আউটে।  সাজঘরে ফেরার আগে ৩৮ বলে ৩৩ রান করেছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। 

এরপর ৪র্থ উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে ৭২ রানের জুটি গড়েন পেন্ডারগেস্ট ও লরা ডেলানি। দলীয় ১৪৯ রানে রাবেয়া খানের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে ৪১ রানে ফেরেন পেন্ডারগেস্ট। এরপর লিহ পলকে নিয়ে ৩৩ রানের জুটি গড়েন ডেলানি। তার বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। সাজঘরে ফেরার আগে ৭৫ বলে ৬৩ রান করেন ডেলানি। এরপর ছোট ছোট জুটিতে দলীয় স্কোর ২৩৫ রানে নিয়ে যায় আইরিশদের লোয়ার অর্ডার। ক্রিস্টিনা ১০, ক্যানিং ৪ রান করেন। ২৪ রানে কেলি ও ৭ রানে অপরাজিত থাকেন মাগুইরে।

বাংলাদেশের হয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেন রাবেয়া। ২টি ফাহিমার ও ১টি নেন জান্নাতুল ফেরদৌস

বাংলাদেশ একাদশ: ইশমা তানজিম, ফারজানা হক, শারমিন আক্তার, নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), সুবহানা মুস্তারি, রিতু মনি, ফাহিমা খাতুন, রাবেয়া খান, নাহিদা আক্তার, জান্নাতুল ফেরদৌস ও মারুফা আক্তার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ