পদ্মা নদীর তিনটি কাতলা ও একটি পাঙাশ মাছ প্রায় সোয়া লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আজ শনিবার রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট বাজারে মাছগুলো বিক্রি হয়।

এর মধ্যে বড় কাতলাটির ওজন ছিল প্রায় ২৪ কেজি। বাকি দুটি কাতলার ওজন প্রায় ২০ কেজি ও সাড়ে ১৪ কেজি। পাঙাশটির ওজন ছিল সাড়ে ১৪ কেজি। দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ মাছ চারটি কিনেন। এর মধ্যে তিনি বড় কাতলাটি বিক্রি করেছেন। বাকি তিনটি মাছ তিনি বিক্রির অপেক্ষায় আছেন।

স্থানীয় মৎস্যজীবীরা বলেন, প্রতিদিনের মতো আজ ভোরে পদ্মা নদীর কুশাহাটা অঞ্চলে জাল ফেলেন গোয়ালন্দের দেবগ্রাম অঞ্চলের জেলে আবদুল মাজেদ। জাল টেনে নৌকায় তুলতেই দেখতে পান বড় একটি কাতলা। কিছুক্ষণ পর জাল ফেলে আরেকটি বড় কাতলা মাছ পান। কাতলা দুটি বিক্রির জন্য নিয়ে যান দৌলতদিয়া বাজারে। সেখান থেকে মাছগুলো কিনেন মাছ ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ।

শাহজাহান শেখ বলেন, বড় কাতলাটি দেড় হাজার টাকা কেজি দরে ৩৬ হাজার টাকা দিয়ে তিনি কিনে নেন। পরে ঢাকায় পরিচিত একজনের কাছে কেজিপ্রতি ১০০ টাকা লাভে ৩৮ হাজার ৪০০ টাকায় মাছটি বিক্রি করেছেন। আরেকটি কাতলা ১ হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরে ২৮ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন।

এই মাছ ব্যবসায়ী বলেন, ছকু মোল্লার আড়ত থেকে সাড়ে ১৪ কেজি ওজনের আরেকটি কাতলা ১ হাজার ৩৫০ টাকা কেজি দরে ১৯ হাজার ৫৭৫ টাকায় কেনেন। ইউনুছের আড়ত থেকে নিলামে সাড়ে ১৪ কেজি ওজনের পাঙাশ ১ হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে ২৩ হাজার ২০০ টাকায় কিনেন। সব মিলে তিনি ১ লাখ ১০ হাজার টাকার মাছ কেনেন।

রাজবাড়ী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, সাধারণত এই মৌসুমে রুই–কাতলা ডিম ছাড়ে। শুষ্ক মৌসুমে পানি কমে যাওয়ায় যেখানে স্রোত পায়, সেখানে বড় মাছের বিচরণ ঘটে। আর এ সময় জেলেদের ফাঁদে ধরা পড়ে এ ধরনের মাছ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ১৪ ক জ

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার: উপদেষ্টা মাহফুজ

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের লক্ষ্যে কাজ করছে, যা উন্নত বাংলাদেশের পথ প্রশস্ত করবে। 

শনিবার তুরস্কে ‘আন্টালিয়া কূটনীতি ফোরাম-২০২৫’ এর সাইডলাইনে টিআরটি ওয়ার্ল্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উপদেষ্টা এ কথা বলেন। 
 
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলের বিপর্যস্ত অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে উত্তরণে বর্তমান সরকার কাজ করছে। এ ছাড়া শেখ হাসিনার শাসনামলের অস্থিতিশীল প্রতিষ্ঠানসমূহের সংস্কার এবং গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়েও সরকার কাজ করছে। 

সাক্ষাৎকারে মাহফুজ আলম আরও বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার, হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের লক্ষ্যে নির্বাচন— এই তিন বিষয় সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে রয়েছে। এর পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণেও সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ