পায়ে ব্যান্ডেজ, হুইলচেয়ারে মোশাররফ করিম। বুধবার তাঁকে দেখা গেল স্টার সিনেপ্লেক্সে। এমন মোশাররফ করিমকে দেখে অবাক দর্শক–ভক্তরা। কী হয়েছে অভিনেতার? জানা গেল, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পরপর দুটি অস্ত্রোপচার হয় মোশাররফ করিমের। এদিকে নিজের নতুন সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। বাধ্য হয়ে ব্যান্ডেজ পায়ে হুইলচেয়ারে চলতে হচ্ছে তাঁকে।

গল্প আর চরিত্র পছন্দ হলে ছোট পর্দার অভিনেতা মোশাররফ করিম চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এবার ঈদে শুধু সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত চক্কর। যাঁরাই ছবিটি দেখছেন, প্রশংসা করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর অভিনয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। মোশাররফ করিমের কাছেও ছবিটি নিয়ে ইতিবাচক সব কথাবার্তা পৌঁছে যাচ্ছে।

‘চক্কর’–এ কেন
দেশের পাশাপাশি গেল কয়েক বছরে ভারতীয় পরিচালকের ছবিতেও অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম। পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাওয়া ছবিগুলোয় তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি ছবিটির শুটিংয়ে অংশ নেন মোশাররফ করিম। কী ভেবে এই ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন, জানতে চাইলে মোশাররফ করিম বলেন, ‘সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, চরিত্রটা ক্যাজুয়াল অ্যাপ্রোচের একজন মানুষের। এমন তিনটা দিক ছবিতে খুঁজে পেয়েছি, মনে হয়েছে, এটা আমার করা উচিত। সবচেয়ে বড় কথা, চরিত্রের একটা সর্ম্পূণতা আছে।’

মোশাররফ করিম.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

১৯০ বিঘা খাস জমি দখলে নিতে সংঘর্ষ, নিহত ১

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় খাস খতিয়ানের ১৯০ বিঘা জমির দখল ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন। এ সময় শতাধিক বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

নিহত মো. মদিন মোল্লা (৫৫) উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নের বড় ধুনাইল গ্রামের মৃত ছকির মোল্লার ছেলে। তাঁর লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সরেজমিন জানা গেছে, বড় ধুনাইল গ্রামের ১৯০ বিঘা খাস খতিয়ানের জমি নিয়ে এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় হালিম ও জাফরের পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। এরই জেরে গত শনিবার দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। শাহজাদপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানান।

রোববার সকালে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ফের সংঘর্ষে জড়ায়। এতে মদিন মোল্লা নিহত হন। আহত হয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক (৪৫), ইনজামুল হক (২৬), আলতাব (৫৭), বাবলু মোল্লাসহ (৪৫) অন্তত ১০ জন। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জাফরের পক্ষের মদিন মোল্লার মৃত্যুর খবরে হালিম পক্ষের লোকজন গ্রাম ছেড়ে চলে যান। এ সুযোগে জাফর পক্ষের লোকজন বিভিন্ন বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার বিষয়ে জানার চেষ্টা করেও দু’পক্ষের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। গ্রামের অধিকাংশ বাড়ি পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।

খতিয়ানের জমি দখল ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হালিম ও জাফর পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন শাহজাদপুর থানার ওসি মো. আছলাম আলী। 

তিনি বলেন, শনিবারের সংঘর্ষ পুলিশ নিয়ন্ত্রণে আনলেও রোববারের সংঘর্ষে মদিন মোল্লা নামে একজন নিহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ