বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘ধর্মের নামে দেশে কোনো বিভক্তি হতে দেওয়া যাবে না। ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। ধর্মকে ব্যবহার করে যারা বিভক্তি করতে চায় তাদের জায়গা এ দেশে হবে না। সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সকল ধর্মের লোকজন চমৎকার পরিবেশ যার যার উৎসব পালন করবে এটাই এদেশের চিরন্তন নীতি।’

শুক্রবার রাতে নগরীর দক্ষিণ কাট্টলী হরি মন্দিরে সনাতনী ধর্মের বাসন্তী পূজা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মনজুর আলম, বিএনপি নেতা আবু জহুর, দিদারুর রহমান সুমন, সাইফুল আলম আজাদ বাঙ্গালী, নুর সেলিম বাঙালি, দেলোয়ার, হরি মন্দির কমিটির সভাপতি
হরি মন্দির কমিটির সভাপতি সদানন্দ ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক সমর কান্তি দাস, বাসন্তী পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি মেনু রানী দেবী, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব ধর তমালের সঞ্চালনায়, সুজন দাস, বাবলু দেবনাথ, লিটন দাস, সুকান্ত মজুমদার, শ্রী বাধন ধর, সুভাষ কান্তি ধর, সুকোমল নাথ, অজিত কুমার দেবনাথ, সুনীল বড় দাস, সমীরন দাস, রজত মজুমদার কাব্য, সুমন মজুমদার, কৃষাণ মজুমদার, টিকলু চৌধুরী, প্রান্ত চৌধুরী, টিটু কান্তি চৌধুরী, প্রান্ত চোহান, রাজু দাশ, প্রদীপ পাল সহ দক্ষিণ কাট্টলীর সনাতনী নেতৃবৃন্দ।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সোনাইমুড়ীতে চাঁদা চেয়ে চিঠি, না পেয়ে প্রতিষ্ঠানে তালা

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর আমিশাপাড়া বাজারে চাঁদার দাবিতে একটি দোকানে তালা লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। চাঁদা না দেওয়ায় এ কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আবুল বাশার পাটোয়ারী। তিনি জানান, পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। 

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) নোয়াখালী প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সাংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ব্যবসায়ী আবুল বাশার পাটোয়ারী।

আবুল বাশার পাটোয়ারী জানান, ‍দীর্ঘদিন ধরে তিনি আমিশাড়া বাজারে ফার্নিচার ও হার্ডওয়ার সামগ্রির ব্যবসা করছেন। রমজান মাস শুরুর চার-পাঁচদিন আগে দোকানের সার্টার খুলে দেখেন ভেতরে একটি চিঠি। খুলে দেখেন, নাম-পরিচয় না দেওয়া এক ব্যক্তি তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন। চিঠি পাওয়ার পর তিনি বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীদের বিষয়টি অবহিত করেন।

আরো পড়ুন:

ছিনতাইয়ের ছক এক মাস আগে, রিকশাচালককে নিয়ে হয়েছিল মহড়া

মাদক প্রতিবেদন: ফেনীর সেই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা

গত ১৬ এপ্রিল রাতে নাম না জানা ব্যক্তি তার দোকানে তালা লাগিয়ে দেন। পরদিন সকালে তিনি দোকানে গিয়ে তালা দেখে এ বিষয়ে সোনাইমুড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

আবুল বাশার পাটোয়ারী জানান, পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে সিসিটিভির ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে দেখে, আমিশাপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. কামাল তার সহযোগীদের নিয়ে দোকানে তালা দিয়েছেন। পরে পুলিশ কামালকে থানায় ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি তালা দেওয়ার ঘটনা স্বীকার করেন। তবে, পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি।

তিনি আরো জানান, এরপর থেকে কামাল হোসেন নানাভাবে হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন। বর্তমানে তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

চাঁদা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করে মো. কামাল জানান, তিনি দোকানে তালা দিয়েছেন এটা যেহেতু তারা সিসিটিভির ফুটেজে দেখেছে এ বিষয়ে তিনি কিছু বলবেন না। তবে, আবুল বাশার পাটোয়ারীদের সঙ্গে পারিবরিক বিষয় নিয়ে পূর্বের বিরোধ রয়েছে। তাদের দায়ের করা একটি মামলায় ২০০৯ সালে তিনি কারাগারে ছিলেন। ওই বিরোধের জেরে ক্ষোভ থেকে তিনি দোকানে তালা দিয়েছেন বলেও জানান। 

তিনি আরো জানান, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। আগামীতে তিনি আমিশাপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করছেন। তাকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।

সোনাইমুড়ী থানার ওসি মো. মোরশেদ আলম বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে দোকানে তালা দেওয়ার ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে আবুল বাশারের পূর্ব বিরোধ ও মামলা রয়েছে। আবুল বাশার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের বর্ণনায় একটি অংশ নিয়ে তার আপত্তি থাকায় সেটি আর মামলা হিসেবে রুজু করা হয়নি। পরে ওই ব্যক্তিকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”

ঢাকা/সুজন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ