সাবেক উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সিলেট আগমন নিয়ে তোলপার চলছে। আকষ্মিক আলোচিত ব্যবসায়ী মাহতাবুর রহমান নাসিরের সিলেটের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আল হারামাইন হসপিটাল পরিদর্শন করার পর তোলপাড় শুরু হয়। 

বৃহস্পতিবার বিকেলে সস্ত্রীক সিলেটে পৌঁছে নাহিদ ইসলাম নগরীর সোবহানিঘাট এলাকার আল হারামাইন হাসপাতালে যান। বিষয়টি শুক্রবার জানাজানি হলে তোলপাড় শুরু হয়। 

সম্প্রতি ব্যবসায়ী নাসেরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশে হুন্ডি ব্যবসাসহ সিলেটে তার বাসা কাজী ক্যাসলে আওয়ামী লীগের নেতাদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। এ অবস্থায় তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে নাহিদ ইসলামের অবস্থান নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। 

তবে হাসপাতালের জিএম পারভেজ আহমদ সমকালকে জানান, বৃহস্পতিবার পায়ে আঘাত পেয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন নাহিদ। অর্থোপেডিক্স ডাক্তার দেখিয়ে তিনি হাসপাতাল ত্যাগ করেন।

এনসিপি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ২টার দিকে ইউএস-বাংলার ফ্লাইটে (বিএস-৫৩৫) স্ত্রীসহ ঢাকা থেকে সিলেট আসেন নাহিদ ইসলাম। পরে বিকেল ৩টার দিকে সিলেট নগরীর সোবহানীঘাট এলাকায় অবস্থিত আল হারামাইন হাসপাতালে যান। সেখানে ঘণ্টাখানেক অবস্থানের পর সড়কপথে মৌলভীবাজারে উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। 

শুক্রবার রাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি শ্রীমঙ্গলের একটি রিসোর্টে অবস্থান করছিলেন। আজ শনিবার তিনি ঢাকায় ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।  

প্রসঙ্গত, মাহতাবুর রহমান নাসিরের বিরুদ্ধে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে বিদেশে কোটি কোটি পাচারের অভিযোগ উঠে। আতর ব্যবসার আড়ালে হুন্ডির মাধ্যমে এ টাকা পাচার করা হয় বলে দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে। এমনকি ৫ আগসেটর পর তার বিলাসবহুল বাড়ি কাজী ক্যাসলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দীর্ঘদিন অবস্থান করেন বলে অভিযোগ ওঠে। 
পরবর্তীতে এলাকার লোকজন ওই বাড়িতে হামলা চালায়। এ ঘটনার পর বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। দুদক ও এনবিআর তার সম্পদের গোপন রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন হ দ ইসল ম ন হ দ ইসল ম অবস থ ন ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

‘সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ অর্থ কী

মহানবীকে স্মরণ করার সময় আমরা বলি, ‘সল্লাল্লাহু আলাই ওয়া সাল্লাম’, বাংলায় সংক্ষেপে যা ‘(সা.)’ দিয়ে বোঝানো হয়। ‘সল্লাল্লাহু’ আরবি দুটি শব্দের সমষ্টি। একটি হলো ‘সল্লা’, আরেকটি ‘আল্লাহু’। প্রথম সাধারণ অতীতবাচক ক্রিয়া, যার মূল শব্দটি হলো ‘সালাত’। ‘সল্লাল্লাহু’ মানে ‘আল্লাহ সালাত পড়ুন’।

যেমন, কোরআনে আছে, আল্লাহ-তায়ালা বলেছেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ ও তার ফেরেশতারা রাসুলের প্রতি সালাত পড়েন। ইমানদারগণ, তোমরাও তার প্রতি সালাত পড়ো এবং অধিক পরিমাণে সালাম বলো।’ (সুরা আহজাব, আয়াত: ৫৬)

‘সালাত’ শব্দের অনেক রকমের অর্থ আছে। ব্যবহার ভেদে এর অর্থ বিভিন্ন রকমের হয়। আমরা যে নামাজ পড়ি, তাকেও বলে সালাত। আবুল আলিয়া বলেন, মহানবীর (সা.) প্রতি আল্লাহর ‘সালাত’ হলো ফেরেশতাদের সামনে নবীজির (সা.) প্রশংসা করা। আর ফেরেশতাদের ‘সালাত’ মানে প্রার্থনা করা। (সংশ্লিষ্ট আয়াতের তাফসির, ইমাম বুখারি, কিতাবুত তফসির)

আরও পড়ুনকেন দরুদ পাঠ করব১৫ মার্চ ২০২৫

আর ‘আলাইহি’ শব্দের অর্থ ‘তার ওপর’। এবং ‘ওয়া সাল্লাম’ মানে এবং ‘তিনি শান্তি দিন’। সালাম মানে শান্তি। সুতরাং ‘সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ মানে আল্লাহ মুহাম্মাদের ওপর সালাত পড়ুন এবং শান্তি বর্ষণ করুন।

ফাতহুল বারিতে গ্রন্থকার ইবনে হাজার আসকালানি (রহ.) বলেন, এটাই সর্বোত্তম মত। নবীর (সা.) প্রতি আল্লাহর সালাতের অর্থ হবে, তার প্রশংসা করা এবং তাকে সম্মান জানানো। আর ফেরেশতা ও অন্যান্যদের সালাতের অর্থ হবে, আল্লাহর কাছে তার প্রশংসা ও সম্মান কামনা করা। অর্থাৎ, সম্মান ও প্রশংসা বৃদ্ধির কামনা করা। (ইমাম কাস্তালানি, আল-মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যা, ৩/৩১৯)

সাইয়েদ কুতুব (রহ.) বলেন, ‘নবীজির (সা.) প্রতি আল্লাহর সালাত’-এর অর্থ হলো, সুউচ্চ সভায় তাঁর প্রশস্তি বর্ণনা করা। আর ফেরেশতাদের সালাত হলো, আল্লাহর কাছে তার জন্য প্রার্থনা করা। তার মর্যাদা কত মহান। সৃষ্টির মধ্যে আল্লাহ কেবল তার নবীর (সা.) প্রশংসা করেন বারবার। যার আলোয় এই জগতের সব উদ্ভাসিত হয়, যার প্রত্যাশায় প্রতিটি বস্তু সাড়া দেয়, তিনি প্রশংসা করেন। নিশ্চয় তার প্রশংসা চিরন্তন ও অনন্ত। আল্লাহ তাআলা চান নিজের সালাম-সালাতের সঙ্গে মুমিনদের সালাত-সালামকে মিলিয়ে তাদের সম্মানিত করতে। (সুরা আহজাবের ৫৬ নম্বর আয়াতের তাফসির, তাফসিরে ফি জিলালিল কোরআন)

আরও পড়ুনদরুদ পড়ার ফজিলত১৫ জানুয়ারি ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ