আর্মেনিয়ার সঙ্গে শান্তিচুক্তি দেখতে চান ট্রাম্প
Published: 5th, April 2025 GMT
আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া দীর্ঘদিনের সংঘাত থামিয়ে শান্তিচুক্তি সই করুক, তা দেখতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের স্টেট ব্যুরো অব এনার্জি রিসোর্সেসের একজন জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা এরিক জ্যাকবস গতকাল শুক্রবার এ কথা বলেছেন।
বাকুতে আয়োজিত এক জ্বালানি সম্মেলনে জ্যাকবস এ কথা বলেন। তিনি বলেন, শান্তিচুক্তি হলে দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলে নিরাপত্তা সমৃদ্ধির নতুন যুগের সূচনা হবে। গত মাসে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার পক্ষ থেকে চার দশকের সংঘাত বন্ধ করে শান্তিচুক্তিতে সম্মত হওয়ার কথা জানানো হয়।
দেশ দুটি নাগারনো ও কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে চার দশকের বেশি সময় ধরে সংঘাত চালিয়ে যাচ্ছে। নাগোরনো-কারাবাখ আজারবাইজানের ভেতরে অবস্থিত একটি ভূখণ্ড, তবে এখানকার বাসিন্দাদের অধিকাংশই জাতিগতভাবে আর্মেনীয়। আজারবাইজানের অভিযোগ, নাগোরনো-কারাবাখসহ আশপাশের বিশাল আজারবাইজানি ভূখণ্ড দখল করে রেখেছিল আর্মেনিয়া।
এই অঞ্চল নিয়ে ১৯৯১ ও ২০২০ সালে রক্তক্ষয়ী সংঘাতে জড়ায় দুই দেশ। ধারাবাহিক যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আর্মেনিয়ানদের সহায়তায় অঞ্চলটি আজারবাইজানের কাছ থেকে কার্যত স্বাধীনতা অর্জন করে। তবে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে আজারবাইজান এটি পুনরুদ্ধার করে। সেখান থেকে এক লাখের বেশি জাতিগত আর্মেনিয়ান পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। তার পর থেকে দুই দেশই শান্তিচুক্তির কথা বলে আসছে। গত মাসে আকস্মিক দুই দেশ শান্তিচুক্তিতে সম্মত হওয়ার কথা জানায়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর ম ন য়
এছাড়াও পড়ুন:
এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।
উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।
উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।