লো পেনের মুক্তি চান ট্রাম্প–মাস্করা
Published: 5th, April 2025 GMT
ফ্রান্সের ডানপন্থী নেতা মারিন লো পেনের মুক্তি চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও ধনকুবের ইলন মাস্ক। ফ্রান্সের একটি আদালতে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে লো পেন দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ২০২৭ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। তবে তাঁর পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট সমর্থন জানিয়েছেন।
ট্রাম্প নিজের মামলাগুলোকে প্রায়ই বামপন্থীদের কারসাজি বলে মন্তব্য করে থাকেন। ফ্রান্সের ন্যাশনাল র্যালি (আরএন) দলের প্রধান লো পেনের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে বলে ট্রাম্প মন্তব্য করেছেন।
ট্রাম্প তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, লো পেনের বিরুদ্ধে উইচ হান্টের বিষয়টি ইউরোপীয় বামপন্থীদের বাক্স্বাধীনতা হরণ করার ও রাজনৈতিক বিরোধীদের সেন্সর করার আরেকটি উদাহরণ।
জেডি ভ্যান্সের পক্ষ থেকেও ডানপন্থী দলগুলোকে ক্ষমতার বাইরে রাখতে গণতান্ত্রিক উপায়ের অপব্যবহারের অভিযোগ তোলা হয়েছে। অন্যদিকে ইউরোপজুড়ে অতি ডানপন্থী নেতাদের সমর্থন দিয়ে যাওয়া ইলন মাস্ক তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ট্রাম্পের বার্তা শেয়ার করে লো পেনের মুক্তি দাবি করেছেন।
আরও পড়ুনরাজনীতি ছাড়ছেন না লো পেন, আইনি লড়াই করবেন০৩ এপ্রিল ২০২৫আরও পড়ুনদোষী সাব্যস্ত লো পেন, সরকারি দায়িত্ব পালনে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা৩১ মার্চ ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
৭ খুন মামলা: উচ্চ আদালতের রায় কার্যকরের দাবিতে মানববন্ধন
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আলোচিত সাত খুনের মামলায় উচ্চ আদালতের দেওয়া রায় কার্যকরের দাবিতে মানববন্ধন করেছে নিহতদের স্বজনরা। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের সহধির্মিনী ও নাসিক ২ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সেলিনা ইসলাম বিউটি, নুর মোহাম্মাদ ও আবুল খায়েরসহ অন্যান্যরা। বক্তারা অবিলম্বে উচ্চ আদালতের রায় কার্যকরের দাবি জানান।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র-২ নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জনকে অপহরণ করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ ভেসে ওঠে। সাতজনকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল দুটি মামলা দায়ের করেন।
হত্যাকাণ্ডের ১১ মাস পর ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী সংস্থা নারায়ণগঞ্জ জেলা ডিবি পুলিশ দুটি মামলার অভিন্ন চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন। চার্জশিটে নাসিক ৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি নুর হোসেন, র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মাদ, সাবেক কোম্পানি কমান্ডার মেজর আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার মাসুদ রানাসহ ৩৫ জনকে ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের একটি আদালত দণ্ড প্রদান করেন। এর মধ্যে ২৬ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৯ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।
উচ্চ আদালতে ২৬ জনের মধ্যে ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। বাকী ৯ জনকে দেওয়া কারাদণ্ডের রায় উচ্চ আদালত বহাল রাখেন। মামলাটি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন বলে জানা গেছে।