ঈদের ছুটিতে তূর্যর খুব ইচ্ছে ছিলো দাদাবাড়ি যাবে। কিন্তু মামুন ভাইয়া ভয় দেখালো।
‘গ্রামে কিন্তু বটগাছের ভূতের সামনে পড়তে পারিস!’
‘বটগাছের ভূত?’
মামুন ভাইয়া গম্ভীর মুখে বললো, ‘‘হুম! আমাদের গ্রামে এক পুরোনো বটগাছ আছে। সেখানে এক ভূত থাকে, নাম ‘বটুভূত’! সে নাকি রাতে একা একা ঘোরাফেরা করা ছোটদের ধরে নিয়ে যায়!’’
তূর্যর তো ভয়েই গা ছমছম করতে লাগলো। এমন জানলে সে এবার গ্রামেই আসতো না। কিন্তু মা বললেন, ‘আহা, এসব বাজে কথা! গ্রামে তো এলি, এখন নিজেই দেখে নে ভূত-টুত কিছু নেই।’
অবশেষে গ্রামে এক সন্ধ্যায় দাদাভাইয়ের সাথে উঠানে বসলো সে। তখনই হঠাৎ দূর থেকে একটা চাপা হাসির শব্দ এলো। দাদা ফিসফিস করে বলেন, ‘বুঝলি তূর্য, ওটা বটুভূতের হাসি!’
তূর্য সঙ্গে সঙ্গে দাদাভাইয়ের কোলে লাফিয়ে পড়লো। দাদাভাই হাসতে হাসতে বলেন, ‘আসলে জানিস, ওটা শিয়ালের ডাক!’
তূর্য একটু লজ্জা পেলো। ভেতরে ভেতরে স্বস্তিও লাগলো। তবু ভয়টা পুরোপুরি গেলো না।
রাতে ঘুমানোর সময় জানালার পাশ দিয়ে কিসের যেন ছায়া নড়লো! তূর্য আঁতকে উঠে চিৎকার করতে যাবে, এমন সময় মামুন ভাইয়া হাসতে হাসতে ঢুকলেন ঘরে। মাথায় একটা সাদা চাদর!
–‘ভাইয়া, তুমি?’
–‘হাহা! ভূতের ভয় পেয়েছিস?’
তূর্য এবার হাসতে শুরু করলো। মামুন ভাইয়াকে তাড়া করতে গিয়ে হঠাৎ পেছন থেকে আসলেই একটা গম্ভীর গলা শোনা গেলো–
‘কে আমার নাম নিল?’
এবার সত্যি সত্যিই সবাই দৌড় দিল!
এই ঘটনার পর তূর্য আর ভূতের ভয় পায় না, কিন্তু মামুন ভাইয়ার ভয় এখনও কাটেনি। কারণ সেই রাতে আসলেই কি কেউ ডাক দিয়েছিল? n
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
হাসিনাকে দেশে ফিরে মামলা মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ দিলেন ফখরুল
পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরে মামলা মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নে গণসংযোগকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
বিএনপির মহাসচিব এসময় শেখ হাসিনার শাসন আমলে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর চালানো নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন। গুম, খুন, ভিত্তিহীন মামলা, লুটপাট, টাকা পাচার, বাক স্বাধীনতা হরণ ও ভোট চুরিসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।
আরো পড়ুন:
জুলাই গণহত্যা: শেখ হাসিনাসহ ৪০৮ জনের বিরুদ্ধে আরেক মামলা
হাসিনা-রেহানাসহ ২২ জনের গ্রেপ্তার-সংক্রান্ত প্রতিবেদন ১২ মে
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের নেতাকর্মীদের গুম করা হয়েছে। লাখ লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে, তাদের ঘরে থাকতে দেননি আপনি। আমরা তো কোথাও পালিয়ে যাইনি। আদালতে মিথ্যা মামলা আইনের মাধ্যমে ফেইস (মোকাবিলা) করেছি। উকিল ধরে জামিন নিয়েছি। আপনি (শেখ হাসিনা) পালিয়ে আছেন কেন? আপনিও মামলা লড়েন। আপনি দেশে এসে দাড়ান না দেখি।”
জনগণের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, “আপনারা অনেকে মনে করেন শেখ হাসিনা আবারো দেশে ফিরে আসবেন। তিনি তো ১৫ বছর দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান একজন বিখ্যাত মানুষ ছিলেন। তার তো দেশ থেকে পালানোর কথা ছিল না। তিনি পালালেন কেন? কারণ তিনি একজন ডাইনি ছিলেন। জনগণের ওপর এমন নির্যাতন করেছেন যে তিনি পালাতে বাধ্য হয়েছেন। জনগণ যদি সেদিন তাকে পেত তাহলে ছিঁড়ে খেত।”
তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের বলেন, “হাসিনা দেশে ফিরে রাজনীতি করলে আমাদের কিছু করতে হবে না, জনগণই তাকে দেখে নেবে।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “বিএনপির নেতাকর্মীরা যেন আওয়ামী লীগের মতো অন্যায় না করে। এতে মানুষ ভালোবাসবে না। দলের কোনো নেতাকর্মীরা অন্যায় করলে যেন জেলার নেতারা তাদের শক্ত হাতে দমন করেন, তারা যেন অন্যায়কারীদের পুলিশের হাতে তুলে দেন। তাই অপকর্ম বন্ধ করুন, না হলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা হবে।”
ঢাকা/মঈনুদ্দীন/মাসুদ