শেষ রক্ষা হলো না দক্ষিণ কোরিয়ার ইউন সুকের
Published: 5th, April 2025 GMT
আদালতের রায়ও বিপক্ষে গেছে দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের। গতকাল শুক্রবার সর্বসম্মতিক্রমে ইউনের অভিশংসন বহাল রাখার পক্ষে ভোট দেন দেশটির সাংবিধানিক আদালতের বিচারকদের প্যানেল। এ রায়ের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির প্রেসিডেন্টের পদ থেকে তাঁকে অপসারণ করা হচ্ছে।
গত ডিসেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ায় অযাচিতভাবে সামরিক আইন জারির দায়ে প্রেসিডেন্ট ইউন সুককে অভিশংসন ও বরখাস্ত করা হয়। তখন পার্লামেন্টের ভোটে তাঁকে সাময়িকভাবে অপসারণ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী, বিষয়টি সাংবিধানিক আদালত পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু এতেও শেষ রক্ষা হলো না ইউন সুকের। আগামী দুই মাস, অর্থাৎ পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এ রায়ের মধ্য দিয়ে ইউনের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হলেও দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। রাজধানী সিউলের রাস্তায় ইউন সমর্থক ও বিরোধী হাজারো বিক্ষোভকারী অবস্থান নিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট হ্যান ডাক-স্যু জননিরাপত্তা বজায় রাখতে জরুরি আদেশ জারি করেছেন।
গত বছর তড়িঘড়ি সামরিক আইন জারি করে দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংকটের জন্ম দেন ইউন সুক ইওল। গতকাল আদালত রায়ে বলেছে, ইওলের সামরিক শাসন জারি ‘ন্যায়সংগত’ ছিল না। সাংবিধানিক আদালতের কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট বিচারপতি মুন হিয়ং-বে বলেন, জাতীয় জরুরি পরিস্থিতির কোনো অস্তিত্ব ছিল না। ওই পরিস্থিতি সেনা মোতায়েন ছাড়া ভিন্ন উপায়ে সমাধান করা সম্ভব ছিল।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নাটোরে যুবকের দুই হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন
নাটোরের সিংড়া উপজেলায় ইসরাফিল নামে এক যুবককে কুপিয়ে দুই হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সিংড়া উপজেলার হাতিয়ানদহ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ইসরাফিল ওই এলাকার তাইজুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ইসরাফিলের বাবা তাইজুল ইসলাম বহুদিন পূর্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সিংড়া উপজেলার হাতিয়ানদহ এলাকায় এসে বাড়ি করেন। তারা রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। বৃহস্পতিবার সকালে এলাকাবাসী ইসরাফিলের চিৎকারে এগিয়ে গিয়ে তাকে রাস্তার ধারে দুই হাত কাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতাল এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নাটোর সদর হাসপাতালের ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. সুব্রত বলেন, “রোগীর দুই হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন ছিল। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটা হয়েছে বলে মনে হলো। সকাল ৭টার দিকে রোগীকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেই সময় তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।”
সিংড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসমাউল হক জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এ বিষয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন বলেন, “রাজনৈতিক কোনো বিষয় নিয়ে ঘটনাটি ঘটেনি। পরকীয়া সংক্রান্ত একটা বিষয় থাকতে পারে, সেই বিষয়টাও যাচাই-বাছাই করছি। যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তাদেরকে শনাক্তসহ গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলমান রয়েছে।”
ঢাকা/আরিফুল/টিপু