বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ও মুক্তিযুদ্ধ– দুটি একই সময়ে একই সঙ্গে হাত ধরাধরি করে চলছে। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে নারীর চেতনার যে জাগরণ ঘটেছিল, তাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে নারীর শক্তি সংগঠিত হয়েছে, নারী আন্দোলন অগ্রসর হয়েছে। এ চেতনা রক্ষায় যেমন সংকট তৈরি হয়েছে, তেমনি নারীর জীবনে চলার ক্ষেত্রেও এসেছে সংকট।

গতকাল শুক্রবার মহিলা পরিষদের ৫৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সুফিয়া কামাল ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি ডা.

ফওজিয়া মোসলেম এসব কথা বলেন। ‘দক্ষ সংগঠক গড়ে তুলি, সংগঠনকে সংহত করি’ স্লোগানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় সংগঠন সম্পাদক উম্মে সালমা বেগম। জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন ঢাকা মহানগর কমিটির সদস্য সৈয়দা রত্না, মাধবী বণিক ও রোকেয়া সদনের তত্ত্বাবধায়ক অশ্রু ভট্টাচার্য।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় চাপাতিসহ তিন ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

বগুড়ায় চাপাতিসহ তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। বৃহস্পতিবার রাতে শহরের কলোনি বটতলা ও সদর থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় একটি ধারালো চাপাতি ও ছিনতাই করা নগদ ১৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- শাজাহানপুর উপজেলার লতিফপুর মধ্যপাড়া এলাকার আজিজ শেখের ছেলে আরিফ শেখ, চকফরিদ কলোনির আব্দুল খালেক বাদলের ছেলে তারিকুল ইসলাম তারেক এবং একই উপজেলার গন্ডগ্রামের খোরশেদ আলম বুদুর ছেলে জাহিদ হোসেন।

ডিবি সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২১ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়া শহরের চকফরিদ কলোনির ফাতেমা কোর্টেজের সামনে যমুনা গ্যাস সিলিন্ডারের ডিলার মোছা. আম্বিয়া খাতুনের ম্যানেজার মো. তারেকের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় একদল ছিনতাইকারী। তারা ম্যানেজারকে ছুরিকাঘাত করে ৯ লাখ ১৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় পরদিন বগুড়া সদর থানায় একটি মামলা হয়।

গোয়েন্দা পুলিশ এ ঘটনায় প্রথমে বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের কলোনি বটতলা এলাকা থেকে আরিফ শেখকে গ্রেপ্তার করে। তার প্যান্টের কোমরের পেছনে লুকানো অবস্থায় ১৫ ইঞ্চি লম্বা একটি ধারালো চাপাতি উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ওইদিন রাতেই সদর থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা ১৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

বগুড়া ডিবির ইনচার্জ ইকবাল বাহার বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র ও বাকি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ