Samakal:
2025-04-25@20:54:30 GMT

বিপজ্জনক ৪০ বাঁক, মরণফাঁদ

Published: 4th, April 2025 GMT

বিপজ্জনক ৪০ বাঁক, মরণফাঁদ

চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক। চার উপজেলাবাসীর জেলা শহরে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ পথ। ৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কে ৪০টি বিপজ্জনক বাঁক রয়েছে। প্রায়ই এসব বাঁকে দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১০ হাজারের বেশি অটোরিকশা, বাস ও মিনিবাস চলাচল করে এ সড়কে। দুর্ঘটনায় গত বছর ৪০ জন নিহত হয়েছে। গত তিন মাসে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন কোনো না কোনো স্থানে দুর্ঘটনা ঘটে। এর কারণ ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক, চালকের অদক্ষতা, চালক ও সহকারীর নেশাসক্তি, ফিটনেস ও লাইসেন্সবিহীন যানবাহন এবং ফুটপাত দখল। পুরোনো লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি লাইসেন্সবিহীন চালকরা বেপরোয়া গতিতে চালান। এ কারণে এই সড়ক মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।

চট্টগ্রাম থেকে আসা রাঙ্গুনিয়ার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নাসরিন সুলতানা জানান, ঘন ঘন বাঁকের কারণে চালকদের গাড়ি চালাতে অসুবিধা হয়।

মোটরসাইকেল চালকের বেশির ভাগ কিশোর-যুবক শ্রেণির। হেলমেট ব্যবহারসহ সড়ক আইন মানার ব্যাপারে তারা উদাসীন। দুই থেকে তিনজন আরোহী নিয়ে বেপরোয়া গতিতে চালায়। সড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। দু-এক জায়গায় থাকলেও যথাযথ দায়িত্ব পালন করে না।

রাঙ্গুনিয়া সিনিয়র জজ আদালতের আইনজীবী নুরুল আলম জানান, এই সড়কের রাঙ্গুনিয়ায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বঙ্কিম চন্দ্র বলেন, এ সড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। এর কোনো সুরাহা নেই।

চন্দ্রঘোনার সমাজকর্মী মুহাম্মদ ইলিয়াছ কাঞ্চন চৌধুরী বলেন, এই সড়কে আমি দুর্ঘটনায় দীর্ঘদিন কষ্ট পেয়েছি। এই সড়ক প্রশস্ত এবং বাঁক সোজা করতে হবে।
চট্টগ্রাম-কাপ্তাই বাস মিনিবাস ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো.

শাহ আলম জানান, এই সড়কের বাঁকগুলো নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। বিশেষ করে বাঁক সোজা, বিভাজক কিংবা গতিরোধক স্থাপন করতে হবে। আমরা তাদের কর দেই। কিন্তু, সড়ক নিরাপদ করার জন্য তারা উদ্যোগ নেয় না।

রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার পরদর্শক (তদন্ত) সুজন হাওলাদার জানান, বাঁকে বিভাজক স্থাপন ও গতিরোধ করতে হবে। এতে দুর্ঘটনা কমে যাবে।

সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী শিবেন্দু খাস্তগীর জানান, দুর্ঘটনা রোধে বাঁকে গতিরোধক ও সাইনবোর্ড স্থাপনসহ পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, সড়ক বিভাগের সঙ্গে কথা বলে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ র ঘটন ই সড়ক

এছাড়াও পড়ুন:

সীমান্তে গোলাগুলি, ফিরছেন ভিসা বাতিল হওয়া নাগরিকেরা

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে সীমান্তে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর এ গোলাগুলি হয়। এই পরিস্থিতিতে পারমাণবিক অস্ত্রধারী প্রতিবেশী দুই দেশকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

এদিকে পাল্টাপাল্টি ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্তের পর ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিকেরা নিজ নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছেন। দুই দেশই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।

কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করে আসছে ভারত। এ ঘটনায় পাকিস্তানকে জড়িয়ে ভারতের দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে গতকাল শুক্রবার পাকিস্তানের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে সর্বসম্মতভাবে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারতকে সতর্কও করেছে পাকিস্তান। এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, দুটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধ সব সময়ই উদ্বেগের। যদি পরিস্থিতি খারাপের দিকে যায়, তাহলে এই সংঘাত একটি করুণ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

পেহেলগামে হামলার পর নিরাপত্তা পরিস্থিতি সরেজমিন খতিয়ে দেখতে গতকাল কাশ্মীর গেছেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী।

ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি তিনি হামলার স্থলও পরিদর্শন করেন। আগের দিন সর্বদলীয় বৈঠকে কাশ্মীরে নিরাপত্তাব্যবস্থায় যথেষ্ট গাফিলতি ছিল বলে স্বীকার করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

গত মঙ্গলবার বিকেলে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র বৈসারণ উপত্যকায় বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামে স্বল্প পরিচিত একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী।

এই হামলায় পাকিস্তানের মদদ আছে অভিযোগ তুলে গত বুধবার প্রতিবেশী দেশটির নাগরিকদের ভিসা বাতিল ও সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিতসহ পাঁচটি পদক্ষেপ নেয় ভারত। জবাবে পরদিন ভারতের নাগরিকদের ভিসা বাতিল, দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্থগিত, আকাশসীমা বন্ধসহ বেশ কয়েকটি পাল্টা পদক্ষেপ নেয় পাকিস্তান।

পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে অব্যাহত উত্তেজনার মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি হয়। ভারতের সেনাবাহিনীর সূত্রগুলো দাবি করেছে, পাকিস্তানের সেনারা প্রথম গুলি করেছেন। পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের কর্মকর্তা সৈয়দ আশফাক গিলানি গোলাগুলির খবর নিশ্চিত করেছেন। তবে কোন পক্ষ আগে গুলি চালিয়েছে, সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।

পাকিস্তান থেকে ফিরে স্বজনদের সঙ্গে ভারতের এক নাগরিক (মাঝে)। গতকাল ভারতের অমৃতসর শহরের ওয়াঘা সীমান্তে

সম্পর্কিত নিবন্ধ