পান্ডিয়ার প্রথম ৫ আর সূর্য–ঝড়ের পরও মুম্বাইয়ের হার
Published: 4th, April 2025 GMT
অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া তাঁর টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে সেরা বোলিং করেছেন। তারপরও লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস ২০০ পেরোনো ইনিংস পেয়েছে। জয়ের জন্য মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে লক্ষ্য দিয়েছে ২০৪ রানের। এটা কত কঠিন, সেটা বোঝাতেই লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের ইনিংস বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ইএসপিএনক্রিকইনফো একটি তথ্য দিয়েছে-লক্ষ্ণৌয়ের একানা স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টিতে এটা ২০০ পেরোনো দ্বিতীয় ইনিংস।
টি-টোয়েন্টিতে পান্ডিয়ার প্রথম ৫ উইকেট পাওয়ার কীর্তির পর ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন মুম্বাইয়ের সূর্যকুমার যাদব। এরপরও কঠিন কাজটা করতে পারেননি মুম্বাই। এ দুজনের মিলিত প্রয়াসে শেষ ওভাড়ে গড়ানো নাটকীয় ম্যাচে লক্ষ্ণৌয়ের কাছে ১২ রানে হেরেছে পান্ডিয়ার দল। লক্ষ্ণৌয়ের ৮ উইকেটে করা ২০৩ রানের জবাবে মুম্বাই ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তুলতে পেরেছে ১৯১ রান। এবারের আইপিএলে চার ম্যাচে এটি মুম্বাইয়ের তৃতীয় হার।
ভালো ব্যাটিং করলেও হারের হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের খেলোয়াড়দের.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।
উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।
উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।