নিরাপত্তা শঙ্কায় জিডি করলেন সেই নারী সাংবাদিক
Published: 4th, April 2025 GMT
নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন রাজধানীর বনশ্রীতে হেনস্তার শিকার সাংবাদিক রাফিয়া তামান্না। শুক্রবার তিনি রামপুরা থানায় এই জিডি করেন। এতে তিনি বলেন, ফেসবুকের বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপ থেকে তাঁর সম্পর্কে মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।
রামপুরা থানার ওসি মোহাম্মদ আতাউর রহমান আকন্দ সমকালকে বলেন, ভুক্তভোগীর অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তাঁর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। আমাদের ফোন নম্বর তাঁকে দেওয়া হয়েছে। কখনও যদি তিনি অনিরাপদ বোধ করেন, প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করব।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় বনশ্রী ই-ব্লকের তিন নম্বর সড়কের একটি জুসের দোকানে রাফিয়ার সঙ্গে অশোভন আচরণ ও আপত্তিকর মন্তব্য করেন এক ব্যক্তি। সেখান থেকে বের হওয়ার পর আরও দু-তিনজন এসে তাঁকে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তারা রাফিয়া ও তাঁর ভাই এবং রাফিয়ার বন্ধুকে মারধর করেন। এ সময় শ্লীলতাহানির শিকার হন রাফিয়া। এ ঘটনায় তিনি রামপুরা থানায় মামলা করেন। ইতোমধ্যে প্রধান অভিযুক্ত সোয়েব রহমান জিশানসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যা ব-৩।
জিডিতে রাফিয়া লিখেছেন, তিনজন গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশের পর তাদের বন্ধু ও আত্মীয়রা মিলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, বিশেষ করে ‘বনশ্রীবাসী’, ‘প্রিয় বনশ্রী’, ‘রামপুরা বনশ্রী আফতাবনগর’ নামে ফেসবুক গ্রুপে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ ছাড়া নাফিস আহমেদ ইমন, চৌধুরী নাবিল, মুনতাশাম হোসেন এবং আরও কিছু আইডি থেকে গ্রুপের অ্যাডমিনদের সাহায্যে ও ‘শাহবাগীমুক্ত বাংলাদেশ চাই’ নামে পেজ থেকে সংঘবদ্ধ প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এভাবে ঘৃণা ছড়ানোর মাধ্যমে তাঁর ওপর আবারও আক্রমণের চেষ্টা হচ্ছে বলে মনে করছেন রাফিয়া। এতে তিনি নিরাপত্তা শঙ্কায় ভুগছেন।
পুলিশ জানায়, প্রধান তিন অভিযুক্তকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বনশ র
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে ৯দফা দাবিতে ভূমি মালিকদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল
রূপগঞ্জে "ভূমিদস্যু নিপাত যাক কায়েতপাড়াবাসী মুক্তি পাক, অবৈধভাবে বালুভরাট বন্ধ কর, করতে হবে" বিভিন্ন স্লোগানে ৯দফা দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ভূমি মালিকরা।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার ইছাখালী বাজারে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলে বক্তারা বলেন একটি মহল কায়েতপাড়া ইউনিয়নের মধ্যে আবাসিক প্রকল্পের নামে অধিকাংশ জমি ক্রয় না করেই দুই ফসলি বা তিন ফসলি জমি ড্রেজার এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে বালু দিয়ে ভরাট করে ফেলেছে।
আবার কোন কোন ক্ষেত্রে জমি ক্রয় না করে এবং জমির মালিককে না জানিয়েই তাকে কোন ক্ষতিপূরণ না দিয়েই লাল নিশানা উড়িয়ে রাস্তা নির্মান করা হচ্ছে যা বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ও সংবিধান বহির্ভূত।
তাছাড়া এই এলাকার বসতবাড়ি উঠিয়ে দিয়ে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের স্থায়ী বাসীন্দাদের পুনর্বাসনের কোন সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা না করে তাদেরকে সরিয়ে দিয়ে তারা তাদের প্রকল্প বাস্তবায়ন করে ফেলবে যার কিছু নজির এখন স্পষ্টতই দৃশ্যমান।
ফলে আমরা কায়েতপাড়ার আপামর জনসাধারণ এবং ইউনিয়নের স্থায়ীবাসীন্দারা এই অন্যায়ের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করি এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হস্তক্ষেপ কামনা করি।
দাবি গুলোর মধ্যে ছিল, "জমি ক্রয় না করে অবৈধভাবে বালি ভরাট বা রাস্তাঘাট নির্মাণ করা যাবেনা। "জমি না কিনে ইতিমধ্যেই অবৈধভাবে বালি ভরাটকৃত জমির ন্যায্যমূল্যসহ ক্ষতিপূরণ জমির মালিককে প্রদান করতে হবে"। "আবাসন প্রকল্প অবশ্যই বসতবাড়ির বাইরে থাকতে হবে"।
"অবিলম্বে আবাসন প্রকল্পের সীমানা নির্ধারণ ঘোষণা করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী আবাসন প্রকল্প নির্মাণ করতে হবে। প্রকল্প এলাকায় আবাসন প্রকল্পের ম্যাপ টানিয়ে রাখতে হবে"। "বসতবাড়ি থেকে কমপক্ষে ১০০০ ফিট দূরে আবাসন প্রকল্পের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে হবে"।"
আবাসন প্রকল্পের কোন রাস্তা করার ক্ষেত্রে বসতবাড়ির মধ্য দিয়ে করা যাবেনা। একান্ত প্রয়োজনে বসতবাড়ির মধ্য দিয়ে করতে হলে অবশ্যই বাড়ির মালিককে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণসহ তাকে প্রকল্পের মধ্য থেকে একটি প্লট বরাদ্দ করতে হবে।
আর যদি ফসলি জমির মধ্য দিয়ে রাস্তা করা হয় তবে অবশ্যই রাস্তা নির্মানের জন্য প্রয়োজনীয় জমির ন্যায্যমূল্য এবং ফসলের ক্ষতিপূরণ জমির মালিককে প্রদান করতে হবে"। " ক্ষতিপূরণ দেয়ার আগে কোনভাবেই বাড়ির মালিককে উচ্ছেদ করা যাবেনা"।
"জমির প্রকৃত মালিক ও দখলে থাকা ব্যাক্তির নিকট থেকে জমি ক্রয় করতে হবে। ওয়ারিশ এর নিকট থেকে জমি ক্রয়ের নামে কম মূল্যে জমি ক্রয় করে জমির প্রকৃত মালিক ও দখলদারকে উচ্ছেদ করা যাবেনা"।" বসতবাড়ির চেয়ে উঁচু করে বালি ভরাট করা চলবে না।