ইউনূস-মোদির বৈঠক দুদেশের জন্য ‘আশার আলো’: মির্জা ফখরুল
Published: 4th, April 2025 GMT
বাংলাদেশ ও ভারতের সরকার প্রধানের মধ্যকার বৈঠককে দু’দেশের জন্য ‘আশার আলো’ হিসেবে দেখছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠক হয়েছে, এটি খুবই আনন্দের। আমরা মনে করি, ভূ-রাজনীতি, বর্তমান বিশ্ব রাজনীতি ও বাংলাদেশ-ভারতের এ অঞ্চলের প্রেক্ষাপটে ড.
তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের যে তিক্ততা তৈরি হয়েছিল, সেটি যেন আর সামনে না এগোয় অথবা কমে আসে, বৈঠকে সে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি যতদূর দেখেছি, তাতে মনে হয়েছে– এ ব্যাপারে দু’জনই যথেষ্ট আন্তরিক এবং নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ ও ভারত– দু’দেশের মানুষের উপকারে আসবে।’
গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার আগে ক্রীড়াঙ্গনের কর্মকর্তা, ক্রীড়াবিদ ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মির্জা ফখরুল।
এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ম র জ ফখর ল ইসল ম আলমগ র ড ইউন স ব এনপ ফখর ল
এছাড়াও পড়ুন:
সোনাইমুড়ীতে চাঁদা চেয়ে চিঠি, না পেয়ে প্রতিষ্ঠানে তালা
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর আমিশাপাড়া বাজারে চাঁদার দাবিতে একটি দোকানে তালা লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। চাঁদা না দেওয়ায় এ কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আবুল বাশার পাটোয়ারী। তিনি জানান, পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) নোয়াখালী প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সাংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ব্যবসায়ী আবুল বাশার পাটোয়ারী।
আবুল বাশার পাটোয়ারী জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি আমিশাড়া বাজারে ফার্নিচার ও হার্ডওয়ার সামগ্রির ব্যবসা করছেন। রমজান মাস শুরুর চার-পাঁচদিন আগে দোকানের সার্টার খুলে দেখেন ভেতরে একটি চিঠি। খুলে দেখেন, নাম-পরিচয় না দেওয়া এক ব্যক্তি তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন। চিঠি পাওয়ার পর তিনি বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীদের বিষয়টি অবহিত করেন।
আরো পড়ুন:
ছিনতাইয়ের ছক এক মাস আগে, রিকশাচালককে নিয়ে হয়েছিল মহড়া
মাদক প্রতিবেদন: ফেনীর সেই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা
গত ১৬ এপ্রিল রাতে নাম না জানা ব্যক্তি তার দোকানে তালা লাগিয়ে দেন। পরদিন সকালে তিনি দোকানে গিয়ে তালা দেখে এ বিষয়ে সোনাইমুড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
আবুল বাশার পাটোয়ারী জানান, পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে সিসিটিভির ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে দেখে, আমিশাপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. কামাল তার সহযোগীদের নিয়ে দোকানে তালা দিয়েছেন। পরে পুলিশ কামালকে থানায় ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি তালা দেওয়ার ঘটনা স্বীকার করেন। তবে, পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি।
তিনি আরো জানান, এরপর থেকে কামাল হোসেন নানাভাবে হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন। বর্তমানে তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
চাঁদা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করে মো. কামাল জানান, তিনি দোকানে তালা দিয়েছেন এটা যেহেতু তারা সিসিটিভির ফুটেজে দেখেছে এ বিষয়ে তিনি কিছু বলবেন না। তবে, আবুল বাশার পাটোয়ারীদের সঙ্গে পারিবরিক বিষয় নিয়ে পূর্বের বিরোধ রয়েছে। তাদের দায়ের করা একটি মামলায় ২০০৯ সালে তিনি কারাগারে ছিলেন। ওই বিরোধের জেরে ক্ষোভ থেকে তিনি দোকানে তালা দিয়েছেন বলেও জানান।
তিনি আরো জানান, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। আগামীতে তিনি আমিশাপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করছেন। তাকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি মো. মোরশেদ আলম বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে দোকানে তালা দেওয়ার ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে আবুল বাশারের পূর্ব বিরোধ ও মামলা রয়েছে। আবুল বাশার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের বর্ণনায় একটি অংশ নিয়ে তার আপত্তি থাকায় সেটি আর মামলা হিসেবে রুজু করা হয়নি। পরে ওই ব্যক্তিকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”
ঢাকা/সুজন/মাসুদ