‘ম্যারাডোনা ব্র্যান্ড’ নিয়ে ফুফুদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন তাঁর মেয়েরা
Published: 4th, April 2025 GMT
চার বছরের বেশি সময় হয়েছে ডিয়েগো ম্যারাডোনা নেই! ফুটবল ছেড়ে, পৃথিবী ছেড়ে ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর চলে গেছেন কিংবদন্তি ফুটবলার। তাঁর চলে যাওয়ার পেছনে অন্য কোনো কারণ ছিল কি না, সেটা খতিয়ে দেখছেন বুয়েনস এইরেসের সান ইসিদরো আদালত।
ম্যারাডোনার শেষ দিনগুলোয় তাঁর চিকিৎসায় নিয়োজিত ছিলেন আটজন চিকিৎসক। তাঁদের মধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলাজনিত অপরাধের অভিযোগ এনে মামলা করেন ম্যারাডোনার দুই মেয়ে দালমা ও জিয়ান্নিনা। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতেই চলছে বিচার কার্যক্রম। বাদীপক্ষের হয়ে আদালতে লড়ছেন আর্জেন্টাইন আইনজীবী ফের্নান্দো বার্লান্দো। গত মঙ্গলবার এক টিভি অনুষ্ঠানে এই আইনজীবী বলেছিলেন, ‘ম্যারাডোনাকে হত্যা করা হয়েছে, তাঁর সঙ্গে পশুর মতো আচরণ করা হয়েছে।’
বার্লান্দোর এমন বিস্ফোরক মন্তব্যের রেশ কাটতে না কাটতে ম্যারাডোনার পাঁচ বোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ক্লদিয়া দাবি করেছেন, শক্তিশালী ব্যক্তিত্বের কারণে ম্যারাডোনা কখনো কখনো চিকিৎসা নিতেও অনীহা প্রকাশ করতেন। বৃহস্পতিবার আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন বাদীপক্ষের দুজন—ম্যারাডোনার দুই বোন ক্লদিয়া ও আনা। সেখানে ক্লদিয়া বলেছেন, ‘আমার ভাই মাঝেমধ্যেই চিকিৎসা নিতে অনীহা প্রকাশ করতেন। মূলত তাঁর শক্তিশালী ব্যক্তিত্বের জন্যই এমনটা হতো।’ এর সঙ্গে আরেক বোন আনা আদালতকে জানান, ‘আসলে তিনি নিজে যেটা চাইতেন, সেটাই করতেন।’
নিজেদের আইনজীবীর সঙ্গে ম্যারাডোনার দুই বোন আনা (মাঝে) ও ক্লদিয়া (ডানে).উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাবাকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার রান্ধুনীমুড়া গ্রামে মাদকসেবনের টাকা না পেয়ে বাবা তাজুল ইসলামকে (৬৫) দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ছেলে মো. সুমনকে (৩৪) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে চাঁদপুরের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ সামছুন্নাহার এ রায় ঘোষণা করেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সুমন উপজেলার রান্ধুনীমুড়া গ্রামের কাজীমুদ্দিন ব্যাপারী বাড়ির তাজুল ইসলামের ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সুমন মাদকাসক্ত হওয়ায় তাকে চিকিৎসা করানো হয়। এরপরও তিনি মাদক ছাড়তে পারেননি। ২০১৮ সালের ৩ জুন বিকেলে মাদকসেবনের জন্য টাকা চান তিনি। কিন্তু টাকা না পেয়ে বাবা তাজুল ইসলামকে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় তাজুল ইসলামের মেয়ে হালিমা বেগম পাখি বাদী হয়ে সুমনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর ১১ জুন পুলিশ সুমনকে গ্রেপ্তার করে চাঁদপুর আদালতে সোপর্দ করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন তাৎকালীন হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. খলিলুর রহমান চৌধুরী। তিনি মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৪ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কোহিনুর বেগম বলেন, ‘আসামি অপরাধ স্বীকার করায় এবং মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে বিচারক এ রায় করেন।’
আসামিপক্ষে ছিলেন স্টেট ডিফেন্ড আইনজীবী শফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া।