বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ্ আলম বলেছেন, আল্লাহর রহমতে আপনেরা চিন্তা করবেন না। আমি শাহ আলম নিবার্চন করলে নমিনেশন পাওয়ার ক্ষমতা রাখি। ইনশাল্লাহ আমি নির্বাচন করব। কারন আমি দেখতাছি শুনছি কি হচ্ছে। 

বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) ফতুল্লা থানা বিএনপি অঙ্গ সংগঠন নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে এক বৈঠকে বসে তিনি এসব কথা বলেন। 

এ সময় তিনি আরও বলেন, আমি যদি উসকাই দেই নেতাকর্মীদের মিছিলে তোমরা ভাংচুর চালাও। আমিতো জানি কি হবে। আমি যদি উসকাইয়া দেই তাহলে সব নেতাকর্মী নাইম্মা একটা ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হবে।

এতে করে কিন্তু আমার কোন ক্ষতি হবে না ক্ষতি হবে নেতাকর্মীদের। কিন্তু কেন বলি না তা তো আমি জানি। কারণ আমি এগুলা চাই না। আমার কাছে আপনারা সবাই নিরাপদ। কারণ আমি আমার প্রয়োজনে কোনদিন কাউকে ব্যবহার করি নাই করবো না। 

শাহ আলম বলেন, গত পাঁচ এ আগস্ট এর পর থেকে অনেকে আমার কাছে এসে ভাই আসেন আমরা দ্বিধা দ্বন্দ্ব ভুলে একসাথে রাজনীতি করি। আমি কোনদিন চাইনি যে আমার পিছনে দাঁড়িয়ে কোন সন্ত্রাসীরা ছবি তুলুক।

তাহলে মানুষে বলবে এতদিন গডফাদার ছিল শামীম ওসমান এখন হল শাহ্ আলম। রাজনীতি করতে এসেছি দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করতে এবং সুনামের জন্য। 

তিনি আরও বলেন, আমরা কয়েক দিনের মধ্যে সেন্ট্রাল কমিটি করব। এ কমিটি তাদেরকে নিয়ে করব যারা বিএনপিকে ভালোবাসে অথচ রাজনীতি করে না কিন্তু সমাজে তাদের ভালো অবস্থান রয়েছে তাদেরকে নিয়ে সেন্ট্রাল কমিটি করব। 

যাদেরকে নিয়ে হাঁটলে ভোট পাওয়া যাবে তাদেরকে নিয়ে হাঁটতে হবে। যাদেরকে নিয়ে হাঁটলে দলের ভোট কমবে তাদেরকে নিয়ে হাঁটা যাবে না। আর তোমরা এমন কোন কাজ করবে না জানি দলের দুর্নাম হয় দলের সুনাম হয় এমন কাজ করতে হবে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ত র ক রহম ন ন ত কর ম

এছাড়াও পড়ুন:

চীনের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে যেতে ইইউ

ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন না করেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে যেতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ব্রাসেলস ও ওয়াশিংটনের মধ্যে চলমান আলোচনা প্রসঙ্গে এ কথা জানিয়েছে সংস্থাটি । চীনের সংবাদমাধ্যম সিএমজি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, ৭০টির বেশি দেশের সঙ্গে শুল্ক আলোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। বেইজিংয়ের সঙ্গে তাদের বাণিজ্য সীমিত করার একটি পরিকল্পনা চলছে।
দ্য আইরিশ টাইমস জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের চাওয়া- ইইউ যেন চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি পক্ষ বেছে নেয়। তবে ইউরোপীয় কমিশনের উপমুখপাত্র আরিয়ানা পোদেস্তা স্পষ্টভাবে বলেছেন, চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের এই আলোচনা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমাদের চীন নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি।

তিনি জানান, চীন-ইইউ সম্পর্ক নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন কমিশন প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লায়েন। তাঁর পক্ষ থেকে বেইজিংয়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও বজায় রাখা হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য ঝুঁকি হ্রাস করা। বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া নয়।

ইউরোপের ভ্যাট এবং টেক জায়ান্টদের বিভিন্ন নিয়মকে অন্যায্য সুবিধা মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর জবাবে কমিশন বলেছে, ইউরোপের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সুস্থতার প্রশ্নে কোনো আপস হবে না।

ভন ডার লায়েন জানান, বিশ্ব ব্যবস্থা যত অনিশ্চিত হচ্ছে, ইউরোপের পাশে দাঁড়াতে আগ্রহী দেশের সংখ্যাও বাড়ছে। অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য ও ইইউকে বহুপক্ষীয় বাণিজ্য ব্যবস্থার পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। ব্রুগেলের সিনিয়র ফেলো আন্দ্রে সাপিরও বলেছেন, মার্কিন শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় ইইউর একটি আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত বাণিজ্য জোট গঠন করা উচিত।

তিনি বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার দ্বারা প্রকাশিত উন্মুক্ত ও নিয়মভিত্তিক বাণিজ্যের জন্য ইইউ নেতাদের জি-২০ এবং জি-২০-বহির্ভূত দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ