নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার বুরুন্দী ঈদগাহের জমি ওয়াকফা দাবিতে মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) বাদ জুম্মা বুরুন্দী উত্তরপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও বুরুন্দী তিন তারা জামে মসজিদসহ এলাকাবাসী আয়োজনে বুরুন্দী ঈদগাহ মাঠে এ মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ঈদগাহর জমি নিয়ে কোনরকম তামাশা বরদাশত করা হবে না। গ্রামবাসী ঈদগাহর জন্য টাকা দিয়েছে সেই অনুযায়ী এই জমি ঈদগাহ হিসেবে আমরা জানি। এই জমি শুধু বুরুন্দি ঈদগাহ হিসেবেই ব্যবহার হবে। আপনাদের কোন মাসালা থাকলে আসুন আমাদের সঙ্গে বসুন। তারপর অাপনারা যদি আমাদেরকে বুঝাতে সক্ষম হন তবেই আমরা মেনে নিবো। আমরা কোন বিরোধ চাইনা। আমরা শান্তি চাই। আমরা কাউকে নিয়ে  কটাক্ষ করতে চাইনা। সমাজিকভাবেই ফয়সালা হোক। এই জমি ঈদগাহ হিসেবে সরকারি খাতায় নাম উঠেছে বেশ কয়েকবার সরকারি অনুদানও নেয়া হয়েছে এখন কেনো এতো তাল বাহানা আর নাটক শুরু হয়েছে।

বুরুন্দী তিন তারা জামে মসজিদ কমিটি সভাপতি হাজী আবু হানিফার সভাপতিত্বে  মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন বুরুন্দী উত্তরপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি  নাজিম উদ্দিন, একই কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি হাজী কবির হোসেন ভূইয়া, বুরুন্দী উত্তরপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মোতয়ালী হাজী সাফিজ্জামান প্রধান, সাধারন সম্পাদক হাজী আলতাফ হোসেন ভূঁইয়া, সহ সভাপতি  আলমগীর প্রধান, বুরুন্দী তিন তারা জামে মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক হাজী জাকির হোসেন বিল্পব সরকার, সহ সভাপতি হাজী আব্দুল মান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক উজ্জ্বল সরকার, সাহাগ নূর, বুরুন্দী উত্তরপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সহ সাধারন  সম্পাদক নাসির ভূইয়া, একই কমিটির অর্থ সম্পাদক হাজী মোস্তাকিম মাছুম, সহ সাধারন সম্পাদক হাজী মহসিন প্রধান।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, বুরুন্দী এলাকার সমাজ সেবক হাজী দেলোয়ার হোসেন প্রধান, মোখলেস মাষ্টার, জাহাঙ্গীর শাহ, বাবুল মিয়া, রাকিব হোসেন, সালাউদ্দিন সিপন প্রধান, আব্দুল কাদির, আফসার উদ্দিন প্রধান, মফিজুল ইসলাম ভূইয়া, হাজী আব্দুল মোতালেব, মজনু সরকার, আলমগীর সরকার, আলামিন সরকার, মিজানুর, মোসলেউদ্দিন প্রধান, জাকির প্রধান, রাসেল প্রধান, আলিম উদ্দিন,  রুবেল মাষ্টার, নাজির মাহামুদ ও কবির সরকারসহ স্থানীয় এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ কম ট র সরক র ঈদগ হ মসজ দ

এছাড়াও পড়ুন:

ফেনীতে একাধিক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা, প্রতিবাদে মানববন্ধন-সমাবেশ

ফেনীতে গণমাধ্যমে কর্মরত একাধিক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন রহিম উল্লাহ নামের এক বিএনপি নেতা। রহিম উল্লাহ জেলার ফুলগাজী উপজেলার আমজাদহাট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। একটি সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে গতকাল বুধবার বিকেলে এই মামলা করেন তিনি। তবে অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও হয়রানিমূলক দাবি করে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার কর্মরত সাংবাদিকেরা প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন।

ফুলগাজীর আমলি আদালতের বিচারক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা তুজ জোহরার আদালতে মামলা দায়েরের পর আদালত আমলে নিয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টের ফেনী জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক ফেনীর নিজস্ব প্রতিবেদক তারেক চৌধুরী, দৈনিক ফেনী পত্রিকার সম্পাদক আরিফুল আমিন, দৈনিক ফেনীর প্রতিবেদক মামুনুর রহমান, ঢাকা পোস্টের জামশেদ আলম ও ওমর ফারুক।

জানা যায়, ২২ এপ্রিল ‘সীমান্তে চোরাচালান সাম্রাজ্যে ইউপি সদস্য, বললেন ব্যবসা করি’ শিরোনামে ফুলগাজী উপজেলার আমজাদহাট ইউনিয়নে মাদকের কারবার, চোরাচালান ও মানব পাচার চক্র নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে দৈনিক ফেনী ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্ট। এই প্রতিবেদন ছাপা হওয়ার পরই মামলা করেন রহিম উল্লাহ।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ৪ এপ্রিল দৈনিক ফেনীর সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে রহিম উল্লাহর সঙ্গে কিছু কথা বলার জন্য সময় চান তারেক চৌধুরী। ১৮ এপ্রিল চারজন সাংবাদিক দৈনিক ফেনী ও ঢাকা পোস্টের লোগো সংবলিত মাইক্রোফোন নিয়ে বাদীর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করেন ও প্রশ্ন করতে থাকেন। তাঁরা তারেক চৌধুরীর হয়ে সংবাদ প্রকাশ না করতে রহিম উল্লাহর কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

তবে চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করেন দৈনিক ফেনীর নিজস্ব প্রতিবেদক ও ঢাকা পোস্টের জেলা প্রতিনিধি তারেক চৌধুরী। তিনি বলেন, স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মুঠোফোনে রহিম উল্লাহর বক্তব্য নিয়েছি। এতে সবকিছুর দায় স্বীকার করে এসব কর্মকাণ্ড তাঁর পেশা বলে মন্তব্য করেন তিনি। প্রতিবেদনে সেটিই লেখা হয়েছে। তিনি যদি অভিযোগ অস্বীকার করতেন, তখন সেটিই লেখা হতো। ১ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের সম্পূর্ণ কলরেকর্ড সংরক্ষিত আছে। পাশাপাশি দৈনিক ফেনীর ফেসবুক পেজেও এটি প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে কোথাও চাঁদা দাবি কিংবা সংবাদের বিষয়ের বাইরে কোনো কথা হয়নি। তিনি এজাহারে যা উল্লেখ করেছেন তা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও কাল্পনিক।

এদিকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন জেলায় কর্মরত সাংবাদিকেরা। এ সময় মামলার বাদী ইউপি সদস্য ও বিএনপিকর্মী রহিম উল্লাহর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে।

আজ দুপুরে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন সাংবাদিক এ কে এম আবদুর রহিম, মুহাম্মদ আবু তাহের ভূঁইয়া, আবু তাহের, দিলদার হোসেন, মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মালয়েশিয়াসহ সব শ্রমবাজার খুলে দেওয়ার আহ্বান
  • থানার পাশে অবৈধ বালুমহাল, ওসির প্রত্যাহার চাইলেন বিএনপি নেতা
  • ব্যক্তিগত ভিডিও প্রকাশের পর সুবর্ণচর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতিকে বহিষ্কার
  • রেজিস্ট্রারের অসদাচরণের প্রতিবাদে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
  • মালয়েশিয়াসহ সব শ্রমবাজার দ্রুত খোলার দাবি জানাল বায়রা
  • বিএনপির কমিটিতে পদ পেলেন নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী
  • ফেনীতে একাধিক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা, প্রতিবাদে মানববন্ধন-সমাবেশ
  • নিজের ‘অশ্লীল’ ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট, বহিষ্কার হলেন বিএনপি নেতা
  • পূর্ণিমার ‘অন্য রকম আমি’ আর রোমানার ‘টিউলিপ মুহূর্ত’
  • ক্রাউন সিমেন্টের পরিচালকদের ২ কোটি শেয়ার হস্তান্তর, পেয়েছেন যারা