আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য এখন বেশি প্রস্তুত: অঙ্কন
Published: 4th, April 2025 GMT
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আকস্মিক অভিষেক মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের। বিকেএসপিতে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলছিলেন তিনি। সেখান থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রামে টেস্ট দলে যোগ দেন তিনি। জাকের আলী কনকাশন ইনজুরিতে (মাথায় আঘাত) পড়ায় অঙ্কন দলে ডাক পান। ম্যাচের আগের রাতে লিটন দাস গুরুতর জ্বর নিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যান।
দলে ডাক পাওয়া অঙ্কনের অভিষেকও হয়ে যায়। তার মাথায় তখনও ঘুরছিল ফাস্ট ক্লাস ম্যাচ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য প্রস্তুতি তো দূরের কথা ভাববারও সময় পাননি তিনি। যার সম্ভাব্য ফল পড়ে পারফরম্যান্সে। উইকেটের পেছনে ক্যাচ ফেলেন তিনি। ব্যাট হাতে শূন্য মেরে শুরু হয় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পথ চলা। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য ২৯ রান করেন তিনি।
ওই অঙ্কন সর্বশেষ বিপিএলে দারুণ ক্রিকেট খেলেছেন। চলতি ডিপিএলে মোহামেডানের টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে তিনে ব্যাট করাচ্ছে। সেখানেও রান পাচ্ছেন তিনি। অঙ্কন মনে করেন, এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য আগের চেয়ে বেশি প্রস্তুত তিনি।
ক্রিকেট বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম ক্রিকবাজকে অঙ্কন বলেন, ‘আমি তখন এনসিএলে ম্যাচ খেলছিলাম, আমার মাথায় ছিল এনসিএল। তবে (অভিষেক টেস্টে ব্যর্থ হওয়ার জন্য) এটাকে আমি অজুহাত দেব না। এখন মনে হয়, এবার সুযোগ পেলে আমি মানসিকভাবে বেশি প্রস্তুত থাকব।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এপ্রিলে দুই টেস্টের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। লিটন দাস পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) খেলার জন্য ছুটি নেওয়ায় দ্বিতীয় সুযোগ মিলতে পারে অঙ্কনের। তার মতে, এবার তিনি নিজেকে প্রস্তুত রাখার যথেষ্ট সময় পাবেন, ‘এখন মানসিকভাবে ভালো অবস্থানে আছি। আসন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছি। এবার প্রস্তুতির জন্য ভালো সময় পাচ্ছি। আশা করি, সুযোগ পেলে ভালো করবো।’
জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন থাকায় ড্রেসিংরুমে নির্ভার থাকবেন বলেও জানিয়েছেন অঙ্কন, ‘তিনি আমাকে খুব ভালো করে জানেন। অতিরিক্ত চিন্তা করলে তিনি আমাকে নির্ভার করতে পারেন। ঘরোয়া অভিজ্ঞতা থেকে বলতেই পারি, উনাকে পাশে পাওয়া সবসময়ই আমার জন্য ভালো।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যতিক্রমী চ্যাম্পিয়ন বোলোনিয়া এবং ৪৮ বছর ও ৪৮ ম্যাচ
সিরি ‘আ’ যেখানে আলাদাইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে দুই বা এর বেশি দলের পয়েন্ট সমান হলে সবার আগে দেখা হয় গোল পার্থক্য। জার্মান বুন্দেসলিগা ও ফ্রেঞ্চ লিগ আঁতেও আগে দেখা হয় গোল পার্থক্য। স্পেনের লা লিগায় আবার এ ক্ষেত্রে প্রথমেই দেখা হয় মুখোমুখি ম্যাচের ফল। মুখোমুখি ফলের হিসাব প্রথমে দেখা হয় ইতালির সিরি ‘আ’তেও। তবে ইতালিতে মৌসুম শেষে শীর্ষ দুই দলের পয়েন্ট সমান হলে মুখোমুখি বা হেড টু হেড হিসাব করা হয় না। সেই দুই দলকে খেলতে হয় প্লে-অফ। জয়ী দল হয় চ্যাম্পিয়ন। প্লে-অফ জিতে অবশ্য একবারই সিরি ‘আ’ জিতেছে কোনো দল। ১৯৬৩-৬৪ মৌসুমে ইন্টার মিলান ও বোলোনিয়ার পয়েন্ট সমান হওয়ার পর প্লে-অফে ২-০ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় বোলোনিয়া। এবার ইন্টার মিলান ও নাপোলি যেভাবে সমান গতিতে এগোচ্ছে, আরেকবার প্লে-অফ দেখার প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারেন।৪৮-৪৮অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড—টেস্ট অভিষেকের ক্রম এটা। ইতিহাসের পঞ্চম দল হিসেবে ১৯৩০ সালে টেস্ট অভিষেক নিউজিল্যান্ডের। অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো নিউজিল্যান্ডেরও প্রথম টেস্টে প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড। ক্রাইস্টচার্চে ১০ জানুয়ারি শুরু সেই ম্যাচে ৮ উইকেটে হারে নিউজিল্যান্ড। সেই শুরু, এর পরের ৪৭ বছরে টেস্টে নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড মুখোমুখি হওয়া মানেই ছিল হয় ইংল্যান্ডের জয় অথবা ড্র। কিউইরা টেস্টে ইংল্যান্ডকে প্রথম হারায় ১৯৭৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ওয়েলিংটনের সেই ম্যাচটা ৭২ রানে জেতে নিউজিল্যান্ড। ১৩৭ রানের লক্ষ্য ছুঁতে নেমে রিচার্ড হ্যাডলির তোপে ৬৪ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংলিশরা। ২৬ রানে ৬ উইকেট নেন টেস্ট ইতিহাসে ৪০০ উইকেটের মাইলফলকে প্রথম হ্যাডলি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলার ৪৮ বছর পর প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। মজার ব্যাপার ওয়েলিংটনে সেই টেস্ট ছিল নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড টেস্ট দ্বৈরথের ৪৮তম ম্যাচ।