Risingbd:
2025-04-25@15:02:16 GMT

আমরা সবাই খানিকটা লোভী: জয়া

Published: 4th, April 2025 GMT

আমরা সবাই খানিকটা লোভী: জয়া

সারা বছর ঢাকা-কলকাতা ছুটেই সময় কাটে জয়া আহসানের। ঈদ উৎসব উপলক্ষে খানিকটা নিশ্চিন্তে শ্বাস নেওয়ার সুযোগ পান। এখনো পরিবার নিয়ে ঈদ আনন্দ উপভোগ করছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী। 

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মুক্তি পেয়েছে জয়া আহসান অভিনীত ওয়েব সিরিজ ‘জিম্মি’। আশফাক নিপুণ নির্মিত এ সিরিজ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ে দেখা যাচ্ছে। মুক্তির পর বেশ সাড়াও ফেলেছি এটি।

‘জিম্মি’ সিরিজ দিয়ে ওটিটিতে অভিষেক হলো জয়া আহসানের। এতটা দেরিতে এই মাধ্যমে কাজ করার কারণ ব্যাখ্যা করে জয়া বলেন, “আমরা সবাই খানিকটা লোভী, বড় পর্দার কাজগুলোকে প্রাধান্য দিচ্ছিলাম। মাঝে মনে হয়েছিল ওটিটিতে কাজ করা উচিত, প্রস্তাবও আসছিল। কিন্তু ঠিক চরিত্রের অপেক্ষায় ছিলাম। হইচই প্ল্যাটফর্মের ‘জিম্মি’ সেই সুযোগটা করে দিয়েছে। পাশাপাশি (আশফাক) নিপুণ আমার খুব পছন্দের পরিচালক। তার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাও দারুণ। সব মিলিয়ে এটা একেবারে নতুন অভিজ্ঞতা। সে জন্যই হয়েতো এক্সাইটমেন্ট অনেকটা বাচ্চাদের মতো।”

আরো পড়ুন:

‘কুইন অব দ্য ইয়ার’ জয়া

জয়া আহসান আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করেছেন: আশফাক নিপুণ

‘জিম্মি’ সিরিজের চরিত্রে অভিনয়ের সম্মতি দেওয়ার বিষয়ে জয়া আহসান বলেন, “আসলে মহিলা চরিত্রদের যখনই কাস্ট করা হয়, সাধারণত ব্ল্যাক বা হোয়াইট শেডে ফেলে দেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। গ্রে এরিয়াটাকে একটু এড়িয়ে চলা হয়। মানুষের সাতটি রিপু, বিশেষ করে লোভ যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে কাহিনিতে, সেটা আমাকে আকর্ষণ করেছিল। আর মানুষ কিন্তু এই চরিত্রটিকে ভালোবাসছেন।”

নারী প্রধান কাজের সুযোগ কী কম? এমন প্রশ্নের জবাবে জয়া আহসান বলেন, “হ্যাঁ। সেই সুযোগটা সত্যিই কম। কলকাতায় সুযোগ পেলেও বাংলাদেশে সেটা খুবই কম। যেমন অতনুদা (অতনু ঘোষ) ‘রবিবার’, ‘বিনিসুতোয়’-এ কাজের সুযোগ দিলেন, টনিদা (অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী) দিলেন ‘ডিয়ার মা’-এর মতো কাজ। এ রকম বেশ কিছু কাজ কলকাতায় করলেও বাংলাদেশে তেমনটা ঠিক পাই না। নারী কেন্দ্রিক চরিত্র দিয়ে সিনেমা হলে মানুষকে নিয়ে আসার চেষ্টার দিকে বাংলাদেশে এখনো খানিকটা খামতি রয়েছে। ‘ডুবসাঁতার’ পেয়েছি ঠিকই, তবে নিজের জন্মস্থানে আর একটু বেশি এই ধরনের কাজ পাওয়া উচিত। আমি একটু বেশি ডিজার্ভ করি।”

ঈদুল ফিতরে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার উদাহরণ টেনে জয়া আহসান বলেন, “এবারের ঈদে বাংলাদেশে পাঁচটা সিনেমা বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছে। তার বেশিরভাগই প্রচণ্ডভাবে পুরুষকেন্দ্রীক চরিত্রদের নিয়ে গল্প। সেগুলোও ভালো ফল করছে। তবে সিনেমা তো সমাজের আয়না। তাই শুধু মেল প্রোটাগনিস্টের সাহায্যে হল ভরানোর ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে নারীকেন্দ্রীক সিনেমাকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত। দায়িত্ব নিয়ে সেই বদলটা আমাদের সবাইকেই আনতে হবে।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জয় আহস ন চলচ চ ত র আহস ন

এছাড়াও পড়ুন:

স্মরণসভায় বক্তারা: মানুষের প্রতি গভীর মমত্ববোধ ছিল পঙ্কজ ভট্টাচার্যের

দেশ এখন এক গভীর সংকটময় পরিস্থিতি অতিক্রম করছে। এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উদ্ধার ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য প্রগতিশীল বাম রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। জননেতা পঙ্কজ ভট্টাচার্য আমৃত্যু এই ঐক্য গড়ার জন্য চেষ্টা করে গেছেন। বাম শক্তির ঐক্য গড়ে তোলার মধ্য দিয়েই তাঁর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার ঐক্য ন্যাপের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জননেতা পঙ্কজ ভট্টাচার্যের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আয়োজিত সভায় বক্তারা এই অভিমত দিয়েছেন। ঐক্য ন্যাপের আয়োজনে বিকেল চারটায় রমনা উদ্যানের টেনিস ফেডারেশনের পাশে দলীয় কার্যালয়ের সামনের চত্বরে এই সভা আয়োজন করা হয়। সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আইনজীবী এম এ সবুর।

সভার শুরুতেই প্রয়াত নেতা পঙ্কজ ভট্টাচার্যসহ ১৯৫০ সালে এই দিনে রাজশাহী কারাগারের খাপড়া ওয়ার্ডে গুলিতে নিহত শহীদ নেতারা এবং সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর সমবেত কণ্ঠে পরিবেশন করা হয় ‘আগুনের পরশমণি’গানটি। তারপর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও ব্যক্তিগতভাবে অনেকে মঞ্চে রাখা পঙ্কজ ভট্টাচার্যের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সংগঠনগুলোর মধ্যে ছিল—ঐক্য ন্যাপ, সিপিবি, বাংলাদেশ কৃষক সমিতি, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন, গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা বাহিনী, কমরেড মণি সিংহ-ফরহাদ ট্রাস্ট, গণতান্ত্রিক পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ, বাংলাদেশ জাসদ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, গণফোরাম ও যুব ইউনিয়ন। পরিবারের পক্ষে ছিলেন বহ্নিশিখা পুরকায়স্থ।

পরে আলোচনায় সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, বাম শক্তির ঐক্য গড়ে তোলার আলোচনার মধ্যে না থেকে ঐক্য গড়ার কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। পরিস্থিতি এখন এমন যে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আর দেরি কারা উচিত নয়। পঙ্কজ ভট্টাচার্যের চরিত্রের একটি বড় গুণ ছিল একাগ্রতা। তাঁর মতো একাগ্র হয়ে কাজ করতে হবে।

জননেতা পঙ্কজ ভট্টাচার্যের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদনে আজ আয়োজিত সভায় বক্তারা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সংবিধান অর্থবহ করতে বিচার আরও সহজলভ্য হতে হবে: প্রধান বিচারপতি
  • সংবিধান অর্থবহ করতে বিচার আরও সহজলভ্য করতে হবে: প্রধান বিচারপতি
  • স্মরণসভায় বক্তারা: মানুষের প্রতি গভীর মমত্ববোধ ছিল পঙ্কজ ভট্টাচার্যের
  • জব্বারের বলীখেলার মেলা: রাস্তা থেকে দোকান তুলে দিল পুলিশ, বসবে শুধু মাঠে