প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একটি বিশেষ ছবি উপহার দিয়েছেন। শুক্রবার ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মোদিকে ছবিটি উপহার দেওয়া হয়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, ছবিটি ২০১৫ সালের ৩ জানুয়ারি মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত ১০২তম ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেসের সময় তোলা হয়। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অধ্যাপক ইউনূসকে স্বর্ণপদক প্রদান করছেন।

ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.

মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আধা ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণসহ বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় তুলে ধরা হয়।

শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের সরকার প্রধানের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকটি অত্যন্ত গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ হয়েছে। আমাদের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে।’

প্রেস সচিব বলেন, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ এবং ভারতে বসে তিনি উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন, এসব বিষয় বৈঠকে তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া সীমান্তে হত্যা, তিস্তা নদীর পানি বন্টনসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথমবারের মতো অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হলো। বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর আঞ্চলিক সহযোগিতা জোটের (বিমসটেক) শীর্ষ সম্মেলন ২ থেকে ৪ এপ্রিল ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

 

 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপহ র ইউন স

এছাড়াও পড়ুন:

ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতার বিরুদ্ধে৷ মঙ্গলবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা৷

অভিযুক্ত তাকবির আমান (২৪) ছাত্র সংগঠনটির মহানগর শাখার জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সংগঠক৷ সিদ্ধিরগঞ্জ ভূমিপল্লী এলাকায় থাকেন তিনি৷
অভিযোগে তার আরও কয়েকজন বন্ধুকে অপরাধের সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে৷

অভিযোগে ভুক্তভোগীর বাবা উল্লেখ করেন, গত ৭ এপ্রিল বিকেলে বাদী ও তার স্ত্রী ঘরের বাইরে থাকার সময় অভিযুক্ত তাকবির আমান তার বাড়িতে ঢুকে তার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করে৷ পরে তার মেয়ের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা অভিযুক্তকে আটক করলে আমানের বন্ধুরা এসে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়৷

বাদী জানান, তার মেয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন৷ এক বছর হয়েছে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছেন৷ স্কুলে যাওয়ার পথেও অভিযুক্ত তার মেয়ে উত্ত্যক্ত করতেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মহানগর কমিটির নেতা তাকবির আমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি৷

তবে মহানগর সভাপতি মাহফুজ খান মোবাইল ফোনে বলেন, ঘটনাটি যেভাবে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, বিষয়টি ঠিক তেমন নয়৷ মেয়ের সঙ্গে ছেলেটির পূর্বপরিচয় ছিল৷ এখানে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে বলেও জেনেছি৷ তারপরও পুরো বিষয়টি সঠিকভাবে জানার চেষ্টা করছি আমরা৷

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনূর আলম বলেন, অভিযুক্তের সঙ্গে ভুক্তভোগীর পূর্বপরিচয় ছিল৷ প্রেমের সম্পর্কের কথাও শুনছি৷ তবে যেহেতু মেয়ের বয়স অনূর্ধ্ব ১৮, তাই বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি৷ তদন্তের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ