রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় নারী সাংবাদিককে শ্লীলতাহানি ও হেনস্তার ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজনকে আজ শুক্রবার আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকালে গ্রেপ্তার সোয়েব রহমান ওরফে জিশান (২৫), মো. রাইসুল ইসলাম (২১) ও মো. কাউসার হোসেনকে (২১) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পুলিশ কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, নারী সাংবাদিককে শ্লীলতাহানির সঙ্গে জড়িত তিনজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই কারণে তাঁদের  রিমান্ডে নিতে আদালতে আবেদন করা হয়নি। প্রয়োজনে পরে তাঁদের রিমান্ডে নিতে আদালতে আবেদন করা হবে।

গত বুধবার রাত পৌনে আটটার দিকে একটি ইংরেজি দৈনিকের নারী সংবাদকর্মী তাঁর ছোট ভাইকে নিয়ে বনশ্রী ই-ব্লকের ৩ নম্বর রোডের মুখে একটি জুসের দোকানে যান। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন তরুণ তাঁকে উত্ত্যক্ত করেন। তাঁর ভাই প্রতিবাদ করলে তাঁরা তাঁকে মারধর করেন। এ সময় ওই নারী সংবাদকর্মী বাধা দিতে গেলে তাঁরা তাঁকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ওই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ভুক্তভোগী নারী সংবাদকর্মী সোয়েব রহমান ওরফে জিসানের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুজনকে আসামি করে গত বুধবার রাতে রামপুরা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। ওই ঘটনা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর সোয়েব বাসায় তালা দিয়ে সপরিবার পালিয়ে যান।

ওই দিন দিবাগত রাতে গোয়েন্দা সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ওই মামলার প্রধান আসামি সোয়েব রহমানকে রাজধানীর মেরাদিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বনশ্রী সি ব্লকে থাকেন। তাঁর বাড়ি বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ফুলহাতায়।

পরে সোয়েবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে র‍্যাব রাজধানীর বেইলি রোড থেকে রাইসুল ইসলাম (২১) ও গেন্ডারিয়া থেকে কাউসার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। রাইসুলের বাড়ি বরিশাল সদর উপজেলার চহটা এবং কাউসার হোসেনের বাড়ি বরিশাল সদর উপজেলার রাজ্জাকপুরে। গতকাল সকালে র‍্যাব তিনজনকে রামপুরা থানায় সোপর্দ করে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ব দকর ম রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

মদিনা শহরকে কটাক্ষ: রংপুরে সাইবার নিরাপত্তা আইনে দুই কিশোরসহ গ্রেপ্তার ৩

মুসলিমদের পবিত্র ভূমি মদিনা শহরকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার ঘটনায় রংপুরে দায়ের করা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গতকাল বুধবার তারাগঞ্জ থানায় ছয়জনের নামে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যে একজনের বয়স ১৯ বছর। বাকি দুজন কিশোর—একজনের বয়স ১৬ ও অন্যজনের ১৭ বছর।

পুলিশ ও মামলার আরজি সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি উপজেলার হিন্দুধর্মাবলম্বী এক কিশোর মদিনা শহরকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে। ওই ভিডিওতে কিশোরসহ ছয়জন ছিল। বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে গত মঙ্গলবার দুপুরে হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়ন পরিষদে বিক্ষোভ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এরপর ওই দিন বেলা সাড়ে তিনটার দিকে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের বামনদীঘি এলাকায় অবরোধ করে ওই কিশোরদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।

আরও পড়ুনমদিনা শহরকে কটাক্ষ করে পোস্ট দেওয়ায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা২২ ঘণ্টা আগে

এ ঘটনার পর লিমন নামের এক যুবক থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। গতকাল সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা হিসেবে রেকর্ড করে তারাগঞ্জ থানার পুলিশ। দিবাগত রাত দুইটার দিকে তারাগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কনক রঞ্জনের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।

এ সম্পর্কে তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনে পোস্টাদাতা কিশোরসহ ছয়জনের নামে মামলা হয়েছে। অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মদিনা শহরকে কটাক্ষ: রংপুরে সাইবার নিরাপত্তা আইনে দুই কিশোরসহ গ্রেপ্তার ৩