Prothomalo:
2025-04-25@02:04:56 GMT

বিশ্ব রেকর্ড গড়ার পথে নারাইন

Published: 4th, April 2025 GMT

সবচেয়ে বেশি মেডেন ওভার, এমনকি সুপার ওভারেও মেডেন নেওয়ার কীর্তি, কমপক্ষে ১০০ ইনিংসে বল করা বোলারদের মধ্যে তৃতীয় সর্বনিম্ন ইকোনমি রেট—স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সুনীল নারাইনের একেকটি পরিসংখ্যান দেখলে যে কেউ বলবেন, এই সংস্করণে তিনি অন্যতম সেরা। কারও কারও চোখে হয়তো সর্বকালের সেরাও।

নারাইন আরেকটি বিশ্ব রেকর্ড গড়ার পথে। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় বোলার হিসেবে এক দলের হয়ে ২০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে এই কীর্তি গড়েছেন ক্যারিবীয় স্পিনার। সবচেয়ে বেশি ২০৮ উইকেট নিয়েছেন সামিত প্যাটেল, ইংলিশ কাউন্টি ক্লাব নটিংহামশায়ারের হয়ে।

কলকাতার জার্সিতে ২০০ উইকেট নিতে নারাইনকে ১৮৭ ইনিংসে বল করতে হয়েছে। ২০০ উইকেটের মধ্যে ১৮২টি নিয়েছেন আইপিএলে, ১৮টি বিলুপ্ত চ্যাম্পিয়নস লিগ টি-টোয়েন্টিতে।

দলটির হয়ে ১৯৯ উইকেট নিয়ে আইপিএলে কাল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন নারাইন। ইডেন গার্ডেনে হায়দরাবাদ ইনিংসের দশম ওভারে অভিষিক্ত কামিন্দু মেন্ডিসকে বদলি ফিল্ডার অনুকূল রায়ের ক্যাচ বানিয়ে ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন।

হায়দরাবাদকে কাল ৮০ রানে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার পাঁচে উঠে এসেছে কলকাতা। চার ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের পয়েন্ট ৪। এই মৌসুমে প্লে-অফের আগে আরও ১০টি ম্যাচ খেলবে কলকাতা। সেই ১০ ম্যাচে ৯ উইকেট পেলেই সামিত প্যাটেলকে ছাড়িয়ে টি-টোয়েন্টিতে এক দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার বিশ্ব রেকর্ড গড়বেন নারাইন।

আরও পড়ুনব্যাট দিয়ে স্টাম্প ভেঙেও কেন হিট আউট হলেন না নারাইন২৩ মার্চ ২০২৫

ইংল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার সামিত প্যাটেল ২০০৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত নটিংহামশায়ারের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। গত বছর তিনি নটিংহাম ছেড়ে নাম লিখিয়েছেন ডার্বিশায়ারে। এই কাউন্টি ক্লাবের সঙ্গে ২০২৫ সাল পর্যন্ত চুক্তি আছে তাঁর।

বয়স ৪০ পেরিয়ে যাওয়া সামিত ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে আছেন, তা বলাই যায়। নটিংহাম তাঁকে আর ফেরাবে বলেও মনে হয় না। ফলে সামিতকে নটিংহামের হয়ে ২০৮ উইকেটেই আটকে থাকতে হতে পারে। ৩৬ বছর বয়সী নারাইন এ সুযোগে তাঁকে অনায়াসেই ছাড়িয়ে যেতে পারেন।

নটিংহামশায়ারের হয়ে টি–টোয়েন্টিতে ২০৮ উইকেট নিয়েছেন সামিত প্যাটেল.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উইক ট ন ন র ইন কলক ত

এছাড়াও পড়ুন:

সেই রাহুলই লক্ষ্ণৌয়ে ফিরে গড়লেন রেকর্ড, জিতল দিল্লি

প্রথমে করলেন ফিফটি। সেই ফিফটিতেই পৌঁছালেন আইপিএলে দ্রুততম ৫০০০ রানের মাইলফলকে। এরপর ছক্কা মেরে দিল্লি ক্যাপিটালকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন। সাবেক দল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসকে জবাব দিতে লোকেশ রাহুলের আর কী চাই!

ঘরের মাঠ অটল বিহারী বাজপেয়ী স্টেডিয়ামে আজ আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ১৫৯ রান করেছিল লক্ষ্ণৌ। জবাবে রাহুলের অপরাজিত ৫৭ রানের সুবাদে ৮ উইকেট ও ১৩ বল বাকি রেখে জিতে গেল দিল্লি।

৮ ম্যাচের ৬টিতে জেতা দিল্লির পয়েন্ট হলো ১২। সমান পয়েন্ট গুজরাট টাইটানসেরও। কিন্তু নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় গুজরাট শীর্ষে আর দিল্লি দুইয়েই রয়ে গেল।  

আইপিএলে সর্বশেষ তিন মৌসুম লক্ষ্ণৌর হয়ে খেলেছেন রাহুল। ভারতের উত্তর প্রদেশের দলটিকে প্রত্যেক মৌসুমেই নেতৃত্বও দিয়েছেন। তাঁর অধিনায়কত্বে ২০২২ ও ২০২৩ সালে লক্ষ্ণৌ প্লে–অফে উঠলেও ২০২৪ সালে ব্যর্থ হয়েছে। গত বছর একটি ম্যাচে দল হারার পর লক্ষ্ণৌ মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কার ধমকও খেতে হয়েছে রাহুলকে। শেষ পর্যন্ত তাঁকে ছেড়েও দিয়েছে।

রাহুলকে এবারের মেগা নিলাম থেকে কিনে নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস। সেই তিনিই প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় হিসেবে প্রথমবার লক্ষ্ণৌয়ে গিয়ে তাদের কষ্ট দিলেন; সঙ্গে গড়লেন আইপিএলে দ্রুততম ৫০০০ রানের রেকর্ড।

এই মাইলফলকে পৌঁছাতে রাহুলের লাগল ১৩০ ইনিংস। তিনি পেছনে ফেললেন ডেভিড ওয়ার্নারকে। অস্ট্রেলিয়ার এই কিংবদন্তির আইপিএলে ৫০০০ রান ছুঁতে লেগেছিল ১৩৫ ইনিংস। আইপিএল ইতিহাসের অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে পাঁচ হাজারি ক্লাবে নাম লেখালেন রাহুল।

তবে আজ লক্ষৌকে অল্পতে বেঁধে ফেলার কাজে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন মুকেশ কুমার। দিল্লির এই পেসার ৩৩  রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট, যা তাঁর আইপিএল ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং। ম্যাচসেরার পুরস্কারও মুকেশের হাতে উঠেছে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস: ২০ ওভারে ১৫৯/৬ (মার্করাম ৫২, মার্শ ৪৫, বাদোনি ৩৬; মুকেশ ৪/৩৩, স্টার্ক ১/২৫, চামিরা ১/২৫)।

দিল্লি ক্যাপিটালস: ১৭.৫ ওভারে ১৬১/২ (রাহুল ৫৭*, পোরেল ৫১, অক্ষর ৩৪*, নায়ার ১৫; মার্করাম ২/৩০)।

ফল: দিল্লি ক্যাপিটালস ৮ উইকেটে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মুকেশ কুমার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুস্তাফিজকে ছাড়িয়ে রেকর্ডবুকে বুমরাহ
  • সেই রাহুলই লক্ষ্ণৌয়ে ফিরে গড়লেন রেকর্ড, জিতল দিল্লি