বিশ্বের ৬০টির বেশি দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর এই ঘোষণায় বিশ্ববাণিজ্যে নতুন এক পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে। কারণ, ট্রাম্পের এই বাড়তি শুল্ক আরোপের প্রভাব পড়বে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও ভিয়েতনাম–নির্বিশেষে এশিয়া–ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর। তবে এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের ওপর পাল্টা শুল্কের প্রভাব সবচেয়ে কম পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মানে, রপ্তানি খাতে তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেতে পারে ভারত।

এশীয় দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছে ভারত ও চীন। বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের নয়া শুল্কনীতির ফলে ভারতের কিছু খাত প্রতিযোগিতায় সুবিধাজনক অবস্থানে চলে আসতে পারে। চীন, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর ওপর তুলনামূলক উচ্চ হারে পাল্টা শুল্ক বসানোয় বিশ্ববাজারে তাদের চেয়ে ভারত নতুনভাবে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার সুযোগ পাবে। খবর ‘দ্য ইকোনমিক টাইমস’–এর। 

মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইট হাউসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যেসব পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে সহজলভ্য নয়, সেগুলো শুল্কের আওতায় আসবে না। এগুলোর মধ্যে রয়েছে তামা, ওষুধ, সেমিকন্ডাক্টর, জ্বালানি, খনিজ, কাঠজাত পণ্য, স্বর্ণ, রুপা, স্টিল বা লোহা ও অ্যালুমিনিয়ামের মতো পণ্য।  

তবে বাড়তি শুল্কের কারণে ভারতের বস্ত্র, ইলেকট্রনিক ও প্রকৌশল শিল্প প্রভৃতি মূল খাতের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আবার ওষুধশিল্প ও কিছু কৃষিপণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে দেশটি তুলনামূলক সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে।

ওষুধশিল্পে স্বস্তি ভারতের

ভারতের ওষুধপণ্যের প্রায় ৩০ শতাংশ রপ্তানি হয় যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে। ওষুধশিল্প নতুন শুল্কনীতির আওতায় না পড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ভারতীয় ওষুধের আধিপত্য বাড়বে, যা দেশটির ওষুধ প্রস্তুতকারকদের জন্য একটি স্বস্তির বার্তা।

গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের (জিটিআরআই) প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তব বলেন, ভারতীয় স্টিল বা লোহা, অ্যালুমিনিয়াম ও অটোমোবাইল–সংশ্লিষ্ট পণ্যগুলোর ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে ফার্মাসিউটিক্যালস, সেমিকন্ডাক্টর, কপার ও জ্বালানি পণ্য শুল্কমুক্ত থাকছে।

কৃষিপণ্য রপ্তানির সম্ভাবনা

ভারতীয় কৃষিপণ্যের ওপর ২৬ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে কৃষি খাতে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর ওপর ভারতের চেয়ে বেশি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। অর্থাৎ কৃষিপণ্য রপ্তানিতে অন্যদের তুলনায় ভারত ভবিষ্যতে স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখতে পারবে।
ভারতের কৃষি অর্থনীতিবিদ অশোক গুলাটি বলেন, বিশেষ করে চিংড়ি রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারত তুলনামূলক শুল্ক সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে চিংড়ির চাহিদা কম। ফলে এর চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে কমার আশঙ্কা নেই। ফলে ভারতীয় সামুদ্রিক খাদ্য রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বড় ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হবে না; বরং অন্যান্য দেশের তুলনায় কৃষিপণ্য রপ্তানিতে কিছুটা বাড়তি সুবিধা পাবে ভারত।

ইলেকট্রনিক ও বস্ত্র খাতে সুযোগ

আঞ্চলিকভাবে অন্যান্য দেশের তুলনায় শুল্কের চাপ কম হওয়ায় অন্যান্য দেশের চেয়ে ইলেকট্রনিক ও বস্ত্র খাতে ভারত কিছুটা সুবিধা পাবে।

ব্রাজিল ও মিসরের মতো কিছু দেশের উপর কম শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ভারত চীন ও ভিয়েতনামের তুলনায় তারা ভালো অবস্থানে রয়েছে। নতুন শুল্কনীতিতে চীন ৫৪ শতাংশ ও ভিয়েতনাম ৪৬ শতাংশ শুল্কের মুখোমুখি হচ্ছে। ইন্ডিয়া সেলুলার অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস অ্যাসোসিয়েশন (আইসিইএ) বলেছে, এতে ভারতের জন্য রপ্তানি প্রতিযোগিতায় একটি স্বল্পমেয়াদি সুযোগ তৈরি হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ভারতের টেক্সটাইল তথা বস্ত্রপণ্যের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারতের টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৬ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ২৮ শতাংশ বা ১০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য গেছে যুক্তরাষ্ট্রে। গত কয়েক বছরে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের বস্ত্র রপ্তানি ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। যেমন, ২০১৬-১৭ ও ২০১৭-১৮ অর্থবছরে যেখানে এই হার ছিল ২১ শতাংশ, সেখানে ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা বেড়ে ২৫ শতাংশে এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৯ শতাংশে উঠেছে।

ই-কমার্স খাতে সম্ভাবনা

পাল্টা শুল্ক আরোপের পাশাপাশি ট্রাম্প আরেকটি বড় সিদ্ধান্ত হিসেবে ‘ডি মিনিমিস’ শুল্কসুবিধা বাতিল করেছেন। ডি মিনিমিস শুল্ক পদ্ধতিতে ৮০০ ডলারের কম মূল্যের পণ্যকে শুল্কমুক্তভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হতো।

তবে এই বাড়তি শুল্ক আরোপ চীনের ই-কমার্স কোম্পানিগুলোর ওপর বড় প্রভাব ফেলবে। শিন ও টেমুর মতো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো এই সুবিধার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে লাভজনক অবস্থানে রয়েছে।

ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ই-কমার্সে চীনের প্রতিযোগিতা কিছুটা কমতে পারে। ফলে ভারতীয় ই-কমার্স রপ্তানিকারকদের জন্য কিছুটা সুযোগ তৈরি হতে পারে।

নতুন শুল্ক কাঠামোর ফলে ভারতের জন্য একদিকে চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে, অন্যদিকে নতুন সুযোগও তৈরি হয়েছে। ২৬ শতাংশ শুল্কের কারণে কিছু রপ্তানি খাত চাপে পড়তে পারে। তবে ইলেকট্রনিক, বস্ত্র ও ওষুধশিল্পের ক্ষেত্রে ভারত প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন য ন য দ শ র গ ল র ওপর ই কম র স অবস থ ন র জন য সবচ য়

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্র–ভারত বাণিজ্য চুক্তির শর্ত প্রস্তুত, আজ থেকে আলোচনা

দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তির পথে আরও এক ধাপ এগিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত। এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে, এই বাণিজ্য চুক্তির টার্মস অব রেফারেন্স বা চুক্তির শর্তাবলি ঠিক হয়ে গেছে।

হিন্দুস্তান টাইমসের সংবাদে বলা হয়েছে, এই টার্মস অব রেফারেন্সে শুল্ক, অশুল্ক বাধা, উৎস বিধি ও শুল্কায়ন সহজীকরণ—সবকিছুই আমলে নেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স এখন ভারত সফরে আছেন। তাঁর এই সফরের মধ্যেই দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তির টার্মস অব রেফারেন্স বা শর্তাবলি নির্ধারণ করা হলো।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বরাবরই ভারতের শুল্কনীতির সমালোচনা করেছেন। তিনি একাধিকবার ভারতকে শুল্কের রাজা আখ্যা দিয়েছেন। এই বাস্তবতায় গত ফেব্রুয়ারিতে নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্রে সফরের পর বা এমনকি তার আগে থেকেই ভারত যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে শুল্কের হার যৌক্তিককরণের উদ্যোগ নেয়। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ভারতে তাদের পণ্যে গড় শুল্কহার ১৭ শতাংশ; বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিগুলোর মধ্যে এই শুল্কহার অন্যতম সর্বোচ্চ।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রির বলেছেন, চলমান আলোচনার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত বাণিজ্য সম্পর্কে ভারসাম্য ও পারস্পরিক সমঝোতা অর্জন করা সম্ভব। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য যেমন নতুন বাজারে প্রবেশাধিকার পাবে, তেমনি যেসব অন্যায় আচরণের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, সেসব অন্যায় আমলে নেওয়া সম্ভব হবে।

জেমিসন আরও বলেন, এই আলোচনায় ভারত গঠনমূলকভাবে অংশ নিচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্র চায়, উভয় দেশেই শ্রমিক, কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি হোক।

ওয়াশিংটনে আজ শুরু হচ্ছে বাণিজ্য আলোচনা

আজ বুধবার থেকে ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবে ভারতের বাণিজ্য প্রতিনিধিদল। ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, এই আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক। এই দুই পণ্যে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। গত ১২ মার্চ ভারতসহ বিশ্বের সব দেশের পণ্যে এই শুল্ক আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪৫ কোটি ডলার।

দিল্লি জানিয়েছে, ২০১৮ সালে ট্রাম্পের প্রথম জমানায় জাতীয় নিরাপত্তার কথা বলে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম পণ্যে যথাক্রমে ২৫ ও ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ২০১৯ সালের জুনে ভারতও কাঠবাদামসহ যুক্তরাষ্ট্রের ২৮টি পণ্যে শুল্ক আরোপ করে। একই সঙ্গে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় অভিযোগ জানায় দিল্লি। ২০২০ সালে আপসের মাধ্যমে এই বিবাদের মীমাংসার সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। শুল্ক প্রত্যাহার করে উভয় পক্ষই। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ভারতীয় ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম প্রবেশের অনুমতি পায়। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন আবার এই দুই ধাতুতে শুল্ক আরোপ করেছে।

শুল্ক থেকে বাঁচতে যা যা করেছে ভারত

ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের হাত থেকে বাঁচতে ভারত শুরু থেকেই তৎপর। তারা জানত, যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে শুল্ক কমানো না হলে তাদের অবস্থাও চীনের মতো হতে পারত। সে জন্য তারা আগে থেকেই কর হ্রাসসহ নানাবিধ উদ্যোগ নেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপণ্য যেমন কাঠবাদাম ও ক্র্যানবেরিতে তারা আগেও শুল্ক কমিয়েছে। চলতি বছরের মার্চে তারা এসব পণ্যে আরও শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব দেয়। রয়টার্সের আরেক সংবাদে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা ২৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্যের মধ্যে ৫৫ শতাংশের ওপর শুল্ক কমাতে রাজি হয়েছে ভারত।

৬ মার্চ লোকসভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভারতে গড় আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১০ দশমিক ৬৬ শতাংশ করা হয়েছে। দেশটির বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী জিতিন প্রসাদ এক প্রশ্নের জবাবে জানান, ২০২৩ সালে ভারতের সরল গড় শুল্কহার ছিল ১৭ শতাংশ। ২০২৫-২৬ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটের পর সরল গড় শিল্প শুল্ক ১০ দশমিক ৬৬ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।

সম্প্রতি লোকসভায় অর্থ বিল পাসের সময় ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য যে ৬ শতাংশ করারোপ করা হতো, সেটাও তুলে নেওয়া হয়েছে। মূলত ইলন মাস্কের এক্স, গুগল ও মেটার ওপর এই শুল্ক আরোপ করা হতো। বার্তা পরিষ্কার, সুর নরম করেছে নয়াদিল্লি।

এ ছাড়া চলতি বছরের বাজেটে যুক্তরাষ্ট্রের মোটরসাইকেলে শুল্ক হ্রাস করে ভারত। তখন যুক্তরাষ্ট্রের ব্র্যান্ড হারলে ডেভিডসনের আমদানিতে ভারত আরও ১০ শতাংশ শুল্ক হ্রাস করে। এর আগে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারত হারলে ডেভিডসনের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক কমিয়েছিল। এবারের বাজেটে যা আরও কিছুটা কমানো হয়।

২০২১-২২ অর্থবছর থেকে শুরু করে ২০২৪-২৫ অর্থবছর পর্যন্ত ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার ছিল যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের পণ্য বাণিজ্যে উদ্বৃত্ত ছিল ৪১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ১৮০ কোটি ডলার; আগের কয়েক বছরের তুলনায় যা বেশি। এই ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চলতি বছর বাংলাদেশে আরো ৩০ লাখ মানুষ দরিদ্র হতে পারে: বিশ্বব্যাংক
  • নির্বাচনের সময় নিয়ে রাজনৈতিক দলের মতের অমিল হলে উত্তেজনা বাড়বে: বিশ্বব্যাংক
  • দেশে ৩০ লাখ মানুষ নতুন করে দরিদ্র হতে পারে
  • বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৩ শতাংশ হতে পারে: বিশ্বব্যাংক
  • রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমবে
  • বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩.৩ শতাংশ: বিশ্বব্যাংক
  • বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৩.৩ শতাংশ হতে পারে: বিশ্বব্যাংক
  • যুক্তরাষ্ট্র–ভারত বাণিজ্য চুক্তির শর্ত প্রস্তুত, আজ থেকে আলোচনা
  • আগে কমেছিল নগদ সহায়তা, এখন বাড়ল রপ্তানি মাশুল
  • ৩ মাসে আয় ৯৯ কোটি টাকা, আয়ের অর্ধেকই মুনাফা