ঈদের ছুটিতে নানাবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল সাদাত ইকবাল (১২)। সেখানে আরও এক শিশুর সঙ্গে নদীতে গোসল করতে নেমে পানির স্রোতে ভেসে যায় সে। স্থানীয়দের সহায়তায় আরেক শিশু মো. তাসিনকে (১৪) জীবিত উদ্ধার করা গেলেও সাদাতকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

আজ শুক্রবার সকাল আটটার দিকে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার জোড়গাছা সেতুর নিচে বাঙ্গালী নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

সাদাত ইকবাল শেরপুরের পল্লী উন্নয়ন একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত। তার বাবা এস এম ইকবাল ওই প্রতিষ্ঠানের পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক। মা সানজিদা পারভীন সূত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তাঁদের গ্রামের বাড়ি বগুড়ার ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের বিলচাপড়ি গ্রামে।

শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের জোড়গাছা সেতুর নিচে ঈদের ছুটিতে দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন। সেখানে ওই শিশু বাঙ্গালী নদীতে নেমেছিল।

আরও পড়ুনঈদের ছুটিতে বাঙ্গালী নদীতে উৎসবের আমেজ২ ঘণ্টা আগে

সাদাতের পারিবারিক সূত্র জানায়, ঈদ উপলক্ষে তিন দিন আগে সাদাত তার নানাবাড়ি শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের সূত্রাপুর গ্রামে বেড়াতে যায়। আজ সকালে নানাবাড়ির পাশে জোড়গাছা সেতুর নিচে বাঙ্গালী নদীতে গোসল করতে নামে সাদাত ও তাসিন। কিছুক্ষণ পরই স্রোতের তোড়ে দুজনই ভেসে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তাসিনকে উদ্ধার করা গেলেও সাদাত পানির নিচে তলিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন জাল ফেলে আধা ঘণ্টা পর তাকে উদ্ধার করে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সাদাতকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে শিশুটির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পানের বরজ থেকে কৃষকের লাশ উদ্ধার

রাজশাহীর দুর্গাপুরে পানের বরজ থেকে রাসেল মোল্লা (২৫) নামের এক কৃষকের গলায় ফাঁস লাগানো লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকালে মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

এর আগে, গত রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। রাসেল মোল্লা উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের নাছের মোল্লার ছেলে। স্বজনদের অভিযোগ, রাসেলকে হত্যার পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, রাসেলের নিজের পানের বরজ আছে। তবে, লাশ পাওয়া গেছে তার চাচা আব্বাস মোল্লার বরজে। গত রাতে নিখোঁজের পরে পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি করেন। আজ সকালে তার মরদেহ পাওয়া যায়। নিহতের গলায় ফাঁস লাগানো থাকলেও তার পা মাটিতে লাগানো ছিল।

রাসেল মোল্লার চাচাত ভাই রিপন মোল্লা বলেন, ‘‘ধারণা করছি, গত রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা রাসেল মোল্লাকে হত্যার পর লাশ পানের বরজে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমরা হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’’

স্থানীয় ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন বলেন, ‘‘রাসেল খুব সহজ সরল মানুষ ছিল। এলাকায় তার সঙ্গে কারো শত্রুতার কথা শোনা যায়নি।’’

দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দুরুল হোদা বলেন, ‘‘ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পরে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।’’

ঢাকা/কেয়া/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ