লেবাননে ইসলায়েলি হামলায় পুত্র-কন্যাসহ হামাসের কমান্ডার নিহত
Published: 4th, April 2025 GMT
লেবাননে হামাসের কমান্ডারকে তার পুত্র ও কন্যাসহ হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। শুক্রবার ভোররাতে লেবাননের বন্দরনগরী সিডনের একটি অ্যাপার্টমেন্টে হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা অনলাইন।
নিহত ওই হামাস কমান্ডারের নাম হাসান ফারহাত।
লেবাননের সংবাদমাধ্যম কুদস নিউজ জানিয়েছে, ওই অ্যাপার্টমেন্টে ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে থাকতেন হাসান। শুক্রবার ভোররাতে সেখানে হামলা চালায় ইসরায়েল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, হাসান ফারহাত লেবাননে হামাসের পশ্চিম সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন।
সেনাবাহিনীর দাবি, ফারহাত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অসংখ্য ষড়যন্ত্রের পিছনে ছিলেন এবং গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে উত্তর ইসরায়েলে রকেট হামলার জন্য দায়ী ছিলেন।
এদিকে, শুক্রবার সেন্ট্রাল গাজায় হামলা চালিয়ে ১৮ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এছাড়া রাফাহতে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয় এক দম্পতিকে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কম ন ড র ল ব নন
এছাড়াও পড়ুন:
নোয়াখালীতে ১২ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ
নোয়াখালীতে ১২ বছরের এক মেয়েশিশুকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গতকাল মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে গতকাল দিবাগত রাত ১২টার দিকে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আহসানুল কবির (৪০)। তাঁর বাড়ি রংপুর। একটি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের বিপণনকর্মী হিসেবে কাজের সূত্রে তিনি বেগমগঞ্জের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছেন।
শিশুটির বাবা প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ও তাঁর স্ত্রী দুজনই চাকরি করেন। গতকাল রাতে ঈদের ছুটি কাটিয়ে গ্রাম থেকে বেগমগঞ্জের বাসাটিতে ফেরেন। রাতে কর্মস্থলে যেতে হয় তাঁর স্ত্রীকে। তিনিও বাসার বাইরে ছিলেন। মেয়েশিশুটি খালার সঙ্গে ঘরে ছিল। তিনি বলেন, বাসায় ঘর ঝাড়ু দেওয়ার সময় মুখ চেপে ধরে শিশুটিকে নিজের ঘরে নিয়ে যান পাশের ভাড়াটিয়া। এরপর তার মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে ও দড়ি দিয়ে হাত বেঁধে ধর্ষণ করা হয়। চিৎকার শুনে খালা সেখানে ছুটে যান। স্থানীয় বাসিন্দারাও এগিয়ে এসে শিশুটিকে উদ্ধার করেন।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রাজীব আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, শিশুটির শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তাঁর স্বাস্থ্যের কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন। সেগুলো করা হচ্ছে।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিটন দেওয়ান আজ বুধবার দুপুর সোয়া ১২টায় প্রথম আলোকে বলেন, শিশুটির পরিবার থানায় অবস্থান করছে। তাদের এজাহার পেলে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। অভিযোগের আলোকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তি পিটুনিতে আহত হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।