‘চাঁদ মামা’ গানে শেহতাজের নানির নাচ (ভিডিও)
Published: 4th, April 2025 GMT
দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকছেন মডেল-অভিনেত্রী শেহতাজ মুনিরা হাশেম। ভেতরে পা দিয়েই চমকে যান তিনি। কারণে ঘরের ভেতরে বাজছে ‘চাঁদ মামা’ গান; সঙ্গে নাচছেন স্বামী প্রীতম হাসান, বৃদ্ধ নানি চেয়ারে বসে শরীর দুলিয়ে নাচার চেষ্টা করছেন। তাদের সঙ্গে জমিয়ে নাচছেন আরো দুই নারী।
শেহতাজ মুনিরা হাশেম তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি রিলস ভিডিও শেয়ার করেন। পরে সেই ভিডিও প্রীতম তার ফেসবুকে শেয়ার করেন। এই ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
শাকিব খান অভিনীত বরবাদ সিনেমার আইটেম গান ‘চাঁদ মামা’। এটি রচনা, সুর, সংগীতায়োজন করেছেন প্রীতম হাসান, কণ্ঠ দিয়েছেন প্রীতম ও দোলা। এ গানে শাকিবের সঙ্গে নেচেছেন ওপার বাংলার নুসরাত জাহান। গানটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকে প্রশংসা কুড়াচ্ছে। আর সেই গানের সঙ্গে শেহতাজের নানির নাচ দেখে দারুণ আনন্দ পেয়েছেন নেটিজেনরাও।
আরো পড়ুন:
শাশুড়ি মায়ের হাতের রান্না যেন মধু: শবনম বুবলী
পুরোনো দ্বন্দ্ব নিয়ে শাকিবকে যে বার্তা দিলেন নিশো
আফনাফ নামে একজন লেখেন, “আমার নানির এনজয় টা জোস লাগছে। নানির হায়াত বেড়ে গেছে। নানির জন্য দোয়া। সবাইকে অনেক সুন্দর লাগছে।” আখু নামে একজন লেখেন, “সেরা ছিল নানির মুডটা। ঈদ মোবারক।” অনেকে গানটির ভূয়সী প্রশংসা করছেন। যদিও কেউ কেউ শেহতাকজকে আক্রমণ করে মন্তব্য করছেন।
ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেয়েছে ‘বরবাদ’ সিনেমা। এতে ঢালিউড কিং শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন কলকাতার ইধিকা পাল। এটি পরিচালনা করেছেন মেহেদী হাসান হৃদয়। মুক্তির পর বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলেছে।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাবার ঠিকাদারির লাইসেন্স ছিল, জানিয়ে ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্স থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে ‘বাবার ভুলের জন্য’ ক্ষমা চেয়েছেন অন্তবর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি আজ বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে ক্ষমা চান।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্স থাকার বিষয়টি জানিয়ে গতকাল বুধবার রাতে ফেসবুকে পোস্ট দেন এক গণমাধ্যম কর্মী। তিনি বিষয়টির সত্যাসত্য জানতে চান আসিফ মাহমুদের কাছে। আসিফ মাহমুদ খোঁজ করে জানান যে, তাঁর বাবার লাইসেন্স নেওয়ার বিষয়টি সঠিক। আর বিষয়টি তাঁকে জানান বলেও ওই গণমাধ্যম কর্মী তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন। এরপরই আজকে আসিফ মাহমুদ বিষয়টি নিয়ে পোস্ট দিলেন। সেটি হুবুহু তুলে ধরা হলো:
‘প্রথমেই আমার বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
গতকাল রাত ৯ টার দিকে একজন সাংবাদিক কল দিয়ে আমার বাবার নামে ইস্যুকৃত ঠিকাদারি লাইসেন্সের বিষয়ে জানতে চাইলেন। বাবার সাথে কথা বলে নিশ্চিত হলাম তিনি জেলা পর্যায়ের (জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার এর কার্যালয় থেকে ইস্যুকৃত) একটি লাইসেন্স করেছেন। বিষয়টি উক্ত সাংবাদিককে নিশ্চিত করলাম। তিনি পোস্ট করলেন, নিউজও হলো গণমাধ্যমে। নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে তাই ব্যাখ্যা দেয়ার প্রয়োজনবোধ করলাম।
আমার বাবা একজন স্কুল শিক্ষক। আকুবপুর ইয়াকুব আলী ভুঁইয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। স্থানীয় একজন ঠিকাদার কাজ পাওয়ার সুবিধার্থে বাবার পরিচয় ব্যবহার করার জন্য বাবাকে লাইসেন্স করার পরামর্শ দেন। বাবাও তার কথায় জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার থেকে একটি ঠিকাদারি লাইসেন্স করেন। রাষ্ট্রের যেকোন ব্যক্তি ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে যেকোন লাইসেন্স করতেই পারে। তবে আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বরত থাকা অবস্থায় বাবার ঠিকাদারি ব্যবসায় জড়ানো স্পষ্টভাবেই কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট। বিষয়টি বোঝানোর পর আজ বাবার আবেদনের প্রেক্ষিতে লাইসেন্সটি বাতিল করা হয়েছে।
বাবা হয়তো কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের বিষয়টি বুঝতে পারেন নি, সেজন্য বাবার পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
উল্লেখ্য, মধ্যবর্তী সময়ে উক্ত লাইসেন্স ব্যবহার করে কোনো কাজের জন্য আবেদন করা হয়নি।’