সাত দিনব্যাপী ঈদ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো। একক নাটক, চলচ্চিত্র, ধারাবাহিক নাটক, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান, গানের অনুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠানসহ নানা বৈচিত্র্যময় আয়োজনে সাজানো হয়েছে চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠান। ঈদের পঞ্চম দিন কী কী আয়োজন থাকছে দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোয়, তা নিয়ে বিনোদনের বিশেষ এই আয়োজন।
মাছরাঙা টেলিভিশন
সকাল ৭টায় ‘রাঙা সকাল’। অতিথি: চিত্রনায়িকা তমা মির্জা। বেলা ১টা ৩০ মিনিটে ‘সিসিমপুর’। বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে নাটক ‘ভালোবাসার নাম মিসিসিপি’। অভিনয়ে জোভান, আইশা খান। সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে ধারাবাহিক ‘বিয়ের জ্বালা’। অভিনয়ে শামীম হাসান সরকার, সেমন্তী সৌমি, নাদিয়া মীম। রাত ৮টায় নাটক ‘ইন্দ্রজাল’। অভিনয়ে খায়রুল বাসার, সামিরা খান মাহি।
রাত ৯টা ১০ মিনিটে ধারাবাহিক ‘মধুমালা’। অভিনয়ে চঞ্চল চৌধুরী, মৌসুমী হামিদ। রাত ১০টা ২০ মিনিটে নাটক ‘এআই লাভ’। অভিনয়ে তৌসিফ, পড়শী। রাত ১১টা ৩০ মিনিটে টেলিফিল্ম ‘লাইজু’। অভিনয়ে মুশফিক আর ফারহান, সাদিয়া আয়মান।
দীপ্ত টিভি
দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে ‘আমাদের ছবি আমাদের গান’। বিকেল ৪টায় তুর্কি সিনেমা ‘গার্লস রবারি’। বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে তুর্কি ধারাবাহিক ‘গুড ডক্টর’। সন্ধ্যা ৭টায় একক নাটক ‘হাসনাহেনার গন্ধ’। অভিনয়ে সোহেল মণ্ডল, নাজিয়া হক অর্ষা। রাত ৮টায় একক নাটক ‘আপন মানুষ’। অভিনয়ে আরশ খান, সামিরা খান মাহি। রাত ৯টা ৪০ মিনিটে ধারাবাহিক ‘কথা হবে হিসাব করে’। রাত ১০টায় রিয়েলিটি শো ‘দীপ্ত স্টার হান্ট-ঈদ স্পেশাল বাই রাফসান’। রাত ১১টা ৫ মিনিটে একক নাটক ‘রহিম-রূপবান’। অভিনয়ে আবু হুরায়রা তানভীর, আইশা খান।
নাগরিক টেলিভিশন
সকাল ৬টায় সংগীতানুষ্ঠান ‘গানের মেলা’। শিল্পী: আঁখি আলমগীর। সকাল ৮টায় নাটক প্রেমের হাফ সেঞ্চুরি। রাত ৮টায় নাটক ম্যাড লাভারস। অভিনয়ে মিশু সাব্বির, নাবিলা। রাত ৯টা ৩০ মিনিটে লাইভ সংগীতানুষ্ঠান ‘বাংলা বাউল’। শিল্পী: খায়রুল ওয়াসি ও কানিজ খন্দকার।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পিএসসি সংস্কারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ৭ দফা
পিএসসি সংস্কারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ৭ দফা
অথর: ০২২৮৮
সেকশন: রাজধানী, বাংলাদেশ
ছবি:
ক্যাপশন: পিএসসি সংস্কার এবং প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তিসহ সাত দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে। ছবি: প্রথম আলো
ট্যাগ: সরকারি কর্ম কমিশন, পিএসসি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বিসিএস
মেটা: পিএসসি সংস্কারে সাত দফা দাবি ঘোষণা করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এক্সসার্প্ট: সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে ৪৫তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ১০০ করা এবং প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বর প্রকাশ করা; প্রতিটি বিসিএস পরীক্ষার নির্দিষ্ট রোডম্যাপ প্রকাশ করা।
হেডিং: পিএসসি সংস্কারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ৭ দফা
প্রতিবেদক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সংস্কার এবং প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তিসহ সাত দফা দাবি ঘোষণা করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে ৪৫তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ১০০ করা এবং প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বর প্রকাশ করা; প্রতিটি বিসিএস পরীক্ষার নির্দিষ্ট রোডম্যাপ প্রকাশ করা; সুপারিশ প্রক্রিয়া নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে ভেরিফিকেশনে হয়রানি লাঘবের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং গেজেট প্রকাশ স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করা; মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সবার চাকরি নিশ্চিত করা।
দাবিগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে বেসরকারি খাতে চাকরির পরীক্ষার আবেদন ফি সহনীয় পর্যায়ে আনার লক্ষ্যে সাত দিনের মধ্যে কমিশন গঠন, বিসিএসসহ সব চাকরির পরীক্ষার মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে নিরপেক্ষ লোক নিয়োগ এবং বিসিএস প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, অন্যথায় নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া।
এই আন্দোলনের মুখপাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হুসাইন বলেন, ‘৫ আগস্ট–পরবর্তী সময়ে আমাদের পিএসসির মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান সংস্কারের জন্য রাজপথে দাঁড়াতে হবে, এটা মেনে নিতে পারছি না। আমরা ভেবেছি, অন্তর্বর্তী সরকার নিজ উদ্যোগে প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করবে। কিন্তু তেমন কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি আমরা দেখতে পাচ্ছি না।’
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আরমান হোসেন বলেন, ‘পিএসসি সংস্কারের জন্য আন্দোলন করছি, এটাই শেষ নয়। যদি সংস্কার না হয়, তাহলে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’
এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, একই দিনে একাধিক পরীক্ষা নেওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে বিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণ ঘুরে শান্ত চত্বরে সমাবেশে মিলিত হয়।