মাদারীপুরের শিবচরে সালিস বৈঠকে কথা-কাটাকাটির জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার দক্ষিণ বহেরাতলা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৯ জনের নাম পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন দক্ষিণ বহেরাতলা এলাকার মানিক মাদবর (৪০), ইব্রাহিম মাদবর (৩৮), বিপ্লব মাদবর (৩২), ফাতেমা আক্তার (৩০), চানমিয়া মাদবর (৫০) বোরহান মাদবর (৩৬), ইমন মাদবর (১৬), অনিক মাদবর (১৬) ও রাসেল মাদবর (২০)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দক্ষিণ বহেরাতলার চানমিয়া মাদবরের সঙ্গে একই এলাকার মানিক মাদবরের বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত রোববার উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার মীমাংসার জন্য গতকাল রাতে সালিস বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সালিস শুরুর আগেই চানমিয়া ও মানিক উত্তেজিত হয়ে পড়লে হট্টগোল শুরু হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে আহত হন অন্তত ১০ জন। তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রতন শেখ জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক আছে। দুই পক্ষকেই থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম দবর

এছাড়াও পড়ুন:

গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগ, ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ বন্ধের দাবি পরীমনির

চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এক বছরের সন্তানকে খাবার খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে গৃহকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে নায়িকার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পিংকি আক্তার গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার ভাটারা থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনার পর গতকাল দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন পরীমনি। ২১ মিনিট ৬ সেকেন্ডের দীর্ঘ এই ফেসবুক লাইভে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ আইনিভাবে মোকাবিলার কথা জানান ঢাকাই ছবির এই নায়িকা।

ফেসবুক লাইভের শুরুতেই নিজের টিমের সদস্যদের নিয়ে পরীমনি বলেন, ‘আপনারা আমার বিগত জীবনযাপন দেখলেই বুঝবেন, কোনো আত্মীয়স্বজন নিয়ে আমার জীবনযাপন না, আমার পুরো পরিবারটাই হলো আমার স্টাফদের নিয়ে। বিভিন্ন বিশেষ দিবসে তাদের নিয়ে লেখালেখি করতাম। মাদার্স ডে, ফাদার্স ডে যা–ই বলেন না কেন, কারণ আমি তাদের নিয়েই থাকি। সেখানে একজন আমার গৃহকর্মী, যে এক মাসও হয়নি না আসলে...সে দাবি করতেই পারে (গৃহকর্মী হিসেবে), তবে আমি বলব সে আমার গৃহকর্মী না।’

পরীমনি

সম্পর্কিত নিবন্ধ