ট্রাম্পের প্রতিশোধমূলক শুল্ক থেকে বাংলাদেশ যেভাবে লাভবান হতে পারে
Published: 4th, April 2025 GMT
বাংলাদেশের পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩৭ শতাংশ রিটেলিয়েট (প্রতিশোধমূলক) ট্যারিফ আরোপ করেছেন। এর ব্যাখ্যায় যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বাংলাদেশ যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে ৭৪ শতাংশ ট্যারিফ আরোপ করে, এর প্রতিশোধ হিসেবে তারা বাংলাদেশের পণ্যে তার অর্ধেক, অর্থাৎ ৩৭ শতাংশ ট্যারিফ আরোপ করেছে। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রকে ১৫ শতাংশ ট্যারিফ প্রদান করে।
নতুন এই সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশের অতিরিক্ত ২২ শতাংশ ট্যারিফ প্রদান করতে হবে। যেহেতু বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে আমদানির চেয়ে রপ্তানি বেশি করে, তাই এমন অবস্থায় বজায় থাকলে নিঃসন্দেহে তা বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
কিন্তু ট্রাম্পের এমন ট্যারিফ ঘোষণায় বাংলাদেশের জন্য নতুন একটি সম্ভাবনা ও সুযোগ তৈরি করেছে। সেটি হলো, বাংলাদেশ যদি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে, তাহলে বিদ্যমান ১৫ শতাংশ ট্যারিফের থেকে কম, অর্থাৎ ১০ শতাংশ ট্যারিফ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শক্ত অবস্থান করে নিতে পারবে। কারণ, ট্রাম্পের সব দেশের ওপর ১০ শতাংশ হারে ট্যারিফ আরোপ করেছে।
এখন বাংলাদেশ যদি যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে বিদ্যমান ট্যারিফ ৭৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনে, তাহলে বাংলাদেশের পণ্যেও যুক্তরাষ্ট্র ১০ শতাংশই ট্যারিফ আরোপ করবে। এতে বরং বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ ও সম্ভাবনা তৈরি হবে।
এখন পাঠক প্রশ্ন করতে পারেন, তাতে বাংলাদেশের লাভ হবে কি না? চলুন, সরলভাবে হিসাব করে দেখি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট দপ্তরের অফিস অব দ্য ইউনাইটেড স্টেট ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মোট পণ্য বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল আনুমানিক ১০ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার।
২০২৪ সালে বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য রপ্তানি ছিল ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ১ দশমিক ৫ শতাংশ (৩৪.
২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশের সঙ্গে পণ্য বাণিজ্যে ঘাটতি ছিল ৬ দশমিক ২ বিলিয়ন, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ২ শতাংশ (১২৩.২ মিলিয়ন ডলার) বৃদ্ধি পেয়েছে।
যদি আমরা ২০২৪ সালের আমদানি ও রপ্তানি ডেটাকে বিবেচনায় নিয়ে হিসাব করি, তাহলে ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের বিপরীতে বর্তমান হারে, অর্থাৎ ৩৭ শতাংশ ট্যারিফ ধরলে প্রায় ৩ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার ট্যারিফ যুক্তরাষ্ট্রকে প্রদান করতে হবে।
২০২৪ সালে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। এখন এতে যদি বাংলাদেশ ৭৪ শতাংশ হারে ট্যারিফ নেয়, তাহলে বাংলাদেশ ট্যারিফ পাবে ১ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার। ফলে বিদ্যমান হিসাবে বাংলাদেশকে অতিরিক্ত ১ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার ট্যারিফ যুক্তরাষ্ট্রকে প্রদান করতে হবে।
আমাদের মনে রাখতে হবে, আমাদের তৈরি পোশাকের অন্যতম প্রধান গন্তব্য হলো যুক্তরাষ্ট্র। আমার এই তৈরি পোশাকের কাঁচামাল তুলার অন্যতম আমদানির বাজারও যুক্তরাষ্ট্র। তৈরি পোশাক খাত আমাদের অর্থনীতির অন্যতম লাইফলাইন। কাজেই বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যেকোনো ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আগেই বাংলাদেশের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। যত দ্রুত করা যাবে, ততই মঙ্গল।এখন যদি বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য ট্যারিফ কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনে, সে ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রও বাংলাদেশের পণ্যে ১০ শতাংশ ট্যারিফ প্রদান করবে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রকে ট্যারিফ প্রদান করবে শূন্য দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ট্যারিফ প্রদান করবে শূন্য দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে রপ্তানিতে শূন্য দশমিক ৬২ বিলিয়ন বা ৬২০ মিলিয়ন ডলার বেশি ট্যারিফ প্রদান করতে হবে। ফলে বর্তমান আমদানি ও রপ্তানির তথ্যের হিসাবেও বাংলাদেশকে ৮৬০ মিলিয়ন ডলার কম ট্যারিফ প্রদান করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্যারিফ কমালে বাংলাদেশের আরও বেশ কিছু সুবিধা আছে। আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে সেসব পণ্য বেশি আমদানি করি, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে কৃষিপণ্য (সয়াবিন, গম, তুলা), মেশিনারি ও ইলেকট্রনিকস (জেনারেটর, মেডিকেল যন্ত্রপাতি) এবং কেমিক্যালস ও ফার্মাসিউটিক্যালস।
এখন বাংলাদেশ ট্যারিফ কমালে সয়াবিন, গম ও তুলার আমদানি খরচ কমবে, ফলে সয়াবিন তেল, আটা ও তুলা বা সুতার দাম কমবে। যেহেতু এসব পণ্য বাংলাদেশের চাহিদা তুলনায় অনেক কম আমদানি করতে হয়, তাই এগুলো আমদানি বাড়ালে আমাদের কৃষি খাত ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা কম; বরং এসবের আমদানি খরচ কম হলে আমরা আরও কম দামে তৈরি পোশাক বানাতে পারব।
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের খারাপ খবর, তবে সুযোগ সম্ভাবনাও আছে০৩ এপ্রিল ২০২৫এ ছাড়া সয়াবিন ও আটার মতো খাদ্যপণ্যের দামও কমে আসবে। অন্যদিকে মেশিনারি ও ইলেকট্রনিকস (জেনারেটর, মেডিকেল যন্ত্রপাতি) এবং কেমিক্যালস ও ফার্মাসিউটিক্যালসের ক্ষেত্রেও একই ধরনের প্রভাব হবে। বর্তমানে দাম বেশি পড়ায় একটু সস্তায় পেতে এগুলোর বেশির ভাগ চীন, ভারত বা জাপানের মতো দেশগুলো থেকে আমদানি করা হয়। এসব পণ্যে আমাদের চীন, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য–ঘাটতি রয়েছে। এখন যদি একই দামে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য পাওয়া যায়, তাহলে সেটি আরও নতুন সুযোগ তৈরি করবে।
এ কথা সত্য যে আমি যত সরলভাবে হিসাবটি দেখিয়েছি, বাণিজ্যের হিসাব–নিকাশ একটু জটিল। তবে আপনি যেভাবে হিসাব করেন না কেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমরা সেসব পণ্য আমদানি করি, তার জন্য আমাদের স্থানীয় খাত বা শিল্পকে প্রটেকশন দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কেননা এসব খাতে আমাদের চাহিদার তুলনায় স্থানীয় উৎপাদন অনেক কম। তাই, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বুদ্ধিদীপ্ত কৌশল নিলে ট্রাম্পের এমন প্রতিশোধমূলক ট্যারিফও আমাদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে পারে।
আমাদের মনে রাখতে হবে, আমাদের তৈরি পোশাকের অন্যতম প্রধান গন্তব্য হলো যুক্তরাষ্ট্র। আমার এই তৈরি পোশাকের কাঁচামাল তুলার অন্যতম আমদানির বাজারও যুক্তরাষ্ট্র। তৈরি পোশাক খাত আমাদের অর্থনীতির অন্যতম লাইফলাইন। কাজেই বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যেকোনো ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আগেই বাংলাদেশের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। যত দ্রুত করা যাবে, ততই মঙ্গল।
মো. ইমরান আহম্মেদ পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, বাংলাদেশ পুলিশ এবং বর্তমানে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ওয়ারউইকের পলিটিকস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ বিভাগের পিএইচডি গবেষক।
[email protected]
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ২০২৪ স ল ১ দশম ক দশম ক ২ র জন য আম দ র ক য লস আমদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
অর্থ উপদেষ্টার কাছে হিমায়িত মৎস্য রপ্তানিকারকদের ৬ দাবি
হিমায়িত চিংড়ি ও মৎস্যপণ্য রপ্তানিতে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের জন্য অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের কাছে ছয়টি দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএফইএ)। সংগঠনটির সভাপতি মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী এক চিঠিতে এ খাতে বিদ্যমান সমস্যা দূর করতে অর্থ উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বিএফএফইএর নেতাদের একটি সভা হয়। হিমায়িত চিংড়ি ও মৎস্যপণ্য রপ্তানিতে বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধানের লক্ষ্যে অর্থ উপদেষ্টার পরামর্শ অনুযায়ী ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে একটি চিঠি দেওয়া হয়। গত ৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. জাকির হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে বিএফএফইএর নেতাদের আরেকটি সভা হয়। সভায় হিমায়িত চিংড়ি ও মৎস্য রপ্তানি খাতের বকেয়া নগদ সহায়তার অর্থ বিশেষ বিবেচনায় পৃথকভাবে দ্রুত ছাড় করা এবং পাট শিল্পের মতো বকেয়া ঋণ এক হিসেবে স্থানান্তরের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট সুপারিশসহ বাংলাদেশ ব্যাংকে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।
বিএফএফইএর সভাপতির চিঠিতে দীর্ঘ দিনের বকেয়া নগদ সহায়তার অর্থ দ্রুত ছাড় করার বিষয়ে বলা হয়েছে, হিমায়িত চিংড়ি ও মাছ রপ্তানি খাতের কাঁচামাল শতভাগ কৃষিজাত পণ্য। প্রান্তিক চাষিদের কাছ থেকে কিনে দেশের শতাধিক হিমায়িত চিংড়ি ও মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানি করা হচ্ছে। এটা শতভাগ মূল্য সংযোজিত পণ্য। এ খাত শতভাগ দেশীয় কাঁচামাল থেকে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের খাত। সরকার প্রদত্ত নগদ সহায়তা এ খাতের কোনো লভ্যাংশ নয়। কাঁচামালের স্বল্পতার কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারে মাছের মূল্য বেশি থাকায় কারখানায় পণ্যের ক্রয়মূল্য বৃদ্ধি পায়। তদুপরি বিভিন্ন সময় আওতাবহির্ভূত সমস্যার কারণে, যেমন: করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে চিংড়ি ও মাছের মূল্য হ্রাস পাওয়ায় এ খাতের রপ্তানি অনুকূল অবস্থার পরিবর্তে প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, এ খাতের নগদ সহায়তা শুধু দেশের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের লক্ষ্যে রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনার সহায়ক মাত্র। প্রায় ১ বছর যাবত অডিট আপত্তির বিষয়টি নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকায় হিমায়িত চিংড়ি ও মাছ রপ্তানিকারকদের নগদ সহায়তাপ্রাপ্তির কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ ছিল। অর্থ উপদেষ্টার হস্তক্ষেপে ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে নিষ্পত্তি হওয়ার ফলে অডিট কার্যক্রম চালু হয়েছে। বর্তমানে এ খাতে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে অডিটকৃত ১৩৮ কোটি টাকা বকেয়া আছে, যার ফলে রপ্তানিকারকদের তারল্য সংকট সৃষ্টি হওয়ায় রপ্তানি কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং প্রান্তিক চাষিদের চিংড়ি ও মাছের টাকা পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় হিমায়িত চিংড়ি ও মৎস্যপণ্য রপ্তানি খাতের অডিটকৃত পাওনা অর্থ দ্রুত ছাড় করার দাবি জানানো হয়েছে।
বিএফএফইএর ছয় দাবি হলো—
১। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ হিসাবের মূল ঋণ ও সুদ পৃথক পৃথক ব্লকড হিসাবে স্থানান্তর করা।
২। ব্যবসা পরিচালনার জন্য ব্লকড হিসাবে স্থানান্তরের ফলে ঋণ হিসাবে সৃষ্ট কুশন অনুযায়ী ড্রইং সুবিধা অনুমোদন করা।
৩। মূল ঋণের জন্য সৃষ্ট ব্লকড হিসাব দুই বছরের সুদবিহীন মরেটরিয়াম সুবিধাসহ ত্রৈমাসিক কিস্তিতে ১০ বছরে পরিশোধের সুযোগ দেওয়া।
৪। ‘কস্ট অব ফান্ড’ বিবেচনায় মূল ঋণের জন্য সৃষ্ট ব্লকড হিসাবে ৯ শতাংশ হারে বাৎসরিক ভিত্তিতে সুদ আরোপের সুযোগ দেওয়া।
৫। সুদের জন্য সৃষ্ট ব্লকড হিসাব দুই বছরের মরেটরিয়াম সুবিধাসহ বিনা সুদে ত্রৈমাসিক কিস্তিতে ১০ বছরে পরিশোধের সুযোগ দেওয়া।
৬। ঋণ হিসাব পুনঃতফশিলের জন্য প্রচলিত ডাউন পেমেন্টের হার শিথিল করে মূল ঋণের ওপর ২ শতাংশ হারে ডাউন পেমেন্ট পরিশোধের সুযোগ দেওয়া।
ঢাকা/হাসনাত/রফিক