ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা অপু বিশ্বাস। এখন অভিনয়ে খুব একটা সক্রিয় নন। বরং বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও সন্তানকে নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সাক্ষাৎকারমূলক একটি অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে অপু জানালেন, পরকীয়া বন্ধ করতে চান তিনি।

মূলত, অনুষ্ঠানটিতে র‌্যাপিড ফায়ার নামে একটি সেগমেন্ট জটপট উত্তর দিতে হয় অপু বিশ্বাসকে। সেখানে সঞ্চালক জানতে চান, আপনাকে সুপার পাওয়ার দেওয়া হলে কী করবেন? জবাবে অপু বিশ্বাস বলেন, “পরকীয়াটা বন্ধ করব। এমন আইন জারি করব যে, দশজনের সামনে পাথর নিক্ষেপ করে মারা হয়।”   

জীবনের কোন অভ্যাস পরিবর্তন করতে চান? এ প্রশ্নের উত্তরে অপু বিশ্বাস বলেন, “মানুষকে খুব বেশি বিশ্বাস করে ফেলি, মনের সব কথা বলে ফেলি। এই অভ্যাসটা পরিবর্তন করা দরকার।”

আরো পড়ুন:

বরেণ্য অভিনেতা মনোজ কুমার মারা গেছেন

শাশুড়ি মায়ের হাতের রান্না যেন মধু: শবনম বুবলী

অপু বিশ্বাস তার দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ার অর্থ-খ্যাতি দুটোই পেয়েছেন। তারপরও তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, ‘টাকা নাকি খ্যাতি’ কোনটা চান? জবাবে অপু বিশ্বাস বলেন, “টাকা।”

এ অনুষ্ঠানে কয়েকজন তারকার নাম বলেন সঞ্চালক। সংক্ষেপে তাদের নিয়ে মন্তব্য করতে বলেন অপু বিশ্বাসকে। প্রথমে শাকিব খানের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়। অপু বিশ্বাস বলেন, “সৃষ্টিশীল ও ব্যবসায়ী।” মৌসুমীকে নিয়ে বলেন, “অ্যাডরেবল হট।” মেহজাবীন চৌধুরী? অপুর সটান জবাব, “সুইট।” আফরান নিশোকে নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে অপু বিশ্বাস বলেন, “একটু দাম্ভিক।” জায়েদ খান প্রসঙ্গে এ নায়িকা বলেন, “নেতা নেতা টাইপ।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র ব শ ব স বল ন অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

কাঠগড়ায় মেজাজ হারালেন হাজী সেলিম 

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে সাজেদুর রহমান ওমর নামে এক ব্যক্তি নিহতের মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (৯ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি.এম. ফারহান ইশতিয়াকের আদালত শুনানি শেষে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।

এর আগে তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। আদালত তার উপস্থিতিতে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানির তারিখ রাখেন। এদিন শুনানিকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়া, হাজির করা হয় আওয়ামী সরকারের  সাবেক কয়েকজন মন্ত্রী, এমপিকেও। তাদেরও গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানি ছিলো।

শুনানিকালে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা হাজী সেলিমের ওকালত নামায় স্বাক্ষর নিতে যান আইনজীবী। এসময় মেজাজ হারান তিনি। কিছুটা উচ্চবাচ্য করেন। ওকালতনামায় স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানান। তবে বোঝানোর পর তিনি স্বাক্ষর করেন। পরে শুনানি শেষে আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

এ বিষয়ে হাজী সেলিমের আইনজীবী শ্রী প্রাণ নাথ বলেন, “আমার মক্কেল কথা বলতে পারেন না। কারাগারে খাবার খেতে পারেন না। কাউকে কোনো কিছু বোঝাতে পারেন না। এই অভিমানে রেগে গিয়েছিলেন। এজন্য তিনি ওকালত নামায় স্বাক্ষর করতে চাচ্ছিলেন না। কিছুক্ষণ বোঝানোর পর স্বাক্ষর করেন। তাকে বলেছি, সিস্টেমের বাইরে তো কিছু করতে পারবো না।”

তিনি বলেন, “আমার মক্কেলকে ১৯ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এখনো ১০ দিনের রিমান্ড পেন্ডিং রয়েছে।”

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ২১ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে যাত্রাবাড়ী থানাধীন ফুটওভার ব্রিজের নিচে ছাত্রজনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন সাজেদুর রহমান ওমর। বিকেলে আসামিদের আক্রমণে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ আগস্ট মারা যান। এ ঘটনায় গত ৩ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা হয়।

গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে পুরান ঢাকার বংশাল এলাকা থেকে হাজী সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।

ঢাকা/মামুন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ