মাদারীপুর শহরে আগুনে পুড়ে গেছে ১৮টি দোকান ও একটি বসতঘর। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শহরের পুরানবাজার এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত সাড়ে তিনটার দিকে পুরানবাজার এলাকায় সৌরভ হার্ডওয়্যার নামের দোকান থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। খবর পেয়ে মাদারীপুর, কালকিনি ও টেকেরহাট ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় কাপড়, গার্মেন্টস, মেশিনারি, কসমেটিকসের অন্তত ১৮টি দোকান। এতে তিন কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী শহীদ খান বলেন, ‘আগুনে আমার ঘরের অনেকটা পুড়ে গেছে। ঘরের সামনে থাকা ১৮টি দোকান পুড়ে ছাই। রাত বেশি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা কোনো মালামাল বের করতে পারেনি। দোকানের ভেতরে থাকা মালামাল কয়লা হয়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা পথে বসে গেছে। সবকিছু শেষ!’

প্রত্যক্ষদর্শী বাঁধন খান বলেন, ‘প্রথমে আগুন দেখে আমরা স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভাতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু আগুনের তীব্রতা বেশি থাকায় আগুন দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ফায়ার সার্ভিসের একাধিক দল আসার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।’

মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, বাণিজ্যিক এলাকা পুরানবাজারে পানি সরবরাহ করতে দেরি হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়েছে। পুকুর-ডোবা ভরাট হওয়াই এর অন্যতম কারণ। শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। তবে কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।

আগুনে পুড়ে গেছে ১৮টি দোকান ও একটি বসতঘর। আজ শুক্রবার সকালে মাদারীপুর শহরের পুরানবাজারে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবস য়

এছাড়াও পড়ুন:

সাতক্ষীরায় বসতঘর থেকে শতাধিক সাপের বাচ্চা ও ডিম উদ্ধার

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার একটি বাড়ির বসতঘর থেকে কালাচ সাপের শতাধিক বাচ্চা ও শতাধিক ডিম উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের জাহানাজ গ্রামের মোখলেছুর রহমানের বসতঘর থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়।

মোখলেছুর রহমান বলেন, গতকাল সোমবার সকালে বসতঘরের পাশে কয়েকটি সাপের বাচ্চা চলাচল করতে দেখে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তিনি সেগুলো মেরে ফেলেন। সাপের বাচ্চা চলাচলে তাঁর সন্দেহ থাকায় আজ দুইটার দিকে একই গ্রামের সাপুড়ে রফিকুল ইসলামকে ডেকে আনেন। রফিকুল এসে ঘরের এক কোনা থেকে শতাধিক কালাচ সাপের বাচ্চা ও শতাধিক ডিম উদ্ধার করেন। পরে সাপের বাচ্চাগুলো মেরে ফেলা হয় ও ডিমগুলো নষ্ট করা হয়।

রফিকুল ইসলাম বলেন, কালাচ সাপ সাধারণত কাঁচা ঘরবাড়িতে কিংবা লেপ-তোশকের মধ্যে থাকে। এই সাপ কামড়ালে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সাপ দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সাপ দেখলে প্রাণিসম্পদ অফিসে কিংবা তাঁদের খবর দিলে তা না মেরে ধরার পর বনে বা অন্য কোনো নিরাপদ স্থানে ছেড়ে দেবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নদীতে ড্রেজার, বিলীনের ঝুঁকিতে কৃষিজমি-রাস্তাঘাট
  • টাঙ্গাইলে ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বসতঘরে, ঘুমন্ত নারীর মৃত্যু
  • বিদ্যালয়ের কক্ষে ১৬ বাসিন্দাকে বেঁধে রেখে ডাকাতি
  • সাতক্ষীরায় বসতঘর থেকে শতাধিক সাপের বাচ্চা ও ডিম উদ্ধার