নড়াইলে ঐতিহ্যবাহী ষাঁড়ের লড়াই দেখতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়
Published: 4th, April 2025 GMT
নড়াইল সদর উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ষাঁড়ের লড়াই। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামে এলাকাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক হাজার দর্শনার্থী ভিড় করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ষাঁড়ের লড়াই ঘিরে দুপুর থেকেই মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। বিকেল গড়াতেই বিদ্যালয়ের মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। মাঠের চারপাশে বসে যায় নানা পণ্যের দোকান। স্থানীয় খাবার, খেলনা, মাটির তৈজসপত্র, হস্তশিল্পসহ নানা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানিরা। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বয়স্করাও লড়াই দেখতে ভিড় করেন। প্রতিযোগিতায় আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩০টি ষাঁড় অংশ নেয়।
দর্শনার্থীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনার পাশাপাশি কিছুটা শঙ্কাও ছিল। রাফিয়া সুলতানা নামের এক দর্শনার্থী বলেন, ‘ষাঁড়ের লড়াই দেখতে যেমন রোমাঞ্চকর, তেমনি ভয়ও লাগে। কারণ, মাঝেমধ্যেই ষাঁড়গুলো দৌড়ে মানুষের মাঝে চলে আসে। তবু এ খেলা দেখার আনন্দ আলাদা। তবে ষাঁড়গুলোর অনিয়ন্ত্রিত আচরণ ঠেকাতে এখানে মাঠের চারপাশে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছে। এতে কিছুটা স্বস্তি নিয়েই প্রতিযোগিতা উপভোগ করা যাচ্ছে।’
দর্শনার্থীদের মতে, ষাঁড়ের লড়াই শুধু একটি সাধারণ খেলা নয়; এটি বাংলার গ্রামীণ সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রাচীনকাল থেকেই এই লড়াই গ্রামবাংলার মানুষের বিনোদন ও সামাজিক ঐক্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। এই ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করা উচিত, যাতে বাংলার গ্রামীণ সংস্কৃতি ও ইতিহাস ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে জীবন্ত থাকে।
কৃপাচার্জ বিশ্বাস নামের আরেক দর্শনার্থী বলেন, আগে বিভিন্ন মেলা, উৎসব ও বিশেষ উপলক্ষে এই লড়াই আয়োজন করা হতো, যেখানে আশপাশের গ্রামবাসী একত্র হয়ে আনন্দ উপভোগ করতেন। একসময় যা ছিল গ্রামীণ জীবনের রোমাঞ্চকর অংশ, এখন তা কেবল স্মৃতির পাতায় ঠাঁই নিতে চলেছে। অনেক দিন পর এই প্রতিযোগিতা দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।
আয়োজকদের একজন মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র মব
এছাড়াও পড়ুন:
বোয়ালখালীতে অস্ত্র-গুলিসহ ৪ জন আটক
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১৪ রাউন্ড এ্যামোনিশন (গুলি), দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও নগদ টাকাসহ ৪ জনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।
শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সালাহ উদ্দিন আল মামুনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বোয়ালখালী সেনা ক্যাম্প কমান্ডার মেজর রাসেল জানান, অভিযান চালিয়ে শ্রীপুর-খরণদ্বীপ এলাকায় মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগে শহিদুল আলম (৩৮), মো. জানে আলম নান্নু (৪০), জুবায়েদ আকবর (২৬) ও মো. মোর্শেদকে (৪৭) আটক করা হয়।
তাদের কাছ থেকে ৪ রাউন্ড রাইফেল এ্যামোনিশন (গুলি), ১০ রাউন্ড শটগান এ্যামোনিশন (গুলি), ২১টি দেশীয় অস্ত্র, নগদ ১ লক্ষ ৭৬ হাজার ৪২৫ টাকা, ২৫টি মোবাইল সেট ও ৩টি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে।
জব্দ মালামালসহ আটকদের বোয়ালখালী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার বলেন, এ বিষয়ে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।