একাত্তর ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে যারা কথা বলবে তাদের বরদাশত করা হবে না মন্তব্য করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মুজিবুর রহমান সরোয়ার বলেছেন, দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে কিছু নেই। ২৪ এ বিপ্লবও হয়নি। একটি গণঅভ্যুত্থান হয়েছে মাত্র। তাই একাত্তর ঠিক রেখে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বরিশাল প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। 

মুজিবুর রহমান সরোয়ার বলেন, বিএনপির আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন। ১৬ বছর এ দাবিতে আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। তাই অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রয়োজন। নির্বাচিত সরকার এলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। মানুষ তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে আসতে পারবে। 

মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান অনেক বড় নেতা ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান আমরা অস্বীকার করতে পারি না। তবে স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি সশস্ত্র অংশগ্রহণ করেননি। স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল একটা সস্বস্ত্র সংগ্রাম। সশস্ত্র সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন জিয়াউর রহমান। 

সরোয়ার বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় দল, কিন্ত তাদের অহংকার বেশি। শেখ মুজিবুর রহমান বড় মাপের নেতা। কিন্ত তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী সহ্য করতে পারতেন না। শেখ হাসিনাও সেই পথে হাঁটায় আওয়ামী লীগের আজকের পরিণতি হয়েছে। 

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন, বিএনপি নেতা আনোয়ারুল হক তারিন, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মানবেন্দ্র ব্যটবল ও নুরুল আলম ফরিদ, ইনকিলাবের নাছিমুল আলম, এটিএন এর হুমায়ুন কবীর, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস.

এম জাকির হোসেন প্রমুখ।

 

 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ম জ ব র রহম ন স ব ধ নত সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

শিবগঞ্জ সীমান্তে পেট্রোল বোমা ও ককটেলের বড় চালান আটক

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তে বিস্ফোরকের একটি বড় চালান আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। দেশকে অস্থিতিশীল করতে চোরাইপথে ভারত থেকে আনা উপকরণ দিয়ে বানানো এসব সরঞ্জাম ব্যবহার করার পরিকল্পনা করা হচ্ছিল বলে জানিয়েছে বিজিবির।

সীমান্ত বাহিনীটির দাবি, বোমাগুলো দেশীয়ভাবে তৈরির পর তা বন্দর এলাকা থেকে বিভিন্ন পণ্যের আড়ালে পাচার হওয়ার আগেই গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তা আটকে দেওয়া হয়।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার চকপাড়া সীমান্ত এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৯৯টি ককটেল এবং ৪০টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করে ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের একটি আভিযানিক দল। রাত ৮টায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া।

তিনি জানান, দুটি প্লাস্টিকের ক্যারেটসহ চকপাড়া সীমান্তের ১৮৪ মেইন পিলার হতে প্রায় এক কিলোমিটার দুরে কয়লাবাড়ি ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় দুটি প্লাস্টিকের ক্যারেটসহ দুই ব্যক্তি দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় বিজিবির একটি অভিযানিক দল ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই তারা পালিয়ে গেলে একটি ক্যারেটে তল্লাশি চালিয়ে লাল স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো ৯৯টি ককটেল এবং অপর ক্যারেট থেকে ৪০টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করে।

তিনি আরও জানান, পেট্রোল বোমাগুলো কোকাকোলা বা এ ধরনের কাঁচের বোতলে বানানো হয়েছে এবং ককটেলগুলো জর্দ্দার কোটায় দেশীয় প্রযুক্তিতে বানানো হয়েছে।

অধিনায়কের দাবি, এসব বিস্ফোরক ভারত থেকে না আনলেও গান পাউডারসহ বিভিন্ন বিস্ফোরক উপকরণ সীমান্ত দিয়ে আনার পর সন্ত্রাসীরা সীমান্ত এলাকায় বোমা তৈরির পর সেগুলো সোনামসজিদ বন্দর রুট ব্যবসার করে বিভিন্ন পণ্যের আড়ালে ট্রাকে করে দেশের অভ্যন্তরে পাচারের চেষ্টা করছিল। তবে গোয়েন্দা নজরদারির কারণে সে পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এসব কাজে জড়িতদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত করছে। এ ঘটনায় জব্দকৃত বোমাগুলো শিবগঞ্জ থানায় জমা দেওয়া হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ