আন্তর্জাতিক বিশ্বের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত ‘বাণিজ্য ঘাটতি’ কাটাতে নতুন শুল্ক পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন সেই পরিকল্পনায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে— এমন সব দেশ ও অঞ্চলের রপ্তানি শুল্ক বাড়িয়েছেন ট্রাম্প।

সব বাণিজ্যিক অংশীদার দেশের ওপর ন্যূনতম ১০ শতাংশ এবং অনেক দেশের ওপর ব্যাপক হারে পাল্টা শুল্কও বসিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ পদক্ষেপের সমালোচনা করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ‘সবচেয়ে খারাপ অপরাধী’ হিসেবে দেখেন চীনকে। আর এই দেশটির পণ্যের ওপর বিদ্যমান ২০ শতাংশ শুল্কের উপরে আরও ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, যার ফলে মোট শুল্ক কমপক্ষে ৫৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রকে ‘অবিলম্বে শুল্ক বাতিল’ করার আহ্বান জানিয়েছে। তারা আরও জানিয়েছে যে চীন ‘নিজস্ব অধিকার এবং স্বার্থ রক্ষার জন্য তারা দৃঢ়ভাবে পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সময়ই আমেরিকা ফার্স্ট নীতির কথা বলে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতা গ্রহণের দিন থেকেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেন তিনি। শুরুতে কয়েকটি দেশকে লক্ষ্যবস্তু করলেও এবার তিনি বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধ আরও তীব্র করে তুললেন শুল্ক আরোপের মাধ্যমে। 

ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বুধবার বিকেলে হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। নতুন নীতিতে ৫ এপ্রিল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা সব পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ হারে আরোপিত শুল্ককে সর্বজনীন ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়েছে। ইইউ, চীনসহ বিশ্বের প্রায় ৬০টি দেশ ৯ এপ্রিল থেকে উচ্চমাত্রার এ শুল্কের কবলে পড়বে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ ল ক আর প র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

বিনিয়োগ সম্মেলনে স্টারলিংকের ইন্টারনেট–সেবা, গতি ১০০–১২০ এমবিপিএস

বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে ইন্টারনেট–সেবা চালু করেছে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট–সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক।

রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনের তৃতীয় দিনে আজ বুধবার স্টারলিংকের ইন্টারনেট সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। আগামীকালও সবার জন্য এটি উন্মুক্ত থাকবে; অর্থাৎ রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে দুদিন স্টারলিংক বিনা পয়সা বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের ইন্টারনেট–সেবা দিচ্ছে।

মূলত বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) সেখানে স্টারলিংকের ইন্টারনেট–সেবা প্রদর্শন করছে। এর মাধ্যমে সম্মেলনে আসা অতিথি ও দর্শনার্থীরা সরাসরি স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট প্রযুক্তির অভিজ্ঞতা নিতে পারছেন। বিএসসিএলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৭ এপ্রিল থেকেই তাঁরা স্টারলিংকের ইন্টারনেট চালুর জন্য কাজ করছিলেন৷ আজ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এটি চালু হয়েছে। তবে দেশে পূর্ণাঙ্গভাবে চালুর বিষয়ে সরকার বা স্টারলিংকের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।

গত ২৯ মার্চ বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) স্টারলিংককে বিনিয়োগ নিবন্ধনের অনুমোদন দেয়। যেখানে প্রতিষ্ঠানটিকে কার্যক্রম শুরু করার জন্য ৯০ কর্মদিবস সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তবে বাণিজ্যিকভাবে ইন্টারনেট–সেবা দিতে হলে স্টারলিংককে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে এনজিএসও (নন-জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট অর্বিট) নিবন্ধন নিতে হবে। এই নিবন্ধনের জন্য চলতি সপ্তাহে বিটিআরসিতে আবেদন করেছে কোম্পানিটি।

বিনিয়োগ সম্মেলনস্থলে সরেজমিনে দেখা যায়, সম্মেলনের মূল প্রবেশপথের একটি স্থানে বুথ বসিয়ে সবাইকে স্টারলিংকের ইন্টারনেটে যুক্ত হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে বিএসসিএল। এ কারণে বুথটির সামনে দুপুরের পর থেকেই উৎসুক মানুষের ভিড় দেখা গেছে।

বিনিয়োগ সম্মেলনে স্টারর্লিংক ব্যবহার করছেন একজন দর্শনার্থী

সম্পর্কিত নিবন্ধ