খুলনার ফুলতলা উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ আবুল বাশারকে লক্ষ্য করে হাতবোমা নিক্ষেপের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে বোমাটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় তিনি রক্ষা পেয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ফুলতলার খুলনা-যশোর মহাসড়কের সুপার ব্রিকসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে খুলনা-যশোর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন স্থানীয় লোকজন। এতে দুই পাশের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, আবুল বাশার মোটরসাইকেলে করে ফুলতলা বাজার থেকে বেজেরডাঙ্গায় নিজের বাড়ির উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে সুপার ব্রিকসের সামনে তাঁকে লক্ষ্য করে হাত বোমা ছোড়া হয়। কিন্তু বোমাটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় তিনি বেঁচে গেছেন। ওই ঘটনায় স্থানীয় লোকজন অল্প সময়ের জন্য সড়ক অবরোধ করে রেখেছিলেন। রাত সাড়ে নয়টার দিকে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা চলছে।

এ বিষয়ে বিএনপি নেতা শেখ আবুল বাশারের মুঠোফোনে রাতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ লতল অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

গৃহকর নিয়ে প্রশাসকের সঙ্গে বাসিন্দাদের হট্টগোল

গৃহকর (হোল্ডিং ট্যাক্স) ধার্যের বিষয়টি নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের সঙ্গে হট্টগোল করেছেন অঞ্চল-৭-এর আওতাধীন বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরে উত্তরা কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত গণশুনানির শেষের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গণশুনানি শেষ করে ওই অঞ্চলের চারটি ওয়ার্ডের প্রতিনিধিদের নিয়ে অঞ্চল-৭-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে আলোচনায় বসেন প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। সেখানে গৃহকর কীভাবে আদায় হবে, কী ছাড় পাওয়া যাবে—এসব বিষয়ে বাসিন্দাদের বুঝিয়ে বলা হয়। হট্টগোলকারীরা বিষয়টি বুঝতে পেরে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য প্রশাসকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।

গণশুনানিতে দেখা যায়, নাগরিক সেবা নিয়ে চারটি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বিভিন্ন সংকট, সমস্যা ও অভিযোগ জানান। তাঁদের দাবি, তাঁরা ২০১৮ সাল থেকে নয়, ২০২৪ সাল থেকে গৃহকর পরিশোধ করবেন। প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে বাসিন্দাদের বলা অভিযোগগুলোর সমাধান, পদক্ষেপ ও করপোরেশনের উদ্যোগ নিয়ে কথা বলেন। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে তিনি হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় নিয়ে বাসিন্দাদের দাবিদাওয়ার বিষয়ে কথা বলছিলেন।

প্রশাসকের বক্তব্য ছিল, আইন অনুযায়ী ২০১৮ সাল থেকেই গৃহকর পরিশোধ করতে হবে। তবে গৃহকরের সঙ্গে পরিচ্ছন্নতা ও সড়ক বাতি বাবদ যে কর আদায় করা হয়, সেই ৫ শতাংশ কর আপাতত আদায় বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া বিধিমালা অনুযায়ী গৃহকরে একজন গ্রাহক যেসব ছাড় পান, সেসব ছাড়ের ব্যবস্থাও করা হবে বলেও জানান। সেই হিসেবে ২০২৪-২৫ অর্থবছর থেকে যে টাকা কর আসবে, ২০১৮ থেকে একই পরিমাণ কর দিতে হবে।

কিন্তু প্রশাসকের এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত হননি শুনানিতে অংশ নেওয়া বাসিন্দারা। তাঁরা চিৎকার-চেঁচামেচি করে এর প্রতিবাদ করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে সামনের সারিতে বসা কিছু ব্যক্তি উত্তেজিত হয়ে মঞ্চে থাকা প্রশাসকের সামনে গিয়ে বলতে থাকেন, তাঁরা এই সিদ্ধান্ত মানেন না। তাঁরা ২০২৪ সাল থেকেই কর দেবেন।

মিনিট পাঁচেক এমন হট্টগোল আর চেঁচামেচি চলে। ঢাকা উত্তর সিটির ওই অঞ্চলের কর্মকর্তা ও স্থানীয় বিএনপির নেতারা উত্তেজিত হওয়া ব্যক্তিদের শান্ত করেন।

ঢাকা উত্তর সিটির ওই অঞ্চলের কর্মকর্তা ও স্থানীয় বিএনপির নেতারা উত্তেজিত ব্যক্তিদের শান্ত করার চেষ্টা করেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ