সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়ায় খোলপেটুয়া নদীর বেঁড়িবাধে ভাঙন কবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে জরুরি ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

খুলনা নৌ অঞ্চলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আনুলিয়া ইউনিয়নের বিছট ও কাকবাসিয়া এলাকায় এ সব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন নৌবাহিনী ত্রাণ বিতরণ উপ-সমন্বয়কারী লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো.

সোহেল রানা।

এ সময় লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. সোহেল রানা বলেন, ‘‘দেশের যে কোনো সংকট ও দুর্যোগে নৌবাহিনী সবসময় নির্ভরতার প্রতীক হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। সংকটকালে জনগণের পাশে থাকা শুধু দায়িত্ব নয়, এটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এক দৃঢ় অঙ্গীকার।’’ তিনি আরো বলেন, ‘‘আশাশুনির এই দুর্যোগ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে নিবিড় সমন্বয়ের মাধ্যমে নৌবাহিনী ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।’’

আরো পড়ুন:

বাঁধে ভাঙনের ২ দিনেও সংস্কার শুরু হয়নি, ১০ গ্রাম প্লাবিত 

সাতক্ষীরায় বে‌ড়িবাঁধ ভেঙে ৫ গ্রাম প্লা‌বিত

এ সময় সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন, আশাশুনির থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নোমান হোসেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নৌবাহিনী এ সময় প্লাবিত অঞ্চলের পাঁচ শতাধিক ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা দেন। খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিল, চাল, ডাল, তেল, চিনি, বিশুদ্ধ পানি, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ঔষধ, খাবার স্যালাইন, বিভিন্ন রকমের শুকনো খাবার, মোমবাতি, দিয়াশলাইসহ বিভিন্ন সামগ্রী।

এছাড়া সেখানকার বানভাসী মানুষকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ দেওয়া হয়। 

ঢাকা/শাহীন/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ন বন দ ন পর বহন

এছাড়াও পড়ুন:

আ. লীগের বিচার নিশ্চিত করে নির্বাচন দিতে হবে: রাশেদ খাঁন 

গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেছেন, “দেশে বারবার গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, কিন্তু গণমানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। হাজারো শহীদের রক্তের দাগ শুকায়নি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আত্মদানকারীদের অবদান আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে।” 

তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ ফেরার চেষ্টা করছে। তারা যদি ফেরে তাহলে আবারো গণহত্যা চালাবে। জনগণ আওয়ামী লীগকে আর সেই সুযোগ দেবে না। এজন্য নির্বাচনের আগে রাষ্ট্র সংস্কার এবং আওয়ামী লীগ ও গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।”

শনিবার (২৬ এপ্রিল) ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু প্রিয়নাথ স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে উপজেলা গণঅধিকার পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

আ.লীগের সঙ্গে যারা আঁতাত করছেন, তাদের ছাড় নয়: টুকু

গাজীপুরে এনসিপির বিক্ষোভে আ.লীগের নিষিদ্ধ করার দাবি

রাশেদ খাঁন বলেন, “আমরা এমন বাংলাদেশ গড়তে চাই যেখানে নির্যাতন, খুন, গুম থাকবে না। আমরা নতুন বাংলাদেশে ক্লিন ইমেজের নেতৃত্ব দেখতে চাই। দেশের মানুষ চাঁদাবাজ, দখলদার, দুর্নীতিবাজদের আর রাজনৈতিক নেতৃত্বে দেখতে চায় না।”

তিনি আরো বলেন, “এই সরকারের সুবিধাভোগী কতিপয় রাঘব বোয়ালরা আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের অপচেষ্টা করছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন দেশের মানুষ মেনে নেবে না। আওয়ামী দোসরদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। নতুন বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সন্ত্রাসীদের কোনো জায়গা দেওয়া হবে না।”

নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে রাশেদ খাঁন বলেন, “সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে। সবাইকে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের মতো ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ফ্যাসিবাদের দোসররা যেন কোনো ভাবেই মাথা চাঁড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে।”

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নির্বাচন নিয়ে যত ধোঁয়াশা তৈরি করা হবে, নির্বাচন যত বিলম্ব হবে, ততই দেশে অশান্তি বাড়বে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা জাতি মানবে না।”

গণসমাবেশে বক্তব্য রাখেন- গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সুমন কবির, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান মিল্টন, জেলা পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সভাপতি মো. রাসেল আহমেদ, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মো. রকিবুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন। 

গণঅধিকার পরিষদের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার আহ্বায়ক আমর বিন মারুফের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন পৌর গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মকলেচুর রহমান (টোকন মিয়া)।

সমাবেশ শেষে রাশেদ খাঁনের নেতৃত্বে শোভাযাত্রা বের হয়। এতে গণঅধিকার পরিষদের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। এর আগে বেলা ৩টায় ঝিনাইদহ শহর থেকে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে হরিণাকুণ্ডু পৌঁছান রাশেদ খাঁন।

ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ