মানিকগঞ্জের আইরমারা গ্রামের দশম শ্রেণির মেধাবী এক শিক্ষার্থীর বিয়ের আয়োজন চলছে। বর ওই গ্রামের কালু ব্যাপারির ছেলে মো. সুজন মিয়া।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গায়ে হলুদের জন্য করা হয়েছে জমকালো আয়োজন। হঠাৎ করেই দুপুরে কনের বাড়িতে হাজির সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মেজবাহ উল সাবেরিন। কনের বয়স আঠারো না হওয়ায় বাল্য বিবাহ বন্ধ করে দেন ইউএনও।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে মানিকগঞ্জের সদর উপজেলা বেতিলা মিতরা ইউনিয়নের আইরমারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, অপ্রাপ্ত বয়স হওয়ার পরেও ওই মেধাবী শিক্ষার্থীর বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। তার অভিভাবকরা আজ গায়ে হলুদ এবং আগামীকাল বিয়ের আয়োজন করেছেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মেজবাহ উল সাবেরিন তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এই বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মেজবাহ উল সাবেরিন জানান, ওই শিক্ষার্থীর বিয়ের প্রাপ্ত বয়স না হওয়ায় বিয়ের আয়োজন বন্ধ করা হয়েছে।
এসময় কনের অভিভাবক বিয়ে দেবেন না এবং তার লেখাপড়া চালিয়ে যাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। কনের সাথে কথা বলে কনেকে আইন সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে আঠারো বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না করার ও লেখাপড়া চালিয়ে যাবার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/চন্দন/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাতক্ষীরায় সাংবাদিককে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন
সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় কালের কণ্ঠ পত্রিকার সাংবাদিক টিপু সুলতানকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ‘অন্যায়ভাবে’ সাজা দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন জেলার সাংবাদিকেরা। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে সাতক্ষীরার সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে এ মানববন্ধন হয়।
ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মো. আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মানবাধিকারকর্মী মাধব দত্ত, চ্যানেল আইয়ের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আবুল কালাম আজাদ, সময় টিভির প্রতিনিধি মমতাজ আহমেদ, আরটিভির প্রতিনিধি রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, বাসসের প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান, দেশ টিভির প্রতিনিধি শরিফুল্লাহ কায়সার, ডিবিসি টেলিভিশনের প্রতিনিধি বেলাল হোসেন, দীপ্ত টিভির প্রতিনিধি রঘুনাথ খাঁ, মানবজমিনের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি এস এম বিপ্লব হোসেন। সভাপতিত্ব করেন প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি।
বক্তারা বলেন, সরকারি নির্মাণকাজের অনিয়মের অনুসন্ধান করতে গিয়ে কালের কণ্ঠ পত্রিকার তালা উপজেলা প্রতিনিধি টিপু সুলতানকে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী এম এম মামুন আলম ছাতা দিয়ে মারধর করেন। বিষয়টি টিপু তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ রাসেলের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগ শুনে ইউএনও ঘটনাস্থলে গিয়ে একতরফাভাবে তাঁদের নিজস্ব লোকজনের সাক্ষী নিয়ে সাংবাদিক টিপুকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১০ দিনের দণ্ডাদেশ দেন। অথচ উপসহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুনতালায় প্রকৌশলীকে মারধরের অভিযোগে সাংবাদিককে দণ্ড, প্রতিবাদ২১ ঘণ্টা আগেবক্তারা বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত সাজা দিতে গেলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অপরাধ সংঘটিত হতে হবে। অথচ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী কর্মকর্তা সেখানে ছিলেন না। তিনি সাংবাদিক টিপুর অভিযোগ শুনে সেখানে গিয়ে একতরফাভাবে সাজা প্রদান করেছেন। ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বক্তারা আরও বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টিপুকে দেওয়া সাজা ও অভিযোগ প্রত্যাহার করতে হবে। পাশাপাশি নির্বাহী কর্মকর্তা স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী কাজ করে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করার অপচেষ্টায় নেমেছেন। ওই নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপসহকারী প্রকৌশলীকে প্রত্যাহার করে ঘটনার তদন্ত করার দাবি জানানো হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টিপুর বিরুদ্ধে দেওয়া সাজা ও অভিযোগ প্রত্যাহার করা না হলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।