বিশ্বকে বদলাতে হলে নিজ গ্রাম থেকে শুরু করুন
Published: 3rd, April 2025 GMT
বিশ্বকে পরিবর্তন করতে হলে আগে নিজের গ্রাম থেকে পরিবর্তন শুরু করার পরামর্শ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) বিকালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে স্থানীয় সময় বেলা ৩টায় বিমসটেক ইয়্যুথ জেনারেশন ফোরামের সম্মেলনে দেওয়া বক্তৃতায় এই পরামর্শ দেন তিনি।
তরুণদের জন্য আয়োজিত এই সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস।
আরো পড়ুন:
বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান হচ্ছেন ড.
প্রধান উপদেষ্টাকে ঈদ-নিরাপত্তার বিষয়ে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “নতুন সভ্যতা গড়তে চাকরির পেছনে না ঘুরে তরুণদের উদ্যোক্তা হতে হবে। নতুন সভ্যতা গড়তে হলে নতুন পথ বেছে নিতে হবে।”
এই প্রজন্মের তরুণরা পৃথিবীর যেকোনো সময়ের চেয়ে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী প্রজন্ম বলে মন্তব্য করে অধ্যাপক ইউনূস তাদের শুরুতে ক্ষুদ্র পরিসরে ব্যবসা চালু করার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, “তুমি একবারে রাতারাতি সবকিছু পরিবর্তন করতে পারবে না। তাই ছোট পরিসরে শুরু করে পরিবর্তনের সূচনা কর।”
তরুণদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “শুরুতে বড় পরিসরে ব্যবসা চালু করা ভুল পথ।”
তিনি সবার জন্য টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে তরুণদের সামাজিক ব্যবসায় যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংবাদিক ও নতুন উদ্যোক্তাদেরও প্রশ্নের উত্তর দেন ড. ইউনূস।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) অনুষ্ঠেয় বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি ড. ইউনূস ভারতসহ এই জোটের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নেতাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ঢাকা/হাসান/রাসেল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি
হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারী।
বৃহস্পতিবার ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মীর সই করা এক হাজার ৪২৮ পৃষ্ঠার এই স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, সংস্কার দাবির কারণে মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও গত ১৬ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১০ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে। একই দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনায় সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।
স্মারকলিপি আরও বলা হয়, আরইবি এখনও মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাসপেন্ড বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। শুধু স্মারকলিপিতে সই দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত করে তদন্তের নামে হয়রানি ও শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চাকরি হারিয়ে, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
স্মারকলিপিতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে।