ঢাকাই সিনেমার অভিনেত্রী শবনম বুবলী। অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও নিয়মিত বিভিন্ন পদ রান্না করে থাকেন। বিশেষ করে ঈদের সময়ে। ঈদুল ফিতরেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। এ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শাশুড়ির হাতের রান্নার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন এই অভিনেত্রী।

নানা পদের রান্না পরিবারের কাছ থেকে শিখেছেন বুবলী। এক সাক্ষাৎকারে এই চিত্রনায়িকা বলেন, “আমার আম্মু ভীষণ ভালো রান্না করেন, এটা ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি। আমার বড় দুই বোনও তাই। একইরকম দেখেছি, শাকিবের মাকে, মানে আমার শাশুড়ি মাকে। আমার শাশুড়ি মায়ের হাতের রান্নার স্বাদ বলে বোঝানো যাবে না।”

শাশুড়ির হাতের রান্নার স্বাদ ব্যাখ্যা করে শবনম বুবলী বলেন, “এত ভালো রান্না করেন মা, আছে না কিছু হাতে জাদু থাকে, উনার হাতের রান্নাও ঠিক তেমন। সেটা তেহারি-বিরিয়ানি হোক কিংবা ফুল কপি-টমেটো দিয়ে মাছ রান্না। শাশুড়ি মায়ের হাতের রান্না মনে হয় মধু। উনি ভীষণ ভালো রান্না করেন।”

আরো পড়ুন:

পুরোনো দ্বন্দ্ব নিয়ে শাকিবকে যে বার্তা দিলেন নিশো

সিরাজগঞ্জে পর্দা কাঁপাচ্ছে শাকিবের ‘বরবাদ’

ব্যক্তিগত জীবনে ঢালিউড কিং শাকিব খানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন বুবলী। এ সংসারে তাদের শেহজাদ খান বীর নামে একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। এ জুটির বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে কিনা, তা সঠিক জানা যায়নি। তবে এর আগে শাকিব খান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন— অপু-বুবলী দুজনেই তার অতীত। দুজনের কারো সঙ্গে তার সম্পর্ক নেই।

ঈদুল ফিতরে বেশ কটি নতুন সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। প্রেক্ষাগৃহে উপচে পড়ছেন দর্শক। বাংলা সিনেমার পরিবর্তনের কথা বলছেন তারা। ঈদুল ফিতরে মুক্তিপ্রাপ্ত অন্যতম আলোচিত সিনেমা ‘জংলি’। দেশের বেশ কটি প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হচ্ছে এটি। এতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন সিয়াম আহমেদ ও শবনম বুবলী। দর্শকরা সিনেমাটি দেখে ভূয়সী প্রশংসা করছেন।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

সোনাইমুড়ীতে চাঁদা চেয়ে চিঠি, না পেয়ে প্রতিষ্ঠানে তালা

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর আমিশাপাড়া বাজারে চাঁদার দাবিতে একটি দোকানে তালা লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। চাঁদা না দেওয়ায় এ কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আবুল বাশার পাটোয়ারী। তিনি জানান, পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। 

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) নোয়াখালী প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সাংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ব্যবসায়ী আবুল বাশার পাটোয়ারী।

আবুল বাশার পাটোয়ারী জানান, ‍দীর্ঘদিন ধরে তিনি আমিশাড়া বাজারে ফার্নিচার ও হার্ডওয়ার সামগ্রির ব্যবসা করছেন। রমজান মাস শুরুর চার-পাঁচদিন আগে দোকানের সার্টার খুলে দেখেন ভেতরে একটি চিঠি। খুলে দেখেন, নাম-পরিচয় না দেওয়া এক ব্যক্তি তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন। চিঠি পাওয়ার পর তিনি বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীদের বিষয়টি অবহিত করেন।

আরো পড়ুন:

ছিনতাইয়ের ছক এক মাস আগে, রিকশাচালককে নিয়ে হয়েছিল মহড়া

মাদক প্রতিবেদন: ফেনীর সেই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা

গত ১৬ এপ্রিল রাতে নাম না জানা ব্যক্তি তার দোকানে তালা লাগিয়ে দেন। পরদিন সকালে তিনি দোকানে গিয়ে তালা দেখে এ বিষয়ে সোনাইমুড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

আবুল বাশার পাটোয়ারী জানান, পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে সিসিটিভির ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে দেখে, আমিশাপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. কামাল তার সহযোগীদের নিয়ে দোকানে তালা দিয়েছেন। পরে পুলিশ কামালকে থানায় ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি তালা দেওয়ার ঘটনা স্বীকার করেন। তবে, পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি।

তিনি আরো জানান, এরপর থেকে কামাল হোসেন নানাভাবে হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন। বর্তমানে তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

চাঁদা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করে মো. কামাল জানান, তিনি দোকানে তালা দিয়েছেন এটা যেহেতু তারা সিসিটিভির ফুটেজে দেখেছে এ বিষয়ে তিনি কিছু বলবেন না। তবে, আবুল বাশার পাটোয়ারীদের সঙ্গে পারিবরিক বিষয় নিয়ে পূর্বের বিরোধ রয়েছে। তাদের দায়ের করা একটি মামলায় ২০০৯ সালে তিনি কারাগারে ছিলেন। ওই বিরোধের জেরে ক্ষোভ থেকে তিনি দোকানে তালা দিয়েছেন বলেও জানান। 

তিনি আরো জানান, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। আগামীতে তিনি আমিশাপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করছেন। তাকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।

সোনাইমুড়ী থানার ওসি মো. মোরশেদ আলম বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে দোকানে তালা দেওয়ার ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে আবুল বাশারের পূর্ব বিরোধ ও মামলা রয়েছে। আবুল বাশার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের বর্ণনায় একটি অংশ নিয়ে তার আপত্তি থাকায় সেটি আর মামলা হিসেবে রুজু করা হয়নি। পরে ওই ব্যক্তিকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”

ঢাকা/সুজন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ