যশোরে বাসের ধাক্কায় বাবা ও ২ মেয়ে নিহত, স্ত্রী আহত
Published: 3rd, April 2025 GMT
যশোরের পুলেরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী বাবা ও দুই মেয়ে নিহত হয়েছে। নিহতের স্ত্রী ও এক পথচারী আহত হয়েছে। দুর্ঘটনার পর ক্ষুব্ধ জনতা বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।
নিহতরা হলেন, খুলনার মুজগুন্নীর রুবেল হোসেন (৩২), তার মেয়ে ঐশি (১০) ও তায়েবা (৪)। ঈদ উপলক্ষে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনা ঘটেছে। আহতরা হলেন, রুবেলের স্ত্রী জেসমিন (২৮) এবং যশোর কৃষ্ণবাটির ওসমান (১৯)।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে রুবেল তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে শ্বশুরবাড়ি থেকে খুলনার মুজগুন্নীতে ফিরছিলেন। পথে যশোরের পুলেরহাট এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে আসা লোকাল বাস (ঢাকা মেট্রো ১৪-০২৫২) তাদের ধাক্কা দেয়। এতে রুবেল ও তার মেয়ে ঐশি বাসের চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। গুরুতর আহত হয় স্ত্রী জেসমিন ও ছোট মেয়ে তায়েবা। তাদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে তায়েবা মারা যায়।
আরো পড়ুন:
বেপরোয়া গতির ৩ মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, ৪ যুবক নিহত
অসুস্থ স্ত্রীর কাছে পৌঁছানো হলো না কনস্টেবল রনির
দুর্ঘটনার পর বাসটি পালানোর চেষ্টা করলে পথচারী ওসমানকে ধাক্কা দিয়ে আহত করে। এতে স্থানীয় জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় পুলিশ ও প্রশাসন তদন্ত শুরু করেছে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহতদেরও একই হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
যশোর কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে তদন্ত চলছে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/রিটন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন ন হত আগ ন দ র ঘটন তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
‘অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার দমনে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে ইতালি’
অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার প্রতিরোধ এবং আন্তঃদেশীয় অপরাধ দমনসহ বাংলাদেশ পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ইতালি সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রোর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা জানান।
সাক্ষাতে আসন্ন ৫-৬ মে ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাতেও পিয়ান্তেদোসির বাংলাদেশ সফর, অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার প্রতিরোধ, নিরাপত্তা খাতে পারস্পরিক সহায়তা; পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান এবং জনশৃঙ্খলা রক্ষা ও আন্তঃদেশীয় অপরাধ দমনে পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের শুরুতে রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “ইতালি বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু।” তিনি উল্লেখ করেন, ইতালিতে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার বাংলাদেশি দক্ষ কর্মী কর্মরত আছেন, যারা রেমিট্যান্স প্রেরণের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের মাধ্যমে এই সংখ্যাটি আরো বাড়বে এবং দুদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে।
রাষ্ট্রদূত জানান, সফরকালে ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক ও প্রবাসী কল্যাণ এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, ৫ মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করা হবে এবং একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে উভয় দেশের সম্মতিক্রমে অবৈধ অভিবাসন রোধ, আন্তঃদেশীয় অপরাধ দমন এবং পুলিশ বিভাগের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে ঘোষণা, সমঝোতা স্মারক বা চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশ সব সময় আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে বৈধ চ্যানেলে জনশক্তি রপ্তানিতে আগ্রহী। আমরা অবৈধ অভিবাসনের বিপক্ষে এবং যারা দালালের মাধ্যমে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নিরাপত্তা ও বহিরাগমন) মো. শামীম খান, জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব (রাজনৈতিক-১) মো. জসীম উদ্দিন খান এবং ঢাকাস্থ ইতালি দূতাবাসের অভিবাসন সংযুক্ত কর্মকর্তা জিউসেপ্পে দি জিওভান্নি উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এনএইচ