ঈদ আসলেই মনে পড়ে ঈদ কার্ডের কথা
Published: 3rd, April 2025 GMT
বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের ধরন পাল্টে গেছে ৷ এমন এক সময় ছিল যখন প্রিয়জন, আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে বন্ধুদের আমন্ত্রণ এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করার জন্য ঈদ কার্ড ব্যবহার করতো মানুষ ৷ তবে এখন সে প্রচলনটা আর দেখা যায় না ৷
গত ৮-১০ বছর আগেও ঈদের সময় ঢাকা শহরসহ গ্রামগঞ্জের পাড়া মহল্লায় অলিতে গলিতে ছোট্ট করে অস্থায়ী দোকান বসিয়ে এই ঈদ কার্ড বিক্রয় করতো ব্যবসায়ীরা ৷ সেই সময় শিশু থেকে তরুণ সবাই বন্ধুদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য এই ঈদ কার্ড ব্যবহার করতো ৷
বাহারি রংয়ের নকশাওয়ালা কার্ডে থাকতো বিভিন্ন ফুল, লতা-পাতা চাঁদ তারা সহ বিভিন্ন চিত্র এবং সিনেমার নায়ক নায়িকাদের ছবি ৷
বিভিন্ন স্টাইলে ঈদ কার্ডে ঈদ মোবারক লেখা থাকতো৷ আরো থাকতো বিভিন্ন ছন্দে ছন্দে মিলিত লেখা৷ ঈদ কার্ডের ভিতরে নাম ঠিকানা লিখে ঈদের সালামি ও দেওয়া হতো প্রিয় জনকে ৷
বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে এবং মেসেজের মাধ্যমে এই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মানুষ ৷তবে শৈশবে ঈদ কার্ড আদান-প্রদানের এই স্মৃতি একেবারেই মুছে যায়নি ৷ ঈদ কার্ডের কথা শুনলে আলাদা এক আবেগ কাজ করে অনেক মানুষের মনের ভেতরে ৷
এ বিষয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সোনারগাঁয়ের বাসিন্দা সাজ্জাদ বলেন ,ঈদ কার্ডের কথা শুনলে নব্বইয়ের দশকের কথা মনে পড়ে যায় ৷একজন আরেকজনকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে এই ঈদ কার্ডের মাধ্যম ব্যবহার করা হতো ৷
আমি নিজেও আমার স্কুলের বন্ধুদের এই ঈদ কার্ডে মাধ্যমে ঈদের দাওয়াত দিতাম এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করতাম ৷ এখন আর গ্রামগঞ্জে এ কার্ডের দেখা পাওয়া যায় না হয়তো শহরের কোথাও পাওয়া যেতে পারে ৷ আমরা এখন বড় হয়ে গেছি আমাদের ছেলেমেয়েরা আধুনিকতার ছোঁয়ায় অনেক কিছু জানেনা ৷
আমাদের এসব সম্পর্কের নতুন প্রজন্মের ধারণা অনেক কম ৷ নতুন প্রজন্ম ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন বন্ধুদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করে থাকেন৷ আমাদের সময় তখন এসব ছিল না ৷
তামান্না নামে আরো একজন বলেন, ২০১০ সালের দিকে পিতার সাথে বাজারে যেতাম এই ঈদ কার্ড কেনার জন্য ৷ তখন মা বাবাকে রমজান মাসের শুরুতেই বলে রাখতাম আমার বন্ধুদের ঈদ কার্ড দিব আমাকে ঈদ কার্ড কিনে দেওয়ার জন্য ৷
ঈদ কার্ডের মাধ্যমে বন্ধুকে দাওয়াত দিতাম ৷সারা বছর আমরা একসাথে পড়ালেখা করতাম এবং ঈদের দিন বন্ধুরা আমাদের বাড়িতে ঘুরতে আসতো এবং একসাথে আমরা আনন্দ করতাম ৷
এখন সেই হারিয়ে যাওয়া স্মৃতির কথা অনেক মনে পড়ে৷ আমার ছেলে মেয়েদের আমি বলি তখন আমরা কেমন জীবন কাটিয়েছিলাম ৷
.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ঈদ ঈদ ক র ড র বন ধ দ র আম দ র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
বাবার ঠিকাদারির লাইসেন্স ছিল, জানিয়ে ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্স থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে ‘বাবার ভুলের জন্য’ ক্ষমা চেয়েছেন অন্তবর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি আজ বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে ক্ষমা চান।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্স থাকার বিষয়টি জানিয়ে গতকাল বুধবার রাতে ফেসবুকে পোস্ট দেন এক গণমাধ্যম কর্মী। তিনি বিষয়টির সত্যাসত্য জানতে চান আসিফ মাহমুদের কাছে। আসিফ মাহমুদ খোঁজ করে জানান যে, তাঁর বাবার লাইসেন্স নেওয়ার বিষয়টি সঠিক। আর বিষয়টি তাঁকে জানান বলেও ওই গণমাধ্যম কর্মী তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন। এরপরই আজকে আসিফ মাহমুদ বিষয়টি নিয়ে পোস্ট দিলেন। সেটি হুবুহু তুলে ধরা হলো:
‘প্রথমেই আমার বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
গতকাল রাত ৯ টার দিকে একজন সাংবাদিক কল দিয়ে আমার বাবার নামে ইস্যুকৃত ঠিকাদারি লাইসেন্সের বিষয়ে জানতে চাইলেন। বাবার সাথে কথা বলে নিশ্চিত হলাম তিনি জেলা পর্যায়ের (জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার এর কার্যালয় থেকে ইস্যুকৃত) একটি লাইসেন্স করেছেন। বিষয়টি উক্ত সাংবাদিককে নিশ্চিত করলাম। তিনি পোস্ট করলেন, নিউজও হলো গণমাধ্যমে। নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে তাই ব্যাখ্যা দেয়ার প্রয়োজনবোধ করলাম।
আমার বাবা একজন স্কুল শিক্ষক। আকুবপুর ইয়াকুব আলী ভুঁইয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। স্থানীয় একজন ঠিকাদার কাজ পাওয়ার সুবিধার্থে বাবার পরিচয় ব্যবহার করার জন্য বাবাকে লাইসেন্স করার পরামর্শ দেন। বাবাও তার কথায় জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার থেকে একটি ঠিকাদারি লাইসেন্স করেন। রাষ্ট্রের যেকোন ব্যক্তি ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে যেকোন লাইসেন্স করতেই পারে। তবে আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বরত থাকা অবস্থায় বাবার ঠিকাদারি ব্যবসায় জড়ানো স্পষ্টভাবেই কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট। বিষয়টি বোঝানোর পর আজ বাবার আবেদনের প্রেক্ষিতে লাইসেন্সটি বাতিল করা হয়েছে।
বাবা হয়তো কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের বিষয়টি বুঝতে পারেন নি, সেজন্য বাবার পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
উল্লেখ্য, মধ্যবর্তী সময়ে উক্ত লাইসেন্স ব্যবহার করে কোনো কাজের জন্য আবেদন করা হয়নি।’