দিনে প্রচণ্ড রোদ আর গরম, সন্ধ্যা গড়াতেই শীতের আমেজ। কয়েকদিন ধরে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে এমনই আবহাওয়া পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাপমাত্রার পারদে সর্ব্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন পার্থক্যও রয়েছে অনেক বেশি।
আবহাওয়ার এমন আচরণে ঈদ উৎসবের আনন্দে কিছুটা ভাটাও পড়েছে। দিনের বেলায় সূর্যের ঝলমলে আলো আর কড়া রোদে বাইরে যেমন বের হওয়ার উপায় নেই তেমনই রাতের বেলায় কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসে চৈত্রেও শীতের কাঁপুনি অনুভব করা যাচ্ছে।
গত এক সপ্তাহ থেকে রংপুর বিভাগের লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলায় আবহাওয়ায় এমন বিরূপ আচরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ দুই জেলায় রাত ৮টার পর কুয়াশা ও ঠান্ডা হিমেল বাতাসের ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফলে শীত নিবারণে এখনও শীতের পোশাক পরিধান করতে হচ্ছে দুই জেলার মানুষদের।
লালমনিরহাট সদরের ইজিবাইক চালক শরিফুল ইসলাম বলেন, গতকাল বিকেলে অটোরিকশা নিয়ে তিনবিঘা করিডর গিয়েছিলাম। রাত ১০টার দিকে বাড়ি ফিরেছি। কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসের কারণে আজ সর্দি ও কাশিতে ভুগছি।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি ধরলা সেতুতে বেড়াতে আসা রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা চিলমারি থেকে সেতু দেখতে আসছি। সন্ধ্যার পর শীত পড়ে, তাই ঈদে ঘুরতে বের হলেও আলাদা করে ব্যাগে শীতের পোশাক নিতে হয়েছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, জলীয় বাষ্পের আদ্রর্তা দিনে ২০-২৬ শতাংশে কমে যাওয়ায় এবং রাতে সর্ব্বোচ্চ ৯০- ৯৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে এ দুই জেলায় দিনে তাপমাত্রা বেশি ও রাতে তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে। আগামী ৭ এপ্রিলের পরে এ অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হলে শীতের আগের যে মৌসুমী বাতাসের বলয় সেটি পরিবর্তন হবে, এরপর ধীরে ধীরো তাপমাত্রা স্বাভাবিক হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ডিজির সঙ্গে তর্ক, ক্ষমা চেয়ে দায়িত্বে ফিরলেন সেই চিকিৎসক
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কে জড়ানো চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণ শোকজের সন্তোষজনক জবাব দেওয়ায় তাকে ক্ষমা করে পূর্বের পদে বহাল করা হয়েছে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে ফেরানো হয়।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মুহাম্মদ মাইনউদ্দিন খান বলেন, ‘‘এই আদেশ বুধবার থেকে কার্যকর হয়েছে।’’
আদেশে বলা হয়েছে, গত ৬ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনকালীন হাসপাতালের আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) ও সহকারী অধ্যাপক (সার্জারি) ইনসিটু ডা. ধনদেব চন্দ্র বর্মণ মহাপরিচালকের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এ জন্য তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
ডা. ধনদেব চন্দ্র বর্মণ তার অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের জন্য ক্ষমা চান এবং ভবিষ্যতে এরূপ অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করবেন না বলে অঙ্গীকার করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে লিখিত জবাব দাখিল করেন। পরবর্তীতে তার দাখিলকৃত জবাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর পাঠানো প্রতিবেদন সন্তোষজনক হওয়ায় তাকে ক্ষমা করে আগের দায়িত্বে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. ধনদেব চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘‘কর্তৃপক্ষ আমাকে পূর্বের পদে বহাল করেছেন। আমি কাজ শুরু করেছি।’’
ঢাকা/মিলন/রাজীব